মৎস্য ও পশু পালন এবং দুগ্ধশিল্প মন্ত্রক
বর্ষশেষ পর্যালোচনা, ২০২১ : মৎস্যচাষ দপ্তর
Posted On:
30 DEC 2021 3:32PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১
মৎস্যচাষকে এক গুরুত্বপূর্ণ আয়ের উৎস ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হিসেবে স্বীকার করা হয়েছে। একাধিক অনুসারী শিল্পক্ষেত্রের বিকাশে মৎস্যচাষের বড় ভূমিকা রয়েছে। সেইসঙ্গে স্বল্প খরচে মাছ পুষ্টিকর খাবারের একটি উৎস। একইভাবে, দেশে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর একটি বড় অংশের মানুষের কাছে মৎস্যচাষ জীবন-জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দেশে মৎস্যচাষ দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও সেইসঙ্গে বড় অংশের মানুষকে পৌষ্টিক ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রদান করছে। এই ক্ষেত্রটির সঙ্গে ২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের জীবনজীবিকা ও রোজগার জড়িয়ে রয়েছে।
মৎস্যচাষকে একটি উদীয়মান ক্ষেত্রে গণ্য করা হয়েছে। ২০১৪-১৫ থেকে মৎস্যচাষ ক্ষেত্রে বার্ষিক অগ্রগতির গড় হার দুই অঙ্কে পৌঁছে ১০.৮৭ শতাংশ হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে দেশে মাছ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪২ লক্ষ টন। এছাড়াও, এই ক্ষেত্রটি সমাজের প্রান্তিক ও আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর মানুষের জীবনজীবিকার মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এইভাবে সমগ্র মৎস্যচাষ ক্ষেত্র আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাছ উৎপাদনকারী দেশ। সারা বিশ্বে যে পরিমাণ মাছ চাষ হয় তার প্রায় ৭.৫৬ শতাংশই ভারতে উৎপাদিত হয়। দেশে মোট মূল্য সংযোজনের ১.২৪ শতাংশই আসে মৎস্যচাষ ক্ষেত্র থেকে। লক্ষ লক্ষ মানুষের খাদ্য, পুষ্টি, উপার্জন ও জীবনজীবিকার গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল মৎস্যচাষ ও অ্যাকোয়া-কালচার। ২০১৯-২০-তে মৎস্যচাষ ক্ষেত্রে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৬,৬৬২ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা। প্রাথমিকভাবে মৎস্যচাষ ক্ষেত্র প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের জীবনজীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশে গত কয়েক বছরে মৎস্যচাষ ক্ষেত্রে বার্ষিক অগ্রগতির হার ৭ শতাংশ। মাছ যেহেতু সুলভ এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার উৎস তাই, ক্ষুধা ও দৈনিক পুষ্টির ঘাটতি দূর করতে অন্যতম একটি বিকল্প হয়ে উঠতে পারে। রপ্তানির পরিমাণ দ্বিগুণ করার ক্ষেত্রে মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ তথা আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন।
প্রকল্প ও কর্মসূচি
*প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা - কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২০-র ২০ মে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা অনুমোদন করে। এই কর্মসূচি খাতে ২০,০৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সংস্থান করা হয়েছে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ৯,৪০৭ কোটি টাকা এবং রাজ্যগুলি ৪,৮৮০ কোটি টাকা খরচ করবে। পাঁচ বছর মেয়াদি এই কর্মসূচি রূপায়ণে সুফলভোগীদের অবদান থাকবে ৫,৭৬৩ কোটি টাকা। মৎস্যচাষ দপ্তর সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এই কর্মসূচি রূপায়ণের নীতি-নির্দেশিকা জারি করেছে। ২০২০-২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ ও চণ্ডীগড় বাদে ৩৪টি রাজ্য তথা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং বিভিন্ন সংগঠনকে কর্মসূচি রূপায়ণ খাতে ২,৮৮১ কোটি টাকা দেওয়া হয়। একইভাবে, ২০২১-২২ সালে ১৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে ২,৬০০ কোটি টাকার বিনিময়ে একাধিক কর্মসূচি রূপায়ণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে ২,৯৮৩ হেক্টর জলাশয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ হচ্ছে। এছাড়াও, ১০১টি মাছ ধরার জলযানকে কাজে লাগানো হয়েছে যেগুলি গভীর সমুদ্রে মাছ চাষে কাজে লাগানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের কল্যাণে ৯৭৪টি মাছ ধরার নৌকা ও জাল পালটানো হয়েছে। সেইসঙ্গে, ৬ লক্ষ ৫৮ হাজারের বেশি মৎস্যজীবী পরিবারকে জীবনজীবিকা ও পৌষ্টিক খাবারের সংস্থানে সাহায্য করা হয়েছে। সারা দেশে মাছ সংরক্ষণের জন্য ১২৭টি বরফ তৈরির কারখানা বা হিমঘর গড়ে তোলা হয়েছে যেখানে মাছ সংরক্ষণের সুবিধা গড়ে উঠেছে।
জলজ প্রাণীর সুস্বাস্থ্যে চারটি রোগ প্রতিরোধী বা রোগ নির্ণয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও, দুটি ভ্রাম্যমান পরীক্ষাগার চালু হয়েছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের উন্নয়নে ১২২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্প খাতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৭০ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
*মৎস্যচাষ ও অ্যাকোয়া-কালচার পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল – মৎস্যচাষ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে মৎস্যচাষ দপ্তর ২০১৮-১৯ সালে মৎস্যচাষ ও অ্যাকোয়া-কালচার পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি স্বতন্ত্র তহবিল গঠন করে। সেই সময় তহবিলের পরিমাণ ছিল ৭,৫২২ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা। এই তহবিল থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পাশাপাশি স্বীকৃত সংস্থাগুলিকে অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। মৎস্যচাষ দপ্তর সেই তহবিল থেকে বার্ষিক ৩ শতাংশ সুদের হারে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে। ২০১৮-১৯ থেকে ২০২২-২৩ পর্যন্ত পাঁচ বছর মেয়াদে ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এই তহবিল থেকে এখনও পর্যন্ত ২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ১৫৬টি পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক প্রস্তাব-বাবদ ৫,৯৫৪ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তহবিলের অর্থ খরচ ও নজরদারির জন্য জাতীয় স্তরের অনুমোদন তথা নজরদারি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এখনও পর্যন্ত ৩,৭৮৩ কোটি টাকার বেশি একাধিক প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে। অন্যদিকে, ২,৩০৪ কোটি টাকার অনুদানে সুদ ছাড়ের সুবিধা দিয়েছে।
*কিষাণ ক্রেডিট কার্ড – কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ কৃষক তথা মৎস্যজীবীদের কল্যাণে স্বল্প সুদের হারে ২ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আত্মনির্ভর ভারত প্যাকেজের আওতায় কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ৬ লক্ষ ৮ হাজারের বেশি আবেদনপত্র পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৭০,৮১৮টি আবেদনের ক্ষেত্রে অর্থ সহায়তা মঞ্জুর করা হয়েছে। এছাড়াও ৪ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি আবেদন ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে, যেগুলি ঋণদানের যোগ্য কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১,০৩৮ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
*অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের হাব হিসেবে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ মৎস্য বন্দরের মানোন্নয়ন – কোচি, চেন্নাই, বিশাখাপত্তনম, পারাদীপ ও পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দরকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে এই বন্দরগুলির পরিকাঠামো বিশ্বমানের করে তোলা হচ্ছে।
*অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ ও সাফল্য – কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রতাপ চন্দ্র সারেঙ্গি গত ১০ জানুয়ারি ওড়িশার বালাসোর উপকূলে ‘ওপেন সি কেজ কালচার’ বা খাঁচার মধ্যে মাছ চাষ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। ওড়িশার ৩০টি জেলায় মৎস্য বিভাগের আধিকারিকরা সহ ১,৫০০ জন মৎস্যজীবী একটি সচেতনতামূলক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে চিংড়ি সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষের বিষয়ে সচতনতা গড়ে তোলেন। গোয়ায় মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের উন্নয়নে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করেন। এই উপলক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা কর্মসূচিতে একাধিক প্রকল্প খাতে সহায়তার কথা ঘোষণা করেন। বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী গত ৬ জুলাই ‘মৎস্য সেতু’ নামের একটি অ্যাপ-এর সূচনা করেন। এই অ্যাপ থেকে মৎস্যচাষ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে। মৎস্যচাষ দপ্তর ও তার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনগুলি গত ১০ জুলাই ‘জাতীয় মৎস্যজীবী দিবস’ উদযাপন করে। এই উপলক্ষে বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী দেশে মৎস্যচাষের প্রসারে সোশ্যাল মিডিয়া / রেডিও জিঙ্গল-এর সূচনা করেন। বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী গত ১৫ জুলাই লোকসভার স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে খসড়া সামুদ্রিক মৎস্যচাষ বিল, ২০২১ সম্পর্কে এক আলোচনায় যোগ দেন। খসড়া এই বিলটি সম্পর্কে কমিটির সদস্যদের নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটির সদস্যরা খসড়া এই বিলটি সম্পর্কে একাধিক প্রস্তাব দেন। বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী কমিটির সদস্যদের এই প্রস্তাব খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। হায়দরাবাদের জাতীয় মৎস্যচাষ উন্নয়ন পর্ষদ দুর্ঘটনা বিমার সুবিধাদানে ওরিয়েন্টাল ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের সঙ্গে গত ১৪ জুলাই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, মৎস্যজীবীদের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে বিমার সুবিধা মিলবে।
মিষ্টি জলে মাছ চাষের ক্ষেত্রে মাছের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকারে দপ্তর গত ২৮ আগস্ট একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে। ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে এই ওয়েবিনারে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি রাজ্য / কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মৎস্যচাষ দপ্তরের আধিকারিকরা যোগ দেন। ভারতীয় কৃষি গবেষণা পর্ষদের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্রেশ ওয়াটার অ্যাকোয়া-কালচার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেশে মিষ্টি জলের মাছ ও জলজ প্রাণীর বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকারে একটি তথ্যমূলক অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করা হয়। কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ ও গবাদি পশুপালন মন্ত্রী শ্রী পুরুষোত্তম রুপালা গত ৮ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের ব্রিজঘাটে গঙ্গা নদীতে ‘রিভার র্যাঞ্চিং’ কর্মসূচির সূচনা করেন। এর পাশাপাশি, উত্তরাখণ্ড, ওড়িশা, ত্রিপুরা ও ছত্তিশগড়ে একই ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আশা করা হচ্ছে এই কর্মসূচির ফলে দেশের নদ-নদীগুলিতে বিভিন্ন ধরনের মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এদিকে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর অঙ্গ হিসেবে মৎস্য দপ্তর গত ২০ অক্টোবর ‘সুস্বাস্থ্যের জন্য মাছ’ এবং ‘সম্পদের জন্য মাছ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করে। এই ওয়েবিনারে পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরের সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর অধিকর্তা মাছের স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিকার সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ পেশ করেন। কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ প্রতিমন্ত্রী ডঃ এল মুরুগান গত ৩০ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়ে ‘মেরিন সি কেজ ফার্ম’-এর সূচনা করেন। সেইসঙ্গে তিনি কাভারাত্তি দ্বীপে সামুদ্রিক শৈবাল সংরক্ষণে একটি কর্মসূচিরও সূচনা করেন।
*বিশ্ব মৎস্যচাষ দিবস, ২০২১ উদযাপন – বিশ্ব মৎস্যচাষ দিবস, ২০২১ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মৎস্যচাষ দপ্তর গত ২১ নভেম্বর ওড়িশার ভুবনেশ্বরে রেল অডিটরিয়ামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এই অনুষ্ঠানে বিভাগীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ এল মুরুগন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আধিকারিকরা ছাড়াও মৎস্যচাষ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরাও অংশ নেন। এই অনুষ্ঠানে মিষ্টি জলে মাছ চাষ, সামুদ্রিক মাছ চাষ, পার্বত্য ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাছ চাষ, মিষ্টি জলের মাছ চাষের ক্ষেত্রে সেরা জেলা, সংগঠন, পর্ষদগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়। মৎস্যচাষের সঙ্গে সমবায় সমিতি / কৃষক উৎপাদক সংগঠন / স্বনির্ভর গোষ্ঠী / ব্যক্তিবিশেষ তথা সেরা সৃজনশীল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী একাধিক পুস্তিকা, পোস্টার, রেডিও জিঙ্গল প্রকাশ করেন।
CG/BD/DM/
(Release ID: 1786376)
Visitor Counter : 837