আবাসনএবংশহরাঞ্চলেরদারিদ্র্যদূরীকরণমন্ত্রক

বর্ষশেষ পর্যালোচনা, ২০২১ – আবাসন ও শহরাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রক

Posted On: 04 JAN 2022 4:31PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৪ জানুয়ারি, ২০২২
 
কেন্দ্রীয় আবাসন ও শহরাঞ্চল বিষয়ক মন্ত্রক ২০২১-এ একাধিক কর্মসূচি ও অভিযান গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগগুলি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ এবং আত্মনির্ভর ভারত গঠনে বড় ভূমিকা গ্রহণ নিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে মন্ত্রকের উদ্যোগগুলি আত্মনির্ভর ভারত ও ‘মেক ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব ফলেছে।
 
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা – শহরাঞ্চল কর্মসূচি শুরু করার উদ্দেশ্যই ছিল শহরগুলিতে আবাসনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি ২০২২-এর মধ্যে যোগ্য বস্তিবাসীদের পাকা গৃহের সংস্থান করা। এই কর্মসূচিতে গৃহ নির্মাণে যে প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছে তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ব্যবহার করা হয়। গ্লোবাল হাউজিং টেকনলজি সংক্রান্ত কর্মসূচির মাধ্যমে ছয়টি রাজ্যে এ ধরনের পাকা বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি ভারতে নির্মাণক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে, যা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করছে। গ্লোবাল হাউজিং টেকনলজি-র অঙ্গ হিসেবে ভারতে যে ‘লাইট হাউজ প্রোজেক্ট’ গ্রহণ করা হয়েছে তা শহরাঞ্চলের গৃহ নির্মাণে এমন এক অনুকূল বাতাবরণ গড়ে তুলছে যা একদিক থেকে যেমন ব্যয়সাশ্রয়ী, অন্যদিকে তেমনই পরিবেশ-বান্ধব এবং দ্রুত গৃহ নির্মাণের পক্ষে অনুকূল। 
 
মন্ত্রক ‘টেকনোগ্রাফিক্স মডিউল’ গ্রহণ করেছে যা নাম নথিভুক্তিকরণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে তা দ্রুত প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং গৃহ নির্মাণে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি গ্রহণে সহায়ক হয়ে উঠেছে। মন্ত্রক স্বল্প ব্যয়ে, দ্রুততার সঙ্গে এবং গুণগত মানের পাকা বাড়ি নির্মাণে ‘লাইট হাউজ’ কর্মসূচির আওতায় উদ্ভাবনমূলক, দীর্ঘস্থায়ী, পরিবেশ-বান্ধব এবং বিপর্যয়রোধী প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে। এর ফলে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা – শহরাঞ্চল কর্মসূচির আওতায় গৃহ হস্তান্তরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে। 
 
আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের আওতায় সুলভে আবাসন ভাড়া কর্মসূচিতে শহরাঞ্চলে দরিদ্র ও প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য গৃহের সংস্থান করা হচ্ছে। সরকার ‘সকলের জন্য আবাসন’-এর যে লক্ষ্য নিয়েছে তা পূরণে এই কর্মসূচি কার্যকর হয়ে উঠেছে।
 
স্মার্ট-সিটি মিশনের আওতায় শহরগুলির সৃজনশীল বিভিন্ন পন্থাপদ্ধতি আদান-প্রদানে এক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন সৃজনশীল পন্থাপদ্ধতি স্মার্ট শহর গড়ে তোলার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নতুন ও আত্মনির্ভর ভারত গঠনের দূরদৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মন্ত্রকের এই উদ্যোগ স্মার্ট-সিটিগুলিকে আত্মনির্ভর করে তুলবে। সেইসঙ্গে, নাগরিক-কেন্দ্রিক পরিষেবার চাহিদাও মেটাবে। স্মার্ট-সিটি মিশন এবং বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্মার্ট-সিটি গড়ে তোলা সম্পর্কিত অংশীদারিত্বের লক্ষ্যে তথ্য বিনিময়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এজন্য স্মার্ট-সিটি সম্পর্কিত একটি ওয়েবসাইট এবং ভৌগোলিক তথ্য আদান-প্রদান সম্পর্কিত জিএমআইএস গড়ে তোলা হয়েছে। 
 
শহরাঞ্চলে গণ-পরিবহণ ব্যবস্থার মানোন্নয়নে সাধারণ মানুষ, নাগরিক সমাজ ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পক্ষকে একত্রিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রক ‘ট্রান্সপোর্ট ফর অল’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। স্মার্ট-সিটিগুলিতে স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের প্রচলন বাড়াতে ‘ইট স্মার্ট-সিটি চ্যালেঞ্জ’ গ্রহণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগে শহরাঞ্চলে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিসম্মত খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলতে উদ্ভাবনমূলক সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার এক অভিনব প্রয়াসের সূচনা হয়েছে। 
 
রাস্তার হকারদের আত্মনির্ভর করে তুলতে ‘প্রধানমন্ত্রী রাস্তার হকার আত্মনির্ভর নিধি’ বা পিএম স্বনিধি কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রক বেসরকারি সংস্থা জোম্যাটোর সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে রাস্তায় খাবারের দোকান দেওয়া হকাররাও সংস্থাটির সঙ্গে অনলাইনে খাবার সরবরাহে যুক্ত হতে পারেন। এছাড়াও মন্ত্রক ‘পিএম স্বনিধি সে সমৃদ্ধি’ বা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। এর মাধ্যমে রাস্তার হকাররা বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।
 
আত্মনির্ভর ভারত গঠন উদ্যোগের আওতায় ‘দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – জাতীয় শহরাঞ্চলীয় জীবন জীবিকা মিশন’ কর্মসূচিতে শহরাঞ্চলের দরিদ্র মহিলাদের দক্ষ করে তোলা হচ্ছে যাতে তাঁরা মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ বা ছোট উদ্যোগ গড়ে তুলতে পারেন। শহরাঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলির মহিলাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনে উৎসাহিত করা হচ্ছে যাতে তাঁরা এই কর্মসূচির সুবিধা নিতে পারেন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৫ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে, যার সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষ। এদের মধ্যে অধিকাংশ স্বনির্ভর গোষ্ঠীই জীবন-জীবিকামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত যারা হস্তশিল্প, বস্ত্র, খেলনা ও অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করছে। 
 
শহরাঞ্চলীয় পরিবহণ কর্মসূচির আওতায় আগে মেট্রো পরিষেবার জন্য ব্যবহৃত কামরা বিদেশ থেকে আমদানি করা হত। কিন্তু এখন এই কামরাগুলি দেশেই তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে, না কেবল অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে, সেইসঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ছে। সর্বোপরি, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মেট্রো রেলের এই কামরাগুলি অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাতে রপ্তানি করা হচ্ছে।
 
সেন্ট্রাল ভিস্তা কর্মসূচির আওতায় ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে নতুন সংসদ ভবন গড়ে তোলা হচ্ছে। এই ভবন আত্মনির্ভর ভারতের পরিচয় বহন করবে। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তি এবং দেশীয় সাজসরঞ্জাম ও কাঁচামাল দিয়ে ভবনটি গড়ে তোলা হচ্ছে। এটিই প্রথম ভারতীয় সংসদ যা ভারতের মানুষ বানাচ্ছেন এবং ভারতের মানুষের স্বার্থে কাজে আসতে চলেছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (শহরাঞ্চল)
 
২০২২ সালের মধ্যে শহরাঞ্চলের যোগ্য প্রতিটি পরিবার ও বস্তিবাসীদের নিজস্ব পাকা বাড়ির অধিকার দিতে ২০১৫-র ২৫ জানুয়ারি এই কর্মসূচির সূচনা হয়। কর্মসূচিতে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ১৪ লক্ষ আবাসন নির্মাণে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯১ লক্ষ ৫০ হাজার গৃহ নির্মিত হয়েছে এবং গত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫৩ লক্ষ গৃহ সুফলভোগীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ‘লাইট হাউজ প্রোজেক্ট’ উদ্যোগে ৭৯০ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৬,৩৬৮টি গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।
 
অটল মিশন ফর রিজুভিনেশন অ্যান্ড আর্বান ট্রান্সফরমেশন (অম্রুত)
 
এই কর্মসূচিতে ৮০,৭১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮,৮১৮টি প্রকল্প রূপায়ণে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পখাতে এখনও পর্যন্ত ৫৭,৪১৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এই কর্মসূচিতে শহরাঞ্চলীয় জল সরবরাহ, নিকাশি ও পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা, বর্জ্য জল শোধন, যন্ত্র বা মোটরবিহীন শহরাঞ্চলীয় পরিবহণ তথা উদ্যান ও সবুজায়িত এলাকা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
 
উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ১ অক্টোবর দ্বিতীয় পর্যায়ের অম্রুত কর্মসূচির সূচনা করেন। এই কর্মসূচিতে প্রতিটি পরিবারে পাইপবাহিত পানীয় জল সংযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে ২ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা খরচ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ৭৬,৭৬০ কোটি টাকা সহায়তা দেবে। ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ পর্যন্ত এই কর্মসূচি রূপায়িত হবে। ইতিমধ্যেই, ১,৩২৬টি প্রকল্প রূপায়ণ খাতে ৪১,৮৫০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। রূপায়িত প্রকল্পগুলির মধ্যে ৭৪০টি প্রকল্পখাতে ১১,৫৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। 
 
স্বচ্ছ ভারত মিশন
 
ভারতকে উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র বর্জিত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৪-র ২ অক্টোবর স্বচ্ছ ভারত মিশন (শহরাঞ্চল) কর্মসূচির সূচনা হয়। কর্মসূচির আওতায় ৩১টি শহর ইতিমধ্যেই প্রকাশ্য স্থানে মলমূত্র বর্জিত এলাকা হয়ে উঠেছে। ২০২১-এর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫৮টি শহর প্রকাশ্য স্থানে মলমূত্র বর্জিত নগরের মর্যাদা পেয়েছে। কর্মসূচির আওতায় শহরাঞ্চলে পারিবারিক শৌচালয়ের সংখ্যা ২০,৮৯২টি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, ১৭,৮৬৬টি সর্বসাধারণের ব্যবহার্য শৌচালয় গড়ে তোলা হয়েছে। কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উদ্যোগের আওতায় দেশে শহর এলাকাগুলির ৮৬,৪০৩টি ওয়ার্ড থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
 
স্বচ্ছ ভারত মিশন – আর্বান ২.০
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২১-এর ১ অক্টোবর এই কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ের সূচনা করেন। শহরাঞ্চলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পর্যাপ্ত জলের যোগান সুনিশ্চিত করতে শহরাঞ্চলীয় স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে সাহায্যের উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। কর্মসূচি খাতে প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
 
দীনদয়াল অন্ত্যোদয় যোজনা – জাতীয় শহরাঞ্চল জীবন জীবিকা মিশন
 
শহরাঞ্চলে দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ‘ফ্ল্যাগশিপ’ কর্মসূচি হিসেবে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির আওতায় শহরাঞ্চলে রাস্তার হকারদের দক্ষতা প্রশিক্ষণ এবং স্বল্প সুদের হারে ঋণ সহায়তা দিয়ে শিল্পোদ্যোগী করে তোলার চেষ্টা চলছে। কর্মসূচির সূচনার সময় থেকে এখনও পর্যন্ত ২৮টি রাজ্য ও সাতটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩,৮০৬টি শহরে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এছাড়াও, কর্মসূচির আওতায় শহরাঞ্চলের গৃহহীনদের জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার আশ্রয় গৃহ এবং ৬৬ লক্ষ ৭০ হাজার মহিলাকে নিয়ে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে।
 
আজাদি কা অমৃত মহোৎসব
 
আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অঙ্গ হিসেবে মন্ত্রক স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ে গঠিত সংগঠনগুলির জন্য ‘রিভলভিং ফান্ড’ সহায়তার সূচনা করেছে। 
 
প্রধানমন্ত্রী রাস্তার হকারদের জন্য আত্মনির্ভর নিধি (পিএম স্বনিধি)
 
রাস্তার হকারদের ক্ষমতায়ন এবং তাঁদের আত্মনির্ভর করে তুলতে এই কর্মসূচির সূচনা হয়। কর্মসূচির প্রসারে মন্ত্রক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম স্যুইগি ও জোম্যাটোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, রাস্তার খাবার দোকানের হকাররা এই দুটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অনলাইনে খাবার সরবরাহ করতে পারবে। ইতিমধ্যেই ৮,৪০০-র বেশি রাস্তার খাবার দোকানের হকার অনলাইন এই প্ল্যাটফর্মের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার বেশি খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করেছেন। মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার রাস্তার হকার ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থার সুবিধা গ্রহণ করেছেন। এই সুবিধা গ্রহণ করে তাঁরা ১০ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ডিজিটাল লেনদেন করেছেন। 
 
পিএম স্বনিধি কর্মসূচিতে প্রথম পর্যায়ে ৪২ লক্ষ ঋণ সুবিধা গ্রহণের আবেদন পাওয়া গেছে। একইভাবে, দ্বিতীয় পর্যায়েও ৭ লক্ষ ৭৩ হাজারেরও বেশি আবেদন পাওয়া গেছে। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া আবেদনগুলির মধ্যে ৩০ লক্ষ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে পাওয়া আবেদনগুলির মধ্যে প্রায় ৪৭ হাজার ঋণ সহায়তার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া আবেদনের মধ্যে ২৭ লক্ষ ক্ষেত্রে ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩১,৪৭১টি ক্ষেত্রে আবেদনকারী হকার ঋণ সহায়তা পেয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে ঋণ সহায়তাবাবদ ২,৬৫৬ কোটি টাকা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৬ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।
 
শহরাঞ্চলীয় পরিবহণ ব্যবস্থা
 
বেঙ্গালুরু মেট্রো রেল প্রকল্পের ‘ফেজ-২এ’ এবং ‘ফেজ-২বি’ প্রকল্পে ৫৮ কিলোমিটারের বেশি দীর্ঘ অংশে লাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। এই কাজে খরচ হয়েছে ১৪,৭৮৮ কোটি টাকা। এছাড়াও, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলকাতা ও নাগপুর শহরে ৩১ কিলোমিটারের বেশি মেট্রো রেল লাইন পাতার কাজ শেষ হয়েছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির মাধ্যমে মন্ত্রক ২০২১-এর জানুয়ারিতে সংগ্রহের জন্য পণ্যসামগ্রীর একটি তালিকা প্রকাশ করে। কেবল স্থানীয় সরবরাহকারীরাই তালিকায় উল্লিখিত সামগ্রী মন্ত্রককে সরবরাহ করতে পারবে। দিল্লি মেট্রো রেল ব্যবস্থায় ৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রুটে চালকহীন ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার ফলে ভারত বিশ্বের সেইসব দেশের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে যে দেশগুলিতে চালকহীন মেট্রো পরিষেবা রয়েছে। 
 
CG/BD/DM/


(Release ID: 1787624) Visitor Counter : 181