কয়লামন্ত্রক

বন্ধ থাকা কয়লা খনিগুলি কোনও রকম জরিমানা ছাড়াই সমর্পণ করতে সরকারি সংস্থাগুলিকে এককালীন বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন

Posted On: 08 APR 2022 4:02PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৮ এপ্রিল, ২০২২
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে বন্ধ থাকা কয়লা খনিগুলি কোনও রকম জরিমানা (ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বাজেয়াপ্ত) এবং কোনও রকম কারণ দর্শানো ছাড়াই সমর্পণ করতে সরকারি সংস্থাগুলিকে এককালীন বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য কয়লা মন্ত্রকের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। এর ফলে, বর্তমানে যে সমস্ত সরকারি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা তাদের এক্তিয়ারে থাকা কয়লা খনির মানোন্নয়নে সক্ষম নয় বা সে ব্যাপারে আগ্রহী নয়, সেই সমস্ত খনিগুলি নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বন্টন করা যেতে পারে। সরকারি সংস্থাগুলিকে তাদের এক্তিয়ারে থাকা এ ধরনের কয়লা খনিগুলি সমর্পণের জন্য তিন মাস সময় দেওয়া হবে। কয়লা খনি সমর্পণ সম্পর্কিত নীতি ঘোষণা হওয়ার দিন থেকে তিন মাস সময় পাওয়া যাবে। 
 
২০১৪’তে সুপ্রিম কোর্টের বাতিল পরবর্তী একাধিক কয়লা খনি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বন্টন করা হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এই কয়লা খনিগুলি থেকে রাজ্য/কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি রাজস্ব ভাগাভাগির বিষয়টি স্থির হয় প্রত্যেক টন উৎপাদিত কয়লার ভিত্তিতে। বন্ধ থাকা কয়লা খনিগুলি চালু করার ক্ষেত্রে বিলম্বের জন্য জরিমানার বিষয়টি নিয়ে বিবাদ দেখে দেয় এবং তা শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়ায়। 
 
সরকারের পক্ষ থেকে ২০২১ – এর ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি সংস্থাগুলিকে দেওয়া ৭৩টি কয়লা খনির মধ্যে ৪৫টি চালু করা যায়নি। এমনকি, ১৯টি কয়লা খনিতে উত্তোলন প্রক্রিয়া চালু করার বর্ধিত সময়সীমাও শেষ হয়েছে। যে সমস্ত কারণে বন্ধ খনিগুলি চালু করা যায়, তার মধ্যে রয়েছে – আইন-শৃঙ্খলা, হস্তান্তরিত সংস্থার পক্ষ থেকে নিয়ন্ত্রণের অভাব, খনি এলাকা সংলগ্ন বনাঞ্চলের পরিধি বিস্তার, জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে জমিদাতাদের অনড় মনোভাব প্রভৃতি।
 
দেশে শক্তি নিরাপত্তার নিরিখে কয়লা একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। মন্ত্রিসভার আজকের সিদ্ধান্তের ফলে যে সমস্ত উচ্চ গুণমানসমৃদ্ধ কয়লা ব্লক আগেই বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেগুলি এবার বাণিজ্যিক কয়লা খনি নিলাম নীতির মাধ্যমে যাবতীয় কারিগরি বিষয়ের নিষ্পত্তি করে দ্রুত ফিরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। পক্ষান্তরে, বন্ধ থাকা কয়লা খনিগুলি দ্রুত চালু হলে দেশে একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও বিনিয়োগ বাড়বে, সেই সঙ্গে পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলির আর্থিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এমনকি, নতুন এই নীতিতে মামলা-মোকদ্দমার সংখ্যা কমিয়ে সহজে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকুল পরিবেশ গড়ে তুলে কয়লা আমদানি হ্রাস করা সম্ভব হবে। 
 
CG/BD/SB


(Release ID: 1814940) Visitor Counter : 128