জলশক্তি মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

জল জীবন মিশনের আওতায় জম্মু ও কাশ্মীরকে ৬০৪ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় অনুদান

২০২২-এর অগাস্ট মাস নাগাদ 'প্রতিটি বাড়িতে জল' পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা জম্মু ও কাশ্মীরে

Posted On: 14 DEC 2021 12:17PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি,  ১৪ ডিসেম্বর,  ২০২১
 
কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে জল জীবন মিশন কর্মসূচি রূপায়ণে গতি আনতে কেন্দ্রীয় সরকার ৬০৪ কোটি টাকা অনুদান সহায়তা দিয়েছে। জল জীবন মিশন রূপায়ণের জন্য ২০২১-২২-এ কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের জন্য ২৭৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দের এই পরিমাণ ২০২০-২১-এর তুলনায় চারগুণ বেশি। 
 
কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন ২০২২-এর আগস্ট মাসের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য স্থির করেছে। কেন্দ্রশাসিত জম্মু-কাশ্মীরে ১৮ লক্ষ ৩৫ হাজার গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে ১০ লক্ষ ৩৯ হাজার (৫৭ শতাংশ)পরিবারে পাইপ বাহিত জল সংযোগ রয়েছে। চরম প্রতিকূল আবহাওয়া এবং পরিবহণে নানা সমস্যা সত্বেও বিভিন্ন গ্রামে পাইপবাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ পুরোদমে চলছে। শ্রীনগর ও গান্দেরবল এই দুই জেলায় সমস্ত গ্রামীণ পরিবারে এবং ১ হাজার ৭০টি গ্রামে পাইপ বাহিত জল সরবরাহের যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার জল জীবন মিশনের আওতায় দেশের প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে পাইপ বাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এই লক্ষ্যে জল জীবন মিশন রূপায়ণ খাতে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ পূর্ববর্তী অর্থবর্ষে ৬৮১ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা থেকে ২০২১-২২-এ বিপুল বাড়িয়ে ২ হাজার ৭৪৭ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। 
 
জল জীবন মিশন বিকেন্দ্রিকৃত উপায়ে রূপায়িত হয়। এই কর্মসূচি রূপায়ণে স্থানীয় গ্রামের মানুষের বড় ভূমিকা রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পাইপ বাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা থেকে রূপায়ণ পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে গ্রামের মানুষ বড় ভূমিকা নিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয়, সমগ্র কর্মসূচি পরিচালনা ও জলবাহিত পাইপগুলি রক্ষণাবেক্ষণেও গ্রামের মানুষ বড় ভূমিকা পালন করেন। জল জীবন মিশন রূপায়ণে রাজ্যগুলি পানিসমিতি গঠন করে এবং গ্রামসভার অনুমোদনের ভিত্তিতে গ্রাম কেন্দ্রিক কর্ম পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মহিলাদের উৎসাহিত করা হয়, কারণ যে কোন পরিবারেই মহিলারা জলের ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। 
 
সমস্ত বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাওয়া, মধ্যাহ্নকালীন আহার রান্না, হাত-মুখ পরিষ্কার এবং শৌচাগারে ব্যবহারের জন্য পাইপবাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া সুনিশ্চিত করা হচ্ছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আজ পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে ২২ হাজার ৪২১টি বিদ্যালয়ে এবং ২৩ হাজার ৯২৬টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পাইপবাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 
 
জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিকে বিবেচনায় রেখে জল সরবরাহে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এজন্য সারা দেশে ২ হাজারের বেশি জল পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। সাধারণ মানুষ এই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে জলের নমুনা নিয়ে এসে তা ন্যূনতম খরচে পরীক্ষা করার সুবিধা পেয়ে থাকেন। জম্মু ও কাশ্মীরে ৯৭টি জল পরীক্ষাগার রয়েছে। 
 
২০১৯-এ জল জীবন মিশন শুরুর সময় সারা দেশে গ্রামীণ পরিবারের সংখ্যা ছিল ১৯ কোটি ২০ লক্ষ। সে সময় কেবল ৩ কোটি ২৩ লক্ষ (১৭ শতাংশ) পরিবার পাইপ বাহিত জল সংযোগের সুবিধা পেতেন। কোভিড-১৯ মহামারীজনিত চ্যালেঞ্জ ও পরবর্তী সময়ে লকডাউন সত্বেও ৫ কোটি ৪২ লক্ষের (২৮ শতাংশ) বেশি পরিবারে জল জীবন মিশনের আওতায় পাইপ বাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৮ কোটি ৬৫ লক্ষ (৪৫ শতাংশ) গ্রামীণ পরিবার পাইপ বাহিত জল সংযোগের সুবিধা পাচ্ছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, গোয়া, তেলেঙ্গানা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউ, পণ্ডিচেরি এবং হরিয়ানার ১০০ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারে পাইপ বাহিত জল সংযোগের সুবিধা পৌঁছে গেছে। সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস-এর যে নীতি প্রধানমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে জল জীবন মিশনেও প্রতিটি গ্রামীণ পরিবারে পাইপ বাহিত জল সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে কোন পরিবারই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়। বর্তমানে ৮৩টি জেলায় প্রতিটি গ্রামীণ পরিবার এবং ১ লক্ষ ২৮ হাজারের বেশি গ্রামে পাইপ বাহিত জল সংযোগের সুবিধা পৌঁছে গেছে। 
 
CG/BD/AS/

(Release ID: 1781426) Visitor Counter : 201