প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

বারাণসীতে পিএম আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের সূচনা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 25 OCT 2021 5:41PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

 

হর হর মহাদেব!

আমি কি আপনাদের অনুমতি নিয়ে শুরু করতে পারি? তাহলে আমি শুরু করছি। হর হর মহাদেব! বাবা বিশ্বনাথ, মাতা অন্নপূর্ণার নগরী কাশীর পূণ্যভূমির সকল বন্ধু এবং বোনেদের প্রণাম জানাই। দীপাবলি, দেব দীপাবলি, অন্নকূট, ভাইয়াদুজ, প্রকাশ উৎসব এবং সকলের আনন্দের ছট – এইসব উৎসব উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা। উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেল, উত্তরপ্রদেশের প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যজি, উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য মন্ত্রীগণ, কেন্দ্রীয় সরকারে আমাদের আর এক সাথী শ্রী মহেন্দ্রনাথ পাণ্ডেজি, রাজ্য সরকারের আর এক মন্ত্রী শ্রী অনিল রাজভরজি, নীলকন্ঠ তিওয়ারিজি, রবীন্দ্র জয়সওয়ালজি, অন্যান্য মন্ত্রীগণ, সংসদে আমাদের সাথী শ্রীমতী সীমা দ্বিবেদীজি, বি পি শরদজি, বারাণসীর শ্রীমতী মৃদুলা জয়সওয়ালজি, অন্যান্য জনপ্রতিনিধিগণ, প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বাস্থ্য পেশার সঙ্গে জড়িত যত মানুষ এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, জেলা হাসপাতালগুলির প্রতিনিধিরা, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা এবং এখানে উপস্থিত আমার বারাণসীর ভাই ও বোনেরা!

দেশ করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ১০০ কোটি টিকা ডোজের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। বাবা বিশ্বনাথের আশীর্বাদে, মা গঙ্গার অবিরল প্রতাপে, কাশীবাসীর অখণ্ড বিশ্বাসে ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ অভিযান সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। আমি আপনাদের সবাইকে, সমস্ত আপনজনদের সাদর অভিনন্দন জানাই। আজকে এই কিছুক্ষণ আগে একটি অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের জন্য নয়টি মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এর ফলে, এই রাজ্যের পূর্বাঞ্চল এবং গোটা উত্তরপ্রদেশের কোটি কোটি গরীব, দলিত, পিছিয়ে পড়া, শোষিত, বঞ্চিতদের মতো সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষ অনেক লাভবান হবেন। অন্যান্য শহরের বড় হাসপাতালগুলিতে যেতে তাঁদের যত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, ছোটাছুটি করতে হয়, তাও অনেকটা হ্রাস পাবে।

বন্ধুগণ,

রামচরিতমানসে একটা সোরঠা আছে –

“মুক্তি জন্ম মহি জানি, জ্ঞান খানিঅঘ হানি কর।

জহং বস শম্ভু ভবানী, সো কাশী সেইঅ কস ন।।”

অর্থাৎ, কাশীকে তো শিব এবং শক্তির সাক্ষাৎ নিবাস। জ্ঞানের ভাণ্ডার কাশী তো কষ্ট এবং ক্লেশ উভয় থেকেই মুক্ত করে। সেজন্য স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্ট এতবড় প্রকল্প, নানা রোগের কষ্ট থেকে মুক্তির এতবড় সঙ্কল্প, এর শুভ সূচনার জন্য কাশী থেকে ভালো কোন জায়গা হতে পারে?

আমার প্রিয় কাশীর  ভাই ও বোনেরা, আজ এই মঞ্চ থেকে দুটি বড় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। একটি কেন্দ্রীয় সরকারের এবং এর মাধ্যমে গোটা দেশের জন্য ৬৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিনিয়োগ করে গড়ে তোলা এই কর্মসূচি আজ কাশীর পবিত্র মাটি থেকে উদ্বোধন করা হচ্ছে। দ্বিতীয়টি, কাশী এবং পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে হাজার হাজার কোটি টাকার কর্মসূচির উদ্বোধন।  এভাবে আমি বলব যে কেন্দ্রীয়  কর্মসূচি আর রাজ্যের কর্মসূচি সব মিলিয়ে আজ প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার কাজের সিদ্ধান্ত কিংবা উদ্বোধন আজ এখান থেকে হচ্ছে। কাশী থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পগুলিতে মহাদেবের আশীর্বাদও রয়েছে। আর যেখানে মহাদেবের আশীর্বাদ আছে, সেখানে তো কল্যাণই কল্যাণ, সাফল্যই সাফল্য, আর যখন মহাদেবের আশীর্বাদ পাওয়া যায় তখন কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়াও অত্যন্ত স্বাভাবিক।

বন্ধুগণ,

আজ আমার কাশী থেকে উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য, ভবিষ্যতের মহামারী থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য, আমাদের তৈরি করা উচ্চস্তরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন, গ্রাম ও ব্লকস্তরে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আত্মবিশ্বাস এবং আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির জন্য ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ‘আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন’ দেশকে সমর্পণ করার সৌভাগ্য হয়েছে। আজ কাশীর পরিকাঠামোর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পও এখানে উদ্বোধন করা হয়েছে। আমাদের সড়কগুলি প্রশস্ত করা থেকে শুরু করে ঘাটগুলির সৌন্দর্য বৃদ্ধি, গঙ্গাজি এবং যমুনাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, বিভিন্ন সেতু, পার্কিং স্থল, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিষেবা সংক্রান্ত প্রকল্প, উৎসবের এই মরশুমে জীবনকে সুরভীময়, সুস্থ এবং সমৃদ্ধ করে তোলার জন্য কাশীতে যে উন্নয়ন পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তা এক প্রকার গোটা দেশকে নতুন প্রাণশক্তি, নতুন বিশ্বাস প্রদান করবে। এর জন্য কাশী সহ … আজ আমি কাশীর মাটি থেকে ১৩০ কোটি দেশবাসীকে ভারতের নানা প্রান্তে, ভারতের গ্রাম ও শহরগুলির প্রত্যেককে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের দেশে আরোগ্যকে প্রত্যেক কাজের মূল আধার বলে মনে করা হয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে যে বিনিয়োগ করা হয়, সেটাকে সর্বদাই উত্তম বিনিয়োগ বলে মনে করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে এই দীর্ঘ কালখণ্ডে আরোগ্য নিয়ে, বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ততটা লক্ষ্য রাখা হয়নি যতটা দেশের প্রয়োজন ছিল। দেশে দীর্ঘ সময় ধরে যাদের সরকার ছিল, তারা দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত করার জায়গায় তাকে নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছে। গ্রামগুলিতে হয় হাসপাতাল নেই অথবা হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসা করার কেউ নেই। ব্লকস্তরের হাসপাতালগুলিতে ততটা বিভিন্ন রকমের পরীক্ষানিরীক্ষার সুযোগ নেই যতটা দেশের প্রয়োজন আর পরীক্ষা হলেও তার ফল নিয়ে নানারকম ভ্রম থাকে। সঠিক ফল কিনা তা নিয়ে নানা দুশ্চিন্তা থাকে। জেলা হাসপাতালে পৌঁছনোর পর জানা যায়, যে কঠিন রোগ শনাক্ত হয়েছে তা সারাতে শল্যচিকিৎসা করতে হবে। কিন্তু যে শল্যচিকিৎসা হওয়ার প্রয়োজন তার কোনও সুবিধাই সেই জেলা হাসপাতালে নেই। তখন বড় হাসপাতালে ছোট। বড় হাসপাতালে তার থেকেও বেশি ভিড়, লম্বা লাইন, দীর্ঘ অপেক্ষা। আমরা সবাই এর সাক্ষী যে রোগী এবং তাঁর গোটা পরিবার এরকম কত অসংখ্য সমস্যার সম্মুখীন হন। এরকম লড়াই করতে করতে জীবন চলে যায়। অনেক সময়ে কঠিন রোগের ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে যায়, তার ওপর অনাবশ্যক আর্থিক বোঝাও মাথার ওপর চাপে!

বন্ধুগণ,

আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় সবচাইতে বড় অভাব যেগুলি ছিল, সেগুলি গরীব এবং মধ্যবিত্ত মানুষদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সবসময়েই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে ছিল। আয়ুষ্মান ভারত হেলথ ইনফ্রাস্ট্রাকচার মিশন বা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অভিযান দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ব্যবস্থার এই ত্রুটিগুলি দূর করার একটি সমাধান হয়ে এসেছে। ভবিষ্যতে কোনও মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা যেন প্রস্তুত থাকি, সক্ষম থাকি, সেজন্য আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সবসময়ের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হচ্ছে। আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে যে কোনও রোগ দ্রুত শনাক্ত করা যায়, পরীক্ষানিরীক্ষায় বিলম্ব না হয়। আগামী ৪-৫ বছরে দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে শুরু করে ব্লক, প্রত্যেক জেলা, রাজ্য, ক্ষেত্র এবং জাতীয় স্তরে ক্রিটিক্যাল হেলথ কেয়ার নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। বিশেষ করে, যে রাজ্যগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাব অত্যধিক রয়েছে, আমাদের পর্বতসঙ্কুল রাজ্যগুলি, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিকে যেমন বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তেমনই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলকে।

বন্ধুগণ,

দেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ভিন্ন ভিন্ন গ্যাপগুলিকে অ্যাড্রেস করার জন্য বা ত্রুটিগুলি দূর করার জন্য আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনে তিনটি বড় দিক রয়েছে। প্রথমতঃ, ডায়াগনস্টিক এবং ট্রিটমেন্টের জন্য বিস্তৃত পরিষেবা গড়ে তোলা হবে। এই প্রক্রিয়ায় গ্রাম ও শহরগুলিতে অনেক হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার খোলা হচ্ছে, যেখানে রোগ গোড়াতেই শনাক্ত করার পরিষেবা থাকবে। এই কেন্দ্রগুলিতে বিনামূল্যে মেডিকেল কনসালটেশন, বিনামূল্যে পরীক্ষানিরীক্ষা ও বিনামূল্যে ঔষধের ব্যবস্থা থাকবে। যথাসময়ে রোগ চিহ্নিত করতে পারলে রোগ জটিল হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়, আর জটিল রোগের ক্ষেত্রে তার চিকিৎসার জন্য ৬০০টিরও বেশি জেলায় ক্রিটিক্যাল কেয়ারসম্পন্ন ৩৫ হাজারেরও বেশি নতুন শয্যা তৈরি করা হবে। বাকি প্রায় ১২৫টি জেলায় রেফারেলের পরিষেবা প্রদান করা হবে। জাতীয় স্তরে এর জন্য প্রশিক্ষণ এবং অন্যান্য ক্যাপাসিটি বিল্ডিং-এর জন্য ১২টি কেন্দ্রীয় হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলি বিকশিত করার কাজও চলছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যগুলিতেও শল্যচিকিৎসা-সংশ্লিষ্ট নেটওয়ার্ককে মজবুত করতে ২৪X৭ ঘন্টা চালু থাকা ১৫টি ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারও গড়ে তোলা হবে।

বন্ধুগণ,

এই প্রকল্পের দ্বিতীয় দিকটি হল বিভিন্ন রোগের পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য টেস্টিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। এই মিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন রোগের পরীক্ষানিরীক্ষা, তার তদারকি কিভাবে হবে তা সুনিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। দেশের ৭৩০টি জেলায় ইন্টিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরিজ আর দেশে চিহ্নিত ৩,৫০০ টি ব্লকে ‘ব্লক পাবলিক হেলথ ইউনিটস’ গড়ে তোলা হবে। পাঁচটি ‘রিজিওনাল ন্যাশনাল সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’, ২০টি ‘মেট্রোপলিটন ইউনিটস’ এবং ১৫টি ‘বিএসএল ল্যাবরেটরিজ’ও এই নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে।

ভাই ও বোনেরা,

এই মিশনের তৃতীয় দিকটি হল, মহামারীর সঙ্গে যুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির উন্নয়ন ও সেগুলিকে শক্তিশালী করে তোলার কাজ করা। এই সময় দেশে ৮০টি ভাইরাল ডায়াগনস্টিক্স এবং রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ রয়েছে। এগুলিকে আরও উন্নত করে তোলা হবে। মহামারীর সময় বায়ো-সেফটি লেভেল-৩ মানের গবেষণাগারের প্রয়োজন হয়। এরকম মানের ১৫টি নতুন ল্যাবরেটরিকে অপারেশনাল করে তোলা হবে। এগুলি ছাড়াও দেশে চারটি নতুন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অফ ভাইরলজি’ আর একটি ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ওয়ান হেলথ’ও স্থাপন করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ‘হু’ বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘রিজিওনাল রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম’ও গবেষণার এই নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করে তুলবে। অর্থাৎ, আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অভিযানের মাধ্যমে দেশের কোণায় কোণায় চিকিৎসা থেকে শুরু করে ‘ক্রিটিক্যাল রিসার্চ’ বা জটিল গবেষণা পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ ইকো-সিস্টেম বিকশিত করা হবে।

বন্ধুগণ,

এমনিতে এই ধরনের কাজ অনেক দশক আগেই হয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল কিন্তু, এখন কি জটিল পরিস্থিতি তা আর আপনাদের সামনে বর্ণনা করার প্রয়োজন আর নেই! আমরা বিগত সাত বছর ধরে ক্রমাগত সংস্কার করে চলেছি, কিন্তু এখনও একটি বড় মাত্রায় অনেক বড় অ্যাগ্রেসিভ অ্যাপ্রোচ নিয়ে আমাদের এই কাজ করতে হবে। কিছুদিন আগে আপনারা হয়তো দেখেছেন যে, আমি দিল্লি থেকে গোটা দেশের জন্য একটি ‘গতি শক্তি’ নামক অনেক বড় দেশব্যাপী স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সংক্রান্ত কর্মসূচির উদ্বোধন করেছি। আজ এই দ্বিতীয় পদক্ষেপে প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা শুধু স্বাস্থ্যক্ষেত্রে, শুধু গরীব মানুষের চিকিৎসার জন্য, শুধু আপনাদের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সুস্থ রাখার জন্য আজ কাশীর মাটি থেকে এতবড় একটা অভিযান শুরু করে আমরা সারা দেশে এই প্রকল্পের কাজকে ছড়িয়ে দেব।

বন্ধুগণ,

যখন এমন স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে ওঠে, তখন এ থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবাও যেমন উন্নত হয়, তেমনই এ থেকে কর্মসংস্থানেরও একটি সুস্থ আবহ বিকশিত হয়। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, ল্যাবরেটরি, ফার্মেসি, হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মানুষ, অফিস ঘরগুলি, ট্র্যাভেল ট্রান্সপোর্ট, খাওয়া-দাওয়া – এরকম অনেক প্রকারের রোজগারের ব্যবস্থা এই প্রকল্প থেকে গড়ে উঠতে চলেছে। আমরা দেখেছি, একটি বড় হাসপাতাল তৈরি হলে তার চারপাশে একটি গোটা শহর গড়ে ওঠে, আর সেজন্য আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশন স্বাস্থ্যের পাশাপাশি জনগণের আর্থিক আত্মনির্ভরতারও একটি বড় মাধ্যম হয়ে উঠতে চলেছে। আজকের সূত্রপাত দেশে এমনি একটি ‘হলিস্টিক হেলথ কেয়ার’ এর জন্য গড়ে তোলা প্রচেষ্টার একটি পর্যায়। হলিস্টিক হেলথ কেয়ার অর্থাৎ, যা সকলের জন্য সুলভ হবে, যা সাধারণ মানুষের জন্য সস্তা হবে এবং সকলের নাগালের মধ্যে থাকবে। হলিস্টিক হেলথ কেয়ার অর্থাৎ, যেখানে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি সুস্থতাকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্বচ্ছ ভারত অভিযান, জল জীবন মিশন, উজ্জ্বলা যোজনা, পোষণ অভিযান, মিশন ইন্দ্রধনুষ – এরকম অনেক অভিযান দেশের কোটি কোটি গরীব মানুষকে নানারকম রোগের করাল গ্রাস থেকে বাঁচিয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনার মাধ্যমে ২ কোটিরও বেশি গরীব মানুষ ইতিমধ্যেই হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়েছেন। এই চিকিৎসা সংক্রান্ত অনেক সমস্যাকে এই ‘আয়ুষ্মান ভারত ক্রিটিক্যাল মিশন’ এর মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের আগে অনেক বছর ধরে যাঁরা সরকারের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা পয়সা কামানো ও দুর্নীতির নানা পথ খুলে দিয়েছে। গরীবের কষ্ট দেখে তাঁরা তাঁদের থেকে দূরে পালাতেন। আজ কেন্দ্র এবং আপনাদের রাজ্যে যে সরকার রয়েছে সে সরকার গরীব, দলিত, শোষিত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া, মধ্যবিত্ত – সকলের কষ্ট বোঝে। দেশে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করে তুলতে আমরা দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছি। আগে জনগণের টাকা নানারকম দুর্নীতির মাধ্যমে হরণ করা হত। এই টাকা দুর্নীতিবাজ ও দালালদের সিন্দুকে জমা হত। আজ বড় বড় প্রকল্পে আমরা অর্থ বিনিয়োগ করছি। সেজন্য আজ ইতিহাসের সব থেকে বড় মহামারীর বিরুদ্ধে দেশ লড়াই করছে, আর আত্মনির্ভর ভারতের জন্য লক্ষ-কোটি টাকা বিনিয়োগে পরিকাঠামোও গড়ে তুলছে।

বন্ধুগণ,

স্বাস্থ্য পরিষেবা বৃদ্ধির জন্য চিকিৎসক এবং চিকিৎসাকর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি ততটাই দ্রুতগতিতে বাড়ানো প্রয়োজন। উত্তরপ্রদেশে যত দ্রুতগতিতে নতুন নতুন মেডিকেল কলেজ খোলা হচ্ছে, তার খুব ভালো প্রভাব মেডিকেলের আসন এবং চিকিৎসকদের সংখ্যার ওপর পড়বে। আসন বাড়ানোর ফলে এখন গরীব মা-বাবার সন্তানরাও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারবে, আর অধিকাংশই তা বাস্তবায়িত করতে পারবে।

ভাই ও বোনেরা,

স্বাধীনতার পর ৭০ বছরে দেশে যত ডাক্তার মেডিকেল কলেজগুলি থেকে পড়াশোনা করে বেরিয়ে এসেছেন, তার থেকে বেশি ডাক্তার আগামী ১০-১২ বছরে দেশ পেতে চলেছে। আপনারা কল্পনা করতে পারেন যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কত বড় কাজ দেশে হচ্ছে। যখন দেশের কোণায় কোণায় বেশি ডাক্তার হবে তখন গ্রামে গ্রামে সহজেই ডাক্তারের দেখা পাওয়া যাবে। এটাই নতুন ভারত, যেখানে অভাব থেকে এগিয়ে গিয়ে প্রত্যেক নাগরিকের আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য দিন-রাত কাজ করা হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

অতীতে উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে গোটা দেশে যে ধরনের কাজ হয়েছে, তেমনভাবে চললে আজ কাশীর অবস্থা কি হত? বিশ্বের সবচাইতে প্রাচীন নগরী, ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক কাশীকেও তাঁরা নিজের অবস্থার মধ্যেই ছেড়ে রেখেছিলেন। সারা শহরে ঝুলতে থাকা বিদ্যুতের তারের জাল, ভাঙা উঁচু-নিচু সড়কপথ, বিভিন্ন ঘাট এবং গঙ্গা মায়ের দুর্দশা, যানজট, পরিবেশ দূষণ, নানারকম অব্যবস্থা – এসব কিছুই চলত। আজও কিন্তু কাশীর হৃদয় তেমনই আছে, মনও তেমনই আছে, কিন্তু কাশীকে উন্নত করে তোলার সৎ প্রচেষ্টাও চলছে। যত কাজ বারাণসীতে গত সাত বছরে হয়েছে, তত কাজ বিগত কয়েক দশকে হয়নি।

ভাই ও বোনেরা,

রিং রোডের অভাবে কাশীতে যে প্রবল যানজট হত সেটা আপনারা বছরের পর বছর ধরে অনুভব করেছেন। ‘নো-এন্ট্রি’ খোলার জন্যে রোজ অপেক্ষা করা তো বারাণসীবাসীর অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। এখন রিং রোড তৈরি হওয়ার ফলে প্রয়াগরাজ, লক্ষ্ণৌ, সুলতানপুর, আজমগড়, গাজিপুর, গোরক্ষপুর, দিল্লি, কলকাতা – যে কোনও জায়গায় আসা-যাওয়া করতে হলে শহরবাসীকে আর সমস্যায় পড়তে হবে না। শুধু তাই নয়, রিং রোড এখন গাজিপুর থেকে বিরনোন পর্যন্ত চারলেনের ন্যাশনাল হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। জায়গায় জায়গায় সার্ভিস রোডের পরিষেবাও দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অনেক গ্রামের পাশাপাশি প্রয়াগরাজ, লক্ষ্ণৌ, গোরক্ষপুর এবং বিহার ও নেপাল পর্যন্ত আসা-যাওয়া অনেক সুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। এর ফলে, যাতায়াত যেমন সহজ হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও তেমনই গতি বাড়বে। পরিবহণের খরচও কমবে।

ভাই ও বোনেরা,

যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে একটি ডেডিকেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার না গড়ে ওঠে, ততক্ষণ পর্যন্ত উন্নয়নের গতি অসম্পূর্ণ থাকে। বরুণা নদীর ওপর দুটি সেতু তৈরি করার ফলে কয়েক ডজন গ্রামের জন্য এখন শহরে আসা-যাওয়া সহজ হয়েছে। এর ফলে প্রয়াগরাজ, ভদৌহি এবং মির্জাপুর এলাকা থেকে বিমানবন্দরে যাতায়াত করা জনগণ অনেক উপকৃত হবেন। কার্পেট শিল্পোদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত বন্ধুদেরও লাভ হবে, আর মা বিন্ধবাসিনীর দর্শন করার জন্য বিমানবন্দর থেকে সরাসরি যাঁরা মির্জাপুর যেতে চান, সেই মায়ের ভক্তরাও অনেক উপকৃত হবেন। বিভিন্ন সড়কপথ, সেতু, পার্কিং স্থল গড়ে তোলার এরকম অনেক প্রকল্প আজ কাশীবাসীকে সমর্পণ করা হল। এর ফলে এখানকার শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জীবন আরও বেশি সুগম হবে। রেল স্টেশনে গড়ে ওঠা আধুনিক একজিকিউটিভ লাউঞ্জের ফলে যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়বে।

বন্ধুগণ,

গঙ্গা নদীর পরিচ্ছন্নতা আর নির্মলতা সুনিশ্চিত করার জন্য বিগত বছরগুলিতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে। এর পরিণাম আজ আমরা অনুভব করতে পারছি। বিভিন্ন বাড়ি থেকে নালার মাধ্যমে যে নোংরা জল গঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়তো, তা বন্ধ করার ক্রমাগত প্রচেষ্টা চলছে। এখন রামনগরে পাঁচটি নালার মাধ্যমে প্রবাহিত পয়ঃপ্রণালীকে ট্রিটমেন্টের জন্য আধুনিক ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে চারপাশে বসবাসকারী ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ সরাসরি লাভবান হবেন। শুধু গঙ্গা নয়, বরুণার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ চলছে। দীর্ঘকাল ধরে উপেক্ষার শিকার থাকা বরুণা তার অস্তিত্ব হারানোর প্রান্ত সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। বরুণাকে বাঁচানোর জন্যই চ্যানেলাইজেশনের প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। আজ পরিশ্রুত জলও বরুণাতে পৌঁছে যাচ্ছে। ১৩টি ছোট-বড় নালাকেও ট্রিটমেন্ট করা হচ্ছে। বরুণার উভয় কিনারায় পাথওয়ে, রেলিং, লাইটিং, পাকা ঘাট, সিঁড়ি – এরকম পরিষেবা নির্মাণও সম্পূর্ণ হতে চলেছে।

বন্ধুগণ,

কাশী আধ্যাত্মের পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থ ব্যবস্থারও একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। কাশী সহ সম্পূর্ণ পূর্বাঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত ফসল দেশ-বিদেশের বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিগত বছরগুলিতে অনেক পরিষেবার উন্নয়ন করা হয়েছে। পেরিশেবল কার্গো সেন্টার বা পচনশীল পণ্য কেন্দ্র থেকে শুরু করে প্যাকেজিং ও প্রসেসিং-এর আধুনিক পরিকাঠামো এখানে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই পর্যায়ে এখানে ‘লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ফুড অ্যান্ড ভেজিটেবল মার্কেট’-এর আধুনিকীকরণ হয়েছে। যেরকম পুনর্নবীকরণ হয়েছে তাতে কৃষকদের অনেক সুবিধা হবে। শহংশাহপুরে বায়ো-সিএনজি প্ল্যান্ট গড়ে ওঠার ফলে বায়ো-গ্যাসও পাওয়া যাবে, আবার কৃষকরা হাজার হাজার মেট্রিক টন জৈব সারও পাবেন।

ভাই ও বোনেরা,

বিগত বছরগুলির আরেকটি সাফল্য যদি কাশীতে হয়ে থাকে সেটি হল আরেকবার বিশ্বে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠত্বের দিকে এগিয়ে চলা। আজ প্রযুক্তি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে অভূতপূর্ব পরিষেবা তৈরি করা হচ্ছে। সারা দেশ থেকে এখানে তরুণ-তরুণীরা পড়াশোনা করার জন্য আসেন। পাশাপাশি কয়েকশ’ ছাত্রছাত্রীর জন্য এখানে যে আবাসিক পরিষেবা গড়ে উঠেছে তা তরুণ বন্ধুদের জীবনের উন্নতিতে অনেক সহায়ক হয়ে উঠবে। বিশেষ করে, কয়েকশ’ ছাত্রীর জন্য যে হস্টেলের পরিষেবা গড়ে উঠেছে তা মালব্যজির দূরদৃষ্টিকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে আরও শক্তি যোগাবে। মেয়েদেরকে উচ্চ এবং আধুনিক শিক্ষা প্রদানের জন্য যে সঙ্কল্প নিয়ে তিনি বেঁচে ছিলেন, তা বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য করবে।

ভাই ও বোনেরা,

এই সকল উন্নয়ন প্রকল্প নিশ্চিতভাবেই আমাদের আত্মনির্ভরতার সঙ্কল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করবে। কাশী এবং এই গোটা এলাকার অদ্ভূত মৃৎশিল্প বিখ্যাত। অন্যান্য হস্তশিল্প এবং বস্ত্রশিল্পে এই এলাকার হস্তশিল্পী এবং তাঁতিদের প্রত্যেকের হাতে যেন জাদু রয়েছে। সরকারের প্রচেষ্টায় বিগত পাঁচ বছরে বারাণসীতে খাদি এবং অন্যান্য কুটীর উদ্যোগে উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনই বিক্রির ক্ষেত্রে প্রায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। সেজন্য আরেকবার আমি এখান থেকে সমস্ত দেশবাসীকে অনুরোধ জানাব যে, এবারের দীপাবলিতে আমাদের এই বন্ধুদের দীপাবলির কথাও মাথায় রাখতে হবে। আমাদের ঘরের সাজসজ্জা থেকে শুরু করে আমাদের জামাকাপড় এবং দীপাবলির প্রদীপ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রেই আমাদের ‘লোকাল’ এর জন্য ‘ভোকাল’ থাকতে হবে। ধনতেরাস থেকে শুরু করে দীপাবলি পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবে খুব স্থানীয় পণ্য কেনাকাটা করুন। তাহলেই সকলের দীপাবলি আনন্দে ভরে উঠবে, আর যখন আমি ‘লোকাল’ নিয়ে ‘ভোকাল’ হওয়ার কথা বলি, তখন আমি দেখেছি আমাদের টিভিওয়ালারা শুধুই মাটির প্রদীপ দেখান। ‘ভোকাল ফর লোকাল’ শুধুই মাটির প্রদীপ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না ভাই, যত পণ্য সৃষ্টির পেছনে আমাদের দেশবাসীর ঘাম ঝরানো পরিশ্রম থাকে, যত পণ্যের উৎপাদনে আমাদের দেশের মাটির সুরভী থাকে – এই সব কিছুর কথাই আমি বলছি, আর দেখবেন একবার যদি আমাদের স্থানীয় জিনিস কেনার অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়, তাহলে উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে, কর্মসংস্থানও বাড়বে, দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তিও কাজ পাবেন, আর সবাই মিলেমিশে এই কাজ করতে পারবেন। সকলের প্রচেষ্টায় আমরা দেশে অনেক বড় বড় পরিবর্তন আনতে পারব।

বন্ধুগণ,

আরেকবার আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মিশনের জন্য গোটা দেশকে, আর বিবিধ উন্নয়ন প্রকল্প ও অন্যান্য অনেক প্রকল্পের জন্য কাশীবাসীকে অনেক অনেক শুভকামনা। আপনাদের সবাইকে আগামী সমস্ত উৎসবের দিনগুলির জন্য আরেকবার অনেক অনেক অগ্রিম শুভকামনা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

CG/SB/DM/



(Release ID: 1768709) Visitor Counter : 201