স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ “গণতন্ত্র অর্পণ : সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দুই দশক” – শীর্ষক তিন দিনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন
Posted On:
27 OCT 2021 7:47PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৭শে অক্টোবর, ২০২১
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সহযোগিতা মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ আজ তিন দিনের একটি জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন। রামভাউ মহালগি প্রবোধিনী আয়োজিত এই সম্মেলনের বিষয় “গণতন্ত্র অর্পণ : সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দুই দশক”। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সহ বিশিষ্টজনেরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলনের উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর চিন্তা ভাবনা, কর্মধারা এবং সাফল্য অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হয়েছেন। ১৯৬০এর শেষের দিকে এবং ২০১৪ সালে মানুষের মনে একটি বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল। আমাদের বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কি সফল ? ২০১৪ সালের মধ্যে কল্যাণমুখী রাষ্ট্রের ধারণা ভেঙ্গে পড়েছিল। সে বছর জনসাধারণ ধৈর্য্যের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাযুক্ত একটি সরকারকে তাঁরা ভোট দেবেন। ৩০ বছর পর শ্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রীত্বে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে একটি সরকার ক্ষমতায় এসেছিল।
২০০১ সালে বিজেপি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার শ্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর দেওয়া হবে। সেই সময় ভূমিকম্পের ফলে গুজরাট চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিল। রাজ্য সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করছিল। শ্রী মোদী যখন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন তিনি পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে বিভিন্ন পরিবর্তন নিয়ে আসেন। তিনি স্বচ্ছতার সঙ্গে বহু ক্ষেত্রে সংস্কার বাস্তবায়িত করেন। শ্রী শাহ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় শ্রী মোদী বলতেন সংস্কারের অর্থ পদ্ধতির পরিবর্তন নয়। পরিবর্তনের জন্য পরিস্থিতির বদল ঘটাতে হবে। সেই সময় শ্রী মোদী, সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় তদানিন্তন ক্ষমতাসীন সরকার ১০ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছিল। কিন্তু সেই সময়ের মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য প্রধানমন্ত্রীকে তার প্রাপ্য সম্মান দিতেন না। তাঁরা নিজেরাই নিজেদের প্রধানমন্ত্রী বলে মনে করতেন। দেশে তখন নীতি পঙ্গুত্ব চলছিল। নিরাপত্তার সঙ্কট দেখা দেয়। অন্য দেশের কাছে ভারতের সম্মান তলানিতে পৌঁছায়। প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়েছিল। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে আপষ করা হচ্ছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায় পৌঁছায় যে, আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে কোনো সময়ে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় জনতা পার্টি সিদ্ধান্ত নেয়, ২০১৪র নির্বাচনে দলের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী। দেশে তখন বিভিন্ন আন্দোলন চলছিল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ঘোষণা দেশে নতুন আশার সঞ্চার করেন। ক্ষোভকে আশায় পরিণত করা হয়। এহেন পরিস্থিতিতে ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিবর্তন দেখা দেয়। প্রশাসন, সংস্কার বা সুপ্রশাসনের মতো বিষয়গুলি এককভাবে দেশের সব সমস্যার সমাধান করতে পারে না। কারণ, প্রশাসন এবং আর্থিক বিকাশই সমস্যার মূল কারণ নয়। দেশের সংস্কৃতি এবং গর্বিত মানসিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে একজন জননেতার প্রয়োজন ছিল। যিনি তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন এবং তার কাজের ধারা ভিন্ন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর শ্রী মোদী দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে মানবিকতার স্পর্শ দেন। দরিদ্র মানুষদের কল্যাণে ভিন্ন এক প্রেক্ষিত তিনি তুলে ধরেণ। আর্থিক সংস্কার বজায় রাখার সঙ্গে সমাজের দরিদ্রতম মানুষের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় পাসপোর্টের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের অর্থ দেশের নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করা ౼ যাতে একটি শিশু থেকে একজন বৃদ্ধ মানুষ প্রত্যেকেই সুরক্ষিত থাকতে পারেন।
এর আগে দেশের প্রতিরক্ষা নীতি বিদেশ নীতির উপর ভিত্তি করে তৈরি হতো। নরেন্দ্র মোদীর সময়কাল থেকে এই দুই নীতির মধ্যে পার্থক্য তৈরি করা হয়। আমাদের সংবিধানে দরিদ্রতম মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি দেশের সুরক্ষা এবং সমৃদ্ধির দিকটিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভারতের সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের প্রতিপত্তি বৃদ্ধি করে। শ্রী শাহ বলেন, “যদিও শ্রী মোদী নিজেকে প্রধান সেবক হিসেবে বিবেচনা করেন, তবে আমি বলতে পারি যে, স্বাধীনতার পর যদি কোনো সফল প্রধানমন্ত্রীর প্রসঙ্গ ওঠে তাহলে অবশ্যই শ্রী মোদীর নাম করতে হয়।” প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন পরিকল্পনার আয়তনের পরিবর্তন ঘটান। আজ যে কোনো নীতি কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা গোষ্ঠী বা দলের কথা বিবেচনা করে নেওয়া হয় না, বরং তা জাতীয় স্বার্থে গৃহীত হয়। ১৯৬০ সালের পর জনসাধারণের ভালো লাগার ওপর বিচার করে নীতি নির্ধারিত হতো। কিন্তু শ্রী মোদী জনসাধারণের উপকারের দিকটি বিবেচনা করে নীতি নির্ধারণ করা শুরু করেন। যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তার নীতিগুলি গৃহীত হয়। এক্ষেত্রে কোনো শঙ্কা বা দ্বিধা থাকে না। মোদী সরকার, দেশের কোনো নীতি গ্রহণের সময় দরিদ্র মানুষদের বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রাখেন। এছাড়াও নাগরিকদের বিষয়গুলি সব সময় অগ্রাধিকার পায়। শ্রী মোদী বিমুদ্রাকরণের মতো বিভিন্ন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেকেই এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন। কিন্তু তিনি দেশে বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে লেনদেন ও কালো টাকা দূর করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয় সংস্কৃতির রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আজ যোগ এবং আয়ুর্বেদকে সারা পৃথিবীর সঙ্গে পরিচিত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় সংস্কৃতির বাহক হিসেবে রাষ্ট্রসংঘে বক্তৃতা দেন।
CG/CB/SFS
(Release ID: 1767166)
Visitor Counter : 298