সামাজিকন্যায়ওক্ষমতায়নমন্ত্রক
হাত দিয়ে যাঁরা মল পরিষ্কার করতেন তাঁদের কল্যাণে গৃহিত উদ্যোগ
Posted On:
15 MAR 2022 4:01PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ১৫ মার্চ, ২০২২
ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জার্স আইন অনুযায়ী হাত দিয় মল পরিষ্কারের কারণে মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে গত ৫ বছরে সেপ্টিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে দূর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩২৫ জন। এদের মধ্যে ২৭৬ জনের পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যাঁরা সেপ্টিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রাণ হারাবেন তাঁদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি সংশ্লিষ্ট পরিবারের পুনর্বাসনের কাজ করবে। এছাড়াও স্কিম ফর রিহ্যাবিলিটেশন অফ ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জার্স এর আওতায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে এইসব পরিবারগুলিকে সাহায্য করা হয়। পরিবারের কোনো সদস্য যদি হাত দিয়ে মল পরিষ্কার করার কাজে যুক্ত হন তাহলে সেই পরিবারকে এককালীন নগদ ৪০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়। এছাড়াও ওই ব্যক্তির এবং তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যদের দক্ষতা বিকাশ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্য কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ২ বছরের প্রশিক্ষণের সময়কালে তাঁরা প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকা স্টাইপেন্ডও পান। এছাড়াও যাঁরা স্বনির্ভর প্রকল্পের আওতায় ঋণ নিয়েছেন তাঁদের ঋণের মূলধনের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলির জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার মাধ্যমে স্বাস্থ্য বীমার ব্যবস্থা করা হয়।
২০১৩ সালের ৬ই ডিসেম্বর থেকে হাত দিয়ে মল পরিষ্কার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই তারিখের পর কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা কাউকে হাত দিয়ে মল পরিষ্কার করাতে পারবেন না। যদি কেউ একাজ করাতে যান তাহলে তার সর্বোচ্চ ২ বছরের কারাদন্ড ও নগদ ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পয়ঃনিকাশী ব্যবস্থা পরিষ্কার করতে গিয়ে ৩২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এঁদের মধ্যে ২৪৫ জনের পরিবার ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। ৩১ জনের পরিবার ১০ লক্ষ টাকার কম ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।
লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য জানিয়েছেন সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ণ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামদাস আটওয়ালে।
CG/CB/NS
(Release ID: 1806658)
Visitor Counter : 156