সড়কপরিবহণওমহাসড়কমন্ত্রক
বর্ষশেষ পর্যালোচনা : সড়ক পরিবহণ এবং মহাসড়ক মন্ত্রক
Posted On:
31 DEC 2021 12:48PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
চলতি বছরটি সড়ক পরিবহণ এবং মহাসড়ক মন্ত্রকের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বিগত বছরগুলির মতো এ বছরেও মন্ত্রকের বিভিন্ন কাজকর্ম অব্যাহত থেকেছে। এর ফলে, সাধারণ মানুষের জীবনেও ইতিবাচক্ প্রভাব পড়েছে। চলতি বছরে মন্ত্রকের উন্নতমানের জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মন্ত্রক গত ৭ বছরে মহাসড়ক নির্মাণের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৪’র এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মহাসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৯১ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার। এখন তা বেড়ে ১ লক্ষ ৪১ হাজার কিলোমিটার হয়েছে। কোভিডজনিত বিধি-নিষেধ ও দীর্ঘায়িত বর্ষা মরশুমের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা পিএম গতিশক্তি – ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করেছে। সেই সঙ্গে, জাতীয় স্তরের এই অভিযান শুরু করা, নজরদারি, প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ও রূপায়ণে অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির প্রগতি ময়দানে এক অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানের সূচনা করে।
মন্ত্রক দেশ থেকে ভাঙাচোরা গাড়িগুলি পর্যায়ক্রমে বাতিল করতে স্বেচ্ছায় অকেজো গাড়ি বাতিল নীতির কথা ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী গান্ধীনগরে এক অনুষ্ঠানে অকেজো গাড়ি বাতিল নীতির কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে, একদিকে যেমন দূষণ কমবে, অন্যদিকে ভাঙাচোরা গাড়িগুলি ধীরে ধীরে রাস্তা থেকে উঠে যাবে। ইতিমধ্যেই অকেজো গাড়ি ভেঙে ফেলার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। বিভাগীয় মন্ত্রী শ্রী নীতিন গড়করি সম্প্রতি নয়ডায় অকেজো গাড়ি ফেলার পরিকাঠামোসম্পন্ন একটি ইউনিটের উদ্বোধন করেছেন।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জাতীয় মহাসড়ক ও সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই দিল্লি, মুম্বাই, এক্সপ্রেসওয়ে, ব্যাঙ্গালোর-চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ে এবং জোজিলা সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ কাজের সূচনা করেছেন। সম্প্রতি দিল্লি-দেরাদুণ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সূচনা হয়েছে। এর ফলে, জাতীয় রাজধানী দিল্লি থেকে দেরাদুণে সফর সময় অনেকটাই কমবে।
নাগরিক-কেন্দ্রিক উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে মন্ত্রক ভারত স্টেজ (বিএস) সিরিজের আওতায় যানবাহন রেজিস্ট্রেশনের একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এই ব্যবস্থায় যোগ্য যানবাহনগুলিকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে হলে নম্বর প্লেট পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। এছাড়াও, মন্ত্রক জাতীয় মহাসড়কে যানবাহনের গতি অবাধ রাখতে সমস্ত টোল প্লাজায় ফাস্ট্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।
দেশে সড়ক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে মানোন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এজন্য অনুপালনীয় পথচারীদের পুরস্কার এবং সড়ক নিরাপত্তা পর্ষদ গঠনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। পরিবেশ-বান্ধব যানবাহন ব্যবহারের পাশাপাশি, পরিবেশের পক্ষে সহায়ক জ্বালানী ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য:
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা পিএম গতিশক্তি – ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করেছে। সেই সঙ্গে, জাতীয় স্তরের এই অভিযান শুরু করা, নজরদারি, প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ও রূপায়ণে অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির প্রগতি ময়দানে এক অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানের সূচনা করে।
বিভাগীয় মন্ত্রী শ্রী গড়করি মহাসড়ক, পরিবহণ ও লজিস্টিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে মুম্বাইয়ে জাতীয় স্তরের একটি সম্মেলনে পৌরোহিত্য করেন। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির সহযোগিতায় এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়। শ্রী গড়করি এই উপলক্ষে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে খোলা মনে বিনিয়োগের জন্য লগ্নিকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অকেজো গাড়ি বাতিল নীতি – দেশে সড়ক থেকে ভাঙাচোরা ও অকেজো গাড়ি পর্যায়ক্রমে বাতিল করার লক্ষ্যে এই কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। দেশ থেকে ভাঙাচোরা গাড়িগুলি পর্যায়ক্রমে বাতিল করতে স্বেচ্ছায় অকেজো গাড়ি বাতিল নীতির কথা ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী গান্ধীনগরে এক অনুষ্ঠানে অকেজো গাড়ি বাতিল নীতির কথা ঘোষণা করেন। এর ফলে, একদিকে যেমন দূষণ কমবে, অন্যদিকে ভাঙাচোরা গাড়িগুলি ধীরে ধীরে রাস্তা থেকে উঠে যাবে। ইতিমধ্যেই দেশে অকেজো গাড়ি ভেঙে ফেলার পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। এই কর্মসূচির ফলে ১০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্জ্য থেকে সম্পদ সৃষ্টির চক্রাকার অর্থনীতিতে এই কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। শ্রী গড়করি অকেজো গাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য নয়ডায় একটি স্ক্র্যাপেজ ইউনিটের সূচনা করেছেন। এই ইউনিটে প্রতি বছর ২৪ হাজার গাড়ি ভেঙে ফেলা সম্ভব হবে।
জাতীয় মহাসড়ক : নির্মাণ ও সাফল্য –
২০১৪-১৫’তে দৈনিক জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণের গতি ছিল ১২ কিলোমিটার। ২০২০-২১ এ তা তিনগুণ বেড়ে দৈনিক ৩৭ কিলোমিটার হয়েছে। দেশে গত ৭ বছরে মহাসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ২০১৪’র এপ্রিল পর্যন্ত ৯১ হাজার ২৮৭ কিলোমিটার থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে এখন ১ লক্ষ ৪১ হাজার কিলোমিটার হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ হাজার ৪০৭ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক নির্মিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭৯ কিলোমিটার দীর্ঘ দিল্লি-দেরাদুণ এক্সপ্রেসওয়ে (অর্থনৈতিক করিডর) শিলান্যাস করেছেন। তিনি ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বারাণসী রিং রোড প্রোজেক্ট এবং ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ বারাণসী-গাজীপুর হাইওয়ে প্রকল্পের সূচনা করেছেন। বিভাগীয় মন্ত্রী শ্রী গড়করি জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা’তে ২৫৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ২৫টি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। এই প্রকল্প খাতে ১১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। ডোডায় এই জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পগুলির কাজ শেষ হলে কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে না কেবল সব মরশুমে যোগাযোগের উপযোগী সড়ক গড়ে উঠবে, সেই সঙ্গে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা নেবে। অন্যদিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য যাতায়াত আরও সুগম হবে।
শ্রী গড়করি উত্তর প্রদেশের মির্জাপুরে ৩ হাজার ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪টি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন এবং জৌনপুরে ৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩টি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন। মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা জেলায় সিন্ধিতে একটি মাল্টিমোডাল লজিস্টিক পার্ক গড়ে তোলার জন্য জওহরলাল নেহরু পোর্ট ট্রাস্টের সঙ্গে জাতীয় মহাসড়ক কর্তৃপক্ষের সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এদিকে শ্রী গড়করি মীরাটে ৮ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেশ কয়েকটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের সূচনা করেছে। তিনি উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগরে ৭৫৫ কোটি টাকার একাধিক জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন।
জাতীয় মহাসড়ক বরাবর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে গত নভেম্বর পর্যন্ত ৬২ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি চারাগাছ রোপণ করা হয়েছে। এর ফলে, ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত ২ কোটি ২ লক্ষেরও বেশি চারাগাছ রোপিত হয়েছে। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নাগপুর-জব্বলপুর হাইওয়েতে এলিভেটেড করিডর গড়ে তোলা হয়েছে। মহাসড়কে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়াতে লক্ষ্ণৌ-কানপুর এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে মেশিন কন্ট্রোল প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে।
নাগরিক-কেন্দ্রিক উদ্যোগ :
নাগরিক-কেন্দ্রিক উদ্যোগের অঙ্গ হিসাবে মন্ত্রক ভারত স্টেজ (বিএস) সিরিজের আওতায় যানবাহন রেজিস্ট্রেশনের একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। এই ব্যবস্থায় যোগ্য যানবাহনগুলিকে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরিত করতে হলে নম্বর প্লেট পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। এছাড়াও, মন্ত্রক জাতীয় মহাসড়কে যানবাহনের গতি অবাধ রাখতে সমস্ত টোল প্লাজায় ফাস্ট্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে।
বিদেশে থাকাকালীন যে সমস্ত ভারতীয় নাগরিকের আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিটের মেয়াদ ফুরিয়েছে, তাদের জন্য মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, এবার থেকে ভারতীয় নাগরিকরা এ ধরনের ড্রাইভিং পারমিটের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তা সংশ্লিষ্ট ভারতীয় দূতাবাস/মিশনে যোগাযোগ করে নবীকরণ করা যেতে পারে।
ই-২০ জ্বালানীর জন্য মাস এমিশন স্ট্যান্ডার্ড – ই-২০ জ্বালানীর জন্য মাস এমিশন স্ট্যান্ডার্ড কার্যকর করতে মন্ত্রক গত ৮ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ভারতীয় মানক ব্যুরো ইতিমধ্যেই ই-২০ জ্বালানীর শ্রেণী বিভাজন করেছে। এর ফলে, এ ধরনের জ্বালানী চালিত যানবাহনগুলিতে নির্মাতা সংস্থাগুলি ইথানল মিশ্রিত ই-২০ বা ই-৮৫ বা ই-১০০ অথবা ইডি-৯৫ সম্বলিত স্টিকার লাগাতে পারবে।
অল ইন্ডিয়া ট্যুরিস্ট ভেহিকেল (স্বীকৃতি বা অনুমতি) আইন, ২০২১ – দেশে গত ১০-১৫ বছরে ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে কয়েকগুণ অগ্রগতি ঘটেছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই এই অগ্রগতি। এই প্রেক্ষিতে মন্ত্রক গত ১০ মার্চ অল ইন্ডিয়া ট্যুরিস্ট ভেহিকেল (স্বীকৃতি বা অনুমতি) আইন, ২০২১ এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় অক্সিজেনবাহী যানবাহনগুলির উপর থেকে অবাধ যাতায়াতের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা শিথিল করা হয়। এর ফলে, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রাজ্যের মধ্যে বা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পরিবহণে বাধা দূর হয়।
স্বীকৃত ড্রাইভার ট্রেনিং সেন্টার আইন – ভারতের সড়কে দক্ষ চালকের ঘাটতি একটি বড় উদ্বেগের কারণ। সর্বোপরি, সড়ক নিয়মাবলী সম্পর্কে যথাযথ ধারণা ও অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ে। এই বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে মন্ত্রক গত ৭ জুন স্বীকৃত ড্রাইভার ট্রেনিং সেন্টার আইন প্রকাশ করে।
সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ কর্মসূচি – মন্ত্রক গত দোসরা অগাস্ট একটি খসড়া কর্মসূচি বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে। সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ সম্পর্কিত এই খসড়া কর্মসূচিটিতে গুরুতর আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার এবং নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লক্ষ টাকা করার সংস্থান রয়েছে।
চালকের পাশাপাশি, সামনের সিটে বসে থাকা ব্যক্তির জন্যও এয়ারব্যাগ – মন্ত্রক মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের সড়ক নিরাপত্তা সম্পর্কিত কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে চালকের পাশাপাশি, সামনের সিটে বসে থাকা ব্যক্তির জন্যও এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক করেছে। ২০২১-এর পয়লা এপ্রিল বা তারপর যে সমস্ত গাড়ি বাজারে আসবে, সেগুলিতে এই এয়ারব্যাগ থাকা বাধ্যতামূলক হয়েছে। গাড়ির নতুন মডেলের ক্ষেত্রে এই সময়সীমা বাড়িয়ে গত ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত করা হয়। অবশ্য, কোভিড-১৯ মহামারীর দরুণ সরকার চালকের পাশে বসে থাকা ব্যক্তির জন্য এয়ারব্যাগ বসানোর সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছে।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রী শ্রী গড়করি নাগপুরে দেশের প্রথম বেসরকারি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেছেন। প্ল্যান্টের উদ্বোধন করে শ্রী গড়করি বলেন, দেশে চিরাচরিত জ্বালানীর পরিবর্তে দূষণরোধী জ্বালানীর ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশে জাতীয় মহাসড়ক বরাবর ইলেক্ট্রিক যানবাহনগুলির জন্য চার্জিং স্টেশন গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এই লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ভারি শিল্প মন্ত্রক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা প্রভৃতির কাছ থেকে প্রস্তাব আহ্বান করেছে। ইতিমধ্যেই ফেম ইন্ডিয়া কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে এনার্জি এফিশিয়েন্সি সার্ভিসেস লিমিটেডের সহযোগী সংস্থা এনার্জি সার্ভিসেস লিমিটেড ১৬টি মহাসড়ক/এক্সপ্রেসওয়ে বরাবরা চার্জিং স্টেশন স্থাপনের বরাত পেয়েছে।
ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক – জাতীয় মহাসড়কে যানবাহনের অবাধ গতি অব্যাহত রাখার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে মন্ত্রক দেশের সমস্ত টোলপ্লাজায় ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক করেছে। এজন্য জাতীয় মহাসড়কে মাশুল যুক্ত প্লাজাগুলির সমস্ত লেন ফাস্ট্যাগ লেন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফাস্ট্যাগ ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে গত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৫ লক্ষেরও বেশি ফাস্ট্যাগ ইস্যু করা হয়েছে। এর ফলে, টোলপ্লাজাগুলিতে দৈনিক গড় সড়ক মাশুল সংগ্রহের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০৬ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত ৭২৮টি জাতীয় এবং ২০১টি রাজ্য মহাসড়কে ফি প্লাজাগুলিকে ফাস্ট্যাগ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্থির করে দেওয়া আদর্শ মান অনুযায়ী গাড়ি উৎপাদন সুনিশ্চিত করতে গত মার্চ মাসে মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মেনুফ্যাকচারিং ডিফেক্ট বা গাড়ির মধ্যে কোনও খুঁত থাকার কারণে যাত্রী সুরক্ষা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তা সুনিশ্চিত করতেই এই ব্যবস্থা। সরকারের স্থির করে দেওয়া এই মান অনুসরণ না করলে গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বিপুল জরিমানার সংস্থান রয়েছে। চলতি বছরের পয়লা এপ্রিল থেকেই এই মান কার্যকর হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি – সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স নয়ডায় একটি অ্যাডভান্সড্ ট্রান্সপোর্টেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস্ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ঐতিহ্যের সংরক্ষণ – মন্ত্রক ভিন্টেজ মোটরগাড়িগুলির রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া বিধিবদ্ধ করার জন্য ১৯৮৯ – এর কেন্দ্রীয় মোটরগাড়ি আইন সংশোধন করেছে। সেই অনুসারে, ৫০ বছরের বেশি বয়সী সমস্ত দু’চাকা ও চার চাকার যান, যেগুলির প্রকৃত রূপ বা আদল এখনও অটুট রয়েছে, সেই সমস্ত যানগুলিকে ভিন্টেজ মোটরগাড়ি হিসাবে রেজিস্টার করার সুবিধা চালু হয়েছে। দেশে পুরাতন মোটর গাড়ির ঐতিহ্য সংরক্ষণেই মন্ত্রকের এই উদ্যোগ।
CG/BD/SB
(Release ID: 1786613)
Visitor Counter : 261