অর্থমন্ত্রক
বিনিয়োগ, পরিকাঠামো ও আর্থিক অগ্রগতির প্রসারে মুখ্যমন্ত্রী / রাজ্য অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপ-রাজ্যপালদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর আলোচনা
Posted On:
15 NOV 2021 10:26PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৫ নভেম্বর, ২০২১
আর্থিক গতি পুনরুদ্ধার এবং মহামারী পরবর্তী সময়ে ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় পরিবর্তনের দরুণ উদ্ভূত সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে দেশে বিনিয়োগের প্রসারে কেন্দ্রীয় অর্থ তথা কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির উপ-রাজ্যপালদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
এই আলোচনাসভায় অর্থমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন যে, মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ পরবর্তী সময়ে অর্থব্যবস্থায় লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে সূচক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি, রপ্তানি সহ উৎপাদন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে মাশুল মেটানো প্রভৃতি ক্ষেত্রে অগ্রগতি প্রাক মহামারী স্তরে পৌঁছেছে। শ্রীমতী সীতারমন বলেন, ভারতের অগ্রগতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে ইতিবাচক মত পোষণ করা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে সরকার কাঠামোগত, ক্ষেত্র ভিত্তিক এবং আর্থিক সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সরকারের এই উদ্যোগের ফলে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা লগ্নিতে আকৃষ্ট হবেন। রাজ্যগুলিকেও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় হয়ে উঠে এই সুবিধা কাজে লাগাতে হবে।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, মূলধন ব্যয় বাড়াতে কেন্দ্র একাধিক দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিনিয়োগ কেন্দ্রিক অগ্রগতি এবং পরিকাঠামো নির্ভর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকারের এধরণের পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী। তিনি বলেন, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধা বাড়বে, বিপননের প্রসার ঘটবে, জীবনযাপনে মানোন্নয়ন হবে এবং আর্থিক দিক থেকে পিছিয়েপড়া শ্রেণীর ক্ষমতায়ণ ঘটবে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় বাজেটে ৫ লক্ষ ৫৪ হাজার কোটি টাকা মূলধনী ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ করা হয়। গত অর্থবর্ষের তুলনায় এবার মূলধনী ব্যয়ের পরিমাণ ৩৪.৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। এছাড়াও রাজ্য ও স্বশাসিত সংস্থাগুলির জন্য প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা মূলধনী ব্যয় খাতে খরচের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। রাজ্যগুলি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে মূলধনী ব্যয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে পারলে অতিরিক্ত ঋণ সংগ্রহের সুবিধা পাবে বলেও তিনি জানান। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক শেষে ১১টি রাজ্যকে অতিরিক্ত ১৫ হাজার ২৭১ কোটি টাকা ঋণ সংগ্রহে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
শ্রীমতী সীতারমন আরও বলেন, সদ্য যে জাতীয় নগদিকরণ কর্মসূচির সূচনা হয়েছে, তাতে কেবল কেন্দ্রীয় সরকারি সম্পদগুলি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রাজ্যের সম্পদগুলিকে নগদিকরণ কর্মসূচির বাইরে রাখা হয়েছে বলেও তিনি জানান। রাজ্যগুলিতে সম্পদ নগদিকরণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, নগদিকরণ থেকে পাওয়া অর্থ নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও অন্যান্য সামাজিক ক্ষেত্রে মূলধনী ব্যয়ের জন্য সদ্ব্যবহার করা যেতে পারে।
ভারতকে দ্রুততম বিকাশশীল অর্থনীতি হয়ে উঠতে সাহায্য কারার জন্য রাজ্যগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়ে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনী সুযোগ-সুবিধা এবং সহজে ব্যবসা বাণিজ্যের লক্ষ্যে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে, প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে জমি বড় বাধা হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে তিনি রাজ্যগুলিকে সুষ্ঠু ভাবে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া পরিচালনার পরামর্শ দিয়ে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ভূমি-ব্যাঙ্ক গড়ে তোলার প্রস্তাব দেন।
শহরাঞ্চলীয় স্থানীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে রাজ্যগুলির প্রতি আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগের তুলনায় এখন এধরণের স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে অনেক বেশি পরিমাণে অর্থ মঞ্জুর করা হচ্ছে। তাই এই সম্পদ সদ্ব্যবহারে স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে উৎসাহিত করা প্রয়োজন।
পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিতে কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি যেহেতু আর্থিক সম্পদেরও প্রয়োজন তাই সীতারমন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকগুলি কারিগরি সহায়তা ও পরামর্শের জন্য রাজ্যগুলিকে যাবতীয় সহায়তা দেবে। এমনকি, প্রয়োজনে তহবিল ঘাটতির ক্ষেত্রে আর্থিক সংস্থান করা হবে। সামাজিক ক্ষেত্রে অর্থের অভাবে থমকে থাকা প্রকল্পগুলিতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পরিকল্পনা ও পরামর্শ শুনতে তিনি অত্যন্ত আগ্রহী। আলোচনাসভার শুরুতেই এধরণের কর্মসূচি আয়োজনের জন্য রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি রাজ্যই যে সমস্ত সংস্কারমূলক উদ্যোগ ও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নীতি গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কে বিবরণ পেশ করে।
CG/BD/AS/
(Release ID: 1772395)