প্রতিরক্ষামন্ত্রক

প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং বলেছেন সশস্ত্র বাহিনীতে মেয়েদের প্রবেশাধিকারের আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে ১০০টি নতুন স্কুল করা হবে

শিক্ষার মান এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে উন্নীত করার লক্ষ্যে সৈনিক স্কুল গুলিকে উন্নততর হওয়ার পরামর্শ প্রদান
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি শিক্ষাখাতে 'আত্মনির্ভরতা'-র বিপ্লব ঘটাতে পারে এবং শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ ঘটাতে পারে: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

Posted On: 08 JAN 2022 1:18PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ০৮ জানুয়ারি, ২০২২
 
প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, দেশে নতুন করে ১০০ টি সৈনিক স্কুল স্থাপন করার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীতে মেয়েদের প্রবেশাধিকার আরও সুনিশ্চিত হবে। আজ সৈনিক স্কুল গুলির ওপর এক ওয়েবিনারে রাজনাথ সিং এ কথা জানান। তিনি বলেন, সরকার বিশ্বাস করে যে সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের আরও বেশি করে যোগদান দরকার। সেজন্য বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সৈনিক স্কুল গুলিতে মেয়েদের ভর্তি সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলা আধিকারিকদের স্থায়ী কমিশন প্রদান করা হয়েছে।
 
শ্রী সিং আস্থা প্রকাশ করেন যে নতুন সৈনিক স্কুল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত মেয়েদের দেশ সেবা করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, সৈনিক স্কুল সম্প্রসারনের ঘোষণাকে শিশুদের মৌলিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে  সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মধ্যে অন্যতম।
 
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান যে, সৈনিক স্কুল গুলিকে একীভূতকরণ করার মাধ্যমে আগামী দিনে জাতিগঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার সৃষ্টি করবে। 'সৈনিক' বলতে একতা, শৃঙ্খলা এবং ভক্তি বোঝায়। আর স্কুল বা বিদ্যালয় হচ্ছে শিক্ষার কেন্দ্র। তাই সৈনিক স্কুল গুলি শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
 
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন যে, সরকার দেশে তরুণদের মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের দিকে মনোনিবেশ করেছে। কেননা সমাজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করবে। কেননা রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক গৃহীত ১৭ টি ধারাবাহিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে মানসম্মত শিক্ষা চতুর্থ পর্যায়ে রয়েছে। মানসম্মত শিক্ষার একটি লক্ষ্য রয়েছে, আর সেই লক্ষ্যগুলি অর্জন করাই আমাদের কর্তব্য। সর্বশিক্ষা অভিযান এবং রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযান এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গুলি ইতিমধ্যেই চালু রয়েছে। এরকমভাবে ১০০ টি নতুন সৈনিক স্কুল স্থাপন শিক্ষার উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং এদিন তাঁর ভাষণে স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধী, ডঃ বি আর আম্বেদকর এবং সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এর মতো প্রবাদপ্রতিম ও স্বপ্নদ্রষ্টাদের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সৈনিক স্কুল সোসাইটির  প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই সোসাইটি একাডেমিক শিক্ষার সাথে সাথে শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক বিকাশের ওপর জোর দিয়েছে। এই স্কুলগুলি থেকে এ পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীতে ৭ হাজারেরও বেশি আধিকারিক নিয়োগের অবদান রেখেছে। সেনাবাহিনীর প্রাক্তন প্রধান জেনারেল দীপক কাপুর, এবং জেনারেল দলবীর সিং সোহাগ-এর মতো আধিকারিকদের সেনাবাহিনীতে দিয়েছে। এর পাশাপাশি, নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নিফিউ রিও ছাড়াও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন গভর্নর ডি সুব্বারাও এবং চলচ্চিত্রকে পরিচালক রাকেশ রোশন সৈনিক স্কুলের ছাত্র ছিলেন।
 
প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে অভিহিত করেছেন। বেসরকারি ক্ষেত্রকে 'আত্মনির্ভরতা' অর্জন করতে এবং শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ নিশ্চিত করতে সরকারের সাথে হাত মেলানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রের মধ্যে সমন্বয়ের কারণে প্রতিরক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ এবং শিল্প ও পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা পেয়েছে। সৈনিক স্কুলের সম্প্রসারণে সরকারি উদ্যোগকে সাহায্য করতে তিনি বেসরকারি ক্ষেত্র গুলিকে আহ্বান জানান।
 
প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রতিরক্ষা বিভাগ এবং সৈনিক স্কুল সোসাইটি কে তাদের কর্ম ক্ষমতা ও নির্দিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষার ভিত্তিতে সমস্ত সৈনিক স্কুলের রেঙ্কিংয়ের জন্য একটি প্রক্রিয়া তৈরি করার পরামর্শ দেন। এর ফলে স্কুলগুলির মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। শ্রী রাজনাথ সিং বলেন, পাঠক্রম এর পাশাপাশি শিশুদের দেশপ্রেম ও জাতির প্রতি আনুগত্যের পরিচয় দিতে হবে, কারণ এটি তাদের চরিত্র গঠনে এবং দেশের উপকারে সহায়ক হয়ে উঠবে।
 
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, এটি স্মরণ করা যেতে পারে যে, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা/ এনজিও/ বেসরকারি স্কুল/ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্কুল গুলির সাথে অধিভুক্তির ভিত্তিতে অংশীদারিত্বে স্কুলগুলির চালু করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছিল।
 
আজকের এই ভার্চুয়াল সেমিনারে সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল এম এম নারাভানে, বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার এবং স্কুল এডুকেশন ও লিটারেসি'র সচিব শ্রীমতি অনিতা কাড়য়াল উপস্থিত ছিলেন।
 
CG/ SB


(Release ID: 1788617) Visitor Counter : 208