অসামরিকবিমানপরিবহণমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বর্তমান টার্মিনালগুলির সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের জন্য আগামী ৫ বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে

Posted On: 06 DEC 2021 2:44PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি,  ০৬ ডিসেম্বর, ২০২১
 
কোভিড-১৯ মহামারীর জেরে প্রভূত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ভারতীয় বিমান চলাচল ব্যবস্থাপনা। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে দেশের বিমান সংস্থা ও বন্দরগুলির যথাক্রমে আনুমানিক ১৯ হাজার ৫৬৪ এবং ১৫ হাজার ১১৬ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে গত বছর ২৫ মার্চ থেকে নির্ধারিত অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হয়। পরে অবশ্য পরিস্থিতির ওপর বিচার করে গত বছর ২৫ মে থেকে মাত্র ৩৩ শতাংশ যাত্রী এবং সুনির্দিষ্ট ভাড়ার সীমা নিশ্চিত করে পুনরায় বিমান চলাচল প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বিমান সংস্থাগুলি যাত্রীদের কাছ থেকে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া না নিতে পারে তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কোভিড-১৯ মহামারীর বর্তমান পরিস্থিতির মূল্যায়ন করে বিমান চলাচল ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। 
 
অসামরিক বিমান চলাচল ক্ষেত্রকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বর্তমান টার্মিনালগুলির সম্প্রসারণ, নতুন টার্মিনাল তৈরি, বর্তমান রানওয়েগুলির সম্প্রসারণ এবং আধুনিকীকরণের জন্য আগামী ৫ বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করবে। দিল্লি, হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরুতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে তিনটি বিমানবন্দর গড়ে তোলা হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে এই বিমানবন্দরগুলি গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর জন্য খরচ হবে ৩০ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি দেশজুড়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে গ্রিণ ফিল্ড বিমানবন্দর গড়ে তোলার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর জন্য ৩৬ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। সরকার দেশে ২১টি গ্রিণ ফিল্ড স্থাপনের জন্য 'নীতিগত' অনুমোদন দিয়েছে। এপর্যন্ত মহারাষ্ট্রের শিরডি, পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুর, সিকিমের পাকিয়ং, কেরালার কান্নুর, অন্ধ্রপ্রদেশের ওরভাকাল, কর্ণাটকের কালবুরগি, মহারাষ্ট্রের সিন্ধদুর্গ এবং উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর - এই ৮টি গ্রিণ ফিল্ড বিমানবন্দর চালু করা হয়েছে। বিমানচলাচল ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলির জন্য পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)-এর হার ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ভারতীয় বিমানবন্দরগুলিতে বিমান নেভিগেশন পরিকাঠামোর উন্নতি করা হয়েছে। দেশে পণ্যবাহী বিমানের সংখ্যা ২০১৮ সালে ছিল ৭টি, সেই সংখ্যা চলতি বছরে বেড়ে ২৮ হয়েছে। এমনকি গত ২ বছরে আন্তর্জাতিক পণ্যবাহী বিমান চলাচলে ভারতের অংশীদারিত্ব ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৯ শতাংশ হয়েছে।
 
আঞ্চলিক বিমান চলাচল - 'উড়ে দেশ কা আম নাগরিক' (উড়ান) প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৩৯৩টি রুটে ২টি ওয়াটার অ্যারোড্রোম, ৬টি হেলিপোর্ট সহ ৬২টি অব্যবহৃত এবং পরিসেবাহীন বিমানবন্দরগুলির সঙ্গে সংযোগস্থাপন করে বিমান চলাচল শুরু করা হয়েছে। ওয়াটার অ্যারোড্রোম, হেলিপোর্ট এবং অপ্রয়োজনীয় ও পরিসেবাহীন বিমানবন্দরগুলির পুনরুজ্জীবনের জন্য সরকার ২ হাজার ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক উড়ান-৩ প্রকল্পের আওতায় ওয়াটার অ্যারোড্রোম থেকে সী-প্লেন চালানোর জন্য একটি নতুন পদ্ধতি চালু করেছে। এখনও পর্যন্ত গুজরাট, আসাম, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জ এবং লাক্ষাদ্বীপ-এ মোট ১৪টি ওয়াটার অ্যারোড্রোম চিহ্নিত করা হয়েছে। উল্লেখিত ওয়াটার অ্যারোড্রোমগুলিকে সংযুক্ত করার জন্য এপর্যন্ত ২৮টি সী-প্লেন রুট চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ মন্ত্রকের সঙ্গে অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষর করেছে।
 
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এই কথা জানিয়েছেন অসামরিক বিমান চলাচল প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ডঃ ভি কে সিং।  
 
CG/SS/SKD/

(Release ID: 1778655) Visitor Counter : 278


Read this release in: English , Marathi , Telugu