উপ-রাষ্ট্রপতিরসচিবালয়

উপরাষ্ট্রপতি চারদিনের রাজস্থান সফর শেষে ফিরে এসেছেন

উপরাষ্ট্রপতি রাজস্থানের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং সীমান্তবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছেন

Posted On: 30 SEP 2021 2:01PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

 

উপরাষ্ট্রপতি শ্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু চারদিনের রাজস্থান সফর শেষে আজ নতুন দিল্লিতে ফিরে এসেছেন। শ্রী নাইডু রাজস্থানের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক কেন্দ্র এবং সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। তাঁর সফরে তিনি কৃষি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। শুষ্ক জমিতে চাষের জন্য নতুন জাতের উদ্ভাবন নিয়ে উপরাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়।

উপরাষ্ট্রপতি তাঁর সফর শুরু করেছিলেন জয়সলমীরের প্রসিদ্ধ তনোট মাতা মন্দির পরিদর্শন করে। সেখানে তিনি তাঁর পত্নী শ্রীমতি ঊষা নাইডুকে সঙ্গে নিয়ে পূজার্চনা করেন। পরে,তনোট-এর বিজয় স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর তিনি জয়সলমীরে সীমান্ত এলাকায় সুবিখ্যাত লঙ্গেওয়ালা যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শন করেন। শ্রী নাইডু ১৯৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধে ভারতীয় সৈনিকদের দৃষ্টান্তমূলক সাহস ও সংকল্পের প্রশংসা করেন।

উপরাষ্ট্রপতি তাঁর দ্বিতীয় দিনের সফরে জয়সলমীর সমর জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি দেশের সুরক্ষায় এবং প্রতিকূল আবহাওয়ায় সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আহ্বান জানান যে, নতুন এবং আধুনিক সাইবার যুদ্ধের মতো বিষয়গুলিতে তাঁদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। পরে উপরাষ্ট্রপতি ১৯১ ব্যাটেলিয়ানের হেডকোয়ার্টারে একটি সৈনিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেন ও  সেখানে উপস্থিত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্ত এলাকাগুলি নজরদারির ক্ষেত্রে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। সীমান্ত এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে হানাদারি সহ শত্রুপক্ষের ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আলোকপাত করেন। নিরাপত্তা বাহিনীতে মহিলাদের অংশগ্রহণ বাড়ার জন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

জয়সালমীরে দুদিন থাকার পর উপরাষ্ট্রপতি যোধপুরে যান। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ওই দিন তিনি মেহরানগড় দুর্গ ও তার রাজসিক ঐশ্বর্য দেখে অভিভূত হয়ে যান। পরে এক ফেসবুক পোস্টে উপরাষ্ট্রপতি দুর্গটিকে রাজস্থানের জাঁকজমকের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেন। পর্যটনকে উৎসাহিত করতে তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির পরিকাঠামো এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।

শ্রী নাইডু তাঁর রাজস্থানের সফরের তৃতীয় দিনে তিনি যোধপুরে আইআইটি ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি যোধপুর সিটি নলেজ এন্ড ইনোভেশন ক্লাস্টার-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এছাড়াও ফ্যাব ল্যাব ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্তেলিজেন্স অফ থিংস সিস্টেমস-এর তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। উপ রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে শিক্ষার্থীদের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স- এর মতো বৈপ্লবিক প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো আহ্বান জানান‌। কৃষি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্যার বাস্তব সমাধান নিয়ে তিনি পরামর্শ দেন।

রাজস্থান সফরের শেষ দিনে উপরাষ্ট্রপতি যোধপুর ফ্রন্টিয়ার হেডকোয়ার্টার্সে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং বাহিনীর আধিকারিকদের সঙ্গে মিলিত হন।

ওইদিন উপরাষ্ট্রপতি ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ, আইসিএআর -এর অধীন যোধপুরের  সেন্ট্রাল আরিড জোন রিসার্চ ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বিজ্ঞানী ও কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন। ওই কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কৃষকদের জন্য আরও বেশি করে প্রচারের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, "প্রযুক্তি এবং গবেষণালব্ধ ফলকে কেবল গবেষণাগারের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা উচিত নয়, তাকে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত।"

জয়পুর থেকে নতুন দিল্লি ফেরার পথে উপরাষ্ট্রপতি শ্রী নাইডু এবং তাঁর পত্নী শ্রীমতি ঊষা নাইডুকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের রাজ্যপাল শ্রী কালরাজ মিশ্র, রাজস্থান সরকারের মন্ত্রী ডক্টর বুলকি দাস কাল্লা, রাজ্যসভার সদস্য শ্রী রাজেন্দ্র গেহলট এবং অন্যান্য ব্যক্তিরা।

 

CG/ SB



(Release ID: 1759801) Visitor Counter : 127