প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর

মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ

Posted On: 07 AUG 2021 1:38PM by PIB Kolkata

৭ই আগস্ট২০২১নয়াদিল্লি

 

নমস্কার!

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল এবং আমার বহুদিনের পরিচিত শ্রী মঙ্গুভাঈ প্যাটেলযিনি নিজের সম্পূর্ণ জীবন জনজাতি গোষ্ঠীর কল্যাণজনজাতি গোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্যে উৎসর্গ করেছেনসেই মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রী মঙ্গুভাঈমুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিংরাজ্য সরকারের অন্য সকল মন্ত্রীগণসাংসদবিধায়ক বন্ধুরা এবং মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যে সকল বোন  ভাইয়েরা যুক্ত হয়েছেন

প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার অন্তর্গত এই অন্ন বিতরণ কর্মসূচীর জন্যে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। মধ্যপ্রদেশে আজ এই প্রকল্পের আওতায় প্রায়  কোটি সুবিধাভোগীর কাছে এই প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি কোনও নতুন যোজনা নয়দেড় বছর আগে,করোনা যখন শুরু হয়েছিল তখন থেকে এই দেশের ৮০ কোটিরও বেশি দরিদ্রদের ঘরে ঘরে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমার কখনও এই দরিদ্রদের মধ্যে বসে কথোপকথনের সুযোগ হয়নি। আজ মধ্যপ্রদেশ সরকার আমাকে আপনাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দিয়েছে। আমি আজ দূর থেকে হলেও আমার দরিদ্র ভাই-বোনেদের দর্শন করতে পারছিতাঁদের আশীর্বাদ পাচ্ছিআর সেখান থেকেই আমি দরিদ্রদের জন্যে কিছু করার শক্তি পাই। আপনাদের আশীর্বাদ থেকে আমি শক্তি পাইআর সেজন্যেই এই কর্মসূচী গত দেড় বছর ধরে চললেও আমি আজ আপনাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছি। একটু আগেই আমি আমাদের মধ্যপ্রদেশের কয়েকজন ভাই-বোনেদের সঙ্গে কথা বলছিলাম   এই সঙ্কটের সময়ে সরকারের তরফে যে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছেতাঁর ফলে প্রতিটি পরিবারের খুব সুবিধা হয়েছে। তাঁদের কথা বলার মধ্যে সন্তুষ্টি ছিলআত্মবিশ্বাস দেখা যাচ্ছিলো। যদিও এটা অত্যন্ত দুঃখের যে এই সময়ে মধ্যপ্রদেশের অনেক জেলায় বৃষ্টির জন্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেক বন্ধুর জীবনযাত্রা এবং জীবিকাদুইই প্রভাবিত হয়েছে। কঠিন এই পরিস্থিতিতে ভারত সরকার এবং সারা দেশ মধ্যপ্রদেশের পাশে রয়েছে। শিবরাজজি এবং তাঁর পুরো টিম বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে দ্রুতগতিতে ত্রাণ  উদ্ধারের কাজ করছে। এই। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকারকে এনডিআরএফ হোককেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী হোকঅথবা আমাদের সেনাদের জওয়ান হোকসব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।  

ভাই  বোনেরা

দুর্যোগ যেমনই হোক না কেনতাঁর প্রভাব অনেক ব্যাপক এবং সুদুর প্রসারী হয়। করোনা পুরো মানবজাতির কাছে এই শতাব্দীর সবথেকে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। গতবছরের শুরুতে যখন পৃথিবীর কোনো দেশ এধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়নিগত বছরের শুরুতে যখন সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলোতখন গোটা পৃথিবী নিজেদের স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর নজর  দেয়। প্রত্যেক দেশ নিজেদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে শুরু করে। কিন্তু বিশাল জনসংখ্যার দেশ ভারতের জন্যে এই সমস্যা সারা দুনিয়ার অন্যান্য দেশের থেকে অনেক বড় ছিলকারন আমাদের জনসংখ্যাও অনেক বেশি। আমাদের করোনার চিকিৎসা এবং সুরক্ষার জন্যে চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করতেই হতোএই সঙ্কটের থেকে উৎপন্ন অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করতে হতো। করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সারা পৃথিবীতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে ভারতের সামনে আরও অনেক সমস্যা তৈরি হতে শুরু করে। এই সমস্যার মোকাবিলায় সারা দেশ জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করেছিলো। আমাদের কোটি কোটি মানুষের কাছে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজন ছিলোযাতে কেউ অভুক্ত না থাকে। আমাদের অনেক বন্ধু গ্রাম থেকে শহরে গিয়েছিলেন কাজের জন্যেআমাদের তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করার প্রয়োজন ছিলো এবং গ্রামে ফিরে গেলে তাঁদের রোজগারের ব্যবস্থা করারও প্রয়োজন ছিলো। গোটা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এই সমস্ত সমস্যা আমাদের সামনে ছিলোযা বিশ্বের বাকি দেশগুলির তুলনায় ভারতের লড়াই এবং ভারতের সামনে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিলো তা কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছিলো।

কিন্তু বন্ধুরা,

সমস্যা যতই বড় হোক না কেনযখন দেশ একজোট হয়ে তার মোকাবিলা করেতখন পথও বেরিয়ে আসেসমস্যার সমাধানও সম্ভব হয়। করোনা সঙ্কটের মোকাবিলা করতে ভারত তার নিজের রণকৌশলে দরিদ্রদের অগ্রাধিকার দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা হোক অথবা প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ রোজগার যোজনাপ্রথম দিন থেকেই দরিদ্রদের এবং শ্রমিকদের অন্ন এবং রোজগারের চিন্তা করা হয়েছে। এই পুরো সময়ে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। শুধু আটাচাল আর ডালই নয়লকডাউনের সময়ে আমাদের  কোটিরও বেশি দরিদ্র পরিবারকে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। ৮০ কোটি মানুষকে অন্ন কোটিরও বেশি মানুষকে গ্যাস। শুধু তাই নয়প্রায় ২০ কোটিরও বেশি বোনেদের জনধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা সরাসরি পাঠানো হয়েছে।  শ্রমিক এবং কৃষকদের অ্যাকাউন্টেও হাজার কোটি টাকা জমা করা হয়েছে। আর দু-দিন পর ৯ই আগস্ট প্রায় ১০-১১ কোটি কৃষক পরিবারদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আবারও হাজার কোটি টাকা সরাসরি পাঠানো হবে। 

বন্ধুরা,

এই সমস্ত ব্যবস্থার পাশাপাশি ভারত ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ টিকার ওপর সম্পূর্ণ জোর দিয়েছে। সেজন্যেই আজ ভারতের কাছে নিজস্ব টিকা রয়েছে। এই টিকা কার্যকরী এবং সুরক্ষিতও। গতকালই ভারত ৫০ কোটি টিকার ডোজের গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক পার করেছে। ভারতে এক সপ্তাহের মধ্যে যত মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছেতা পৃথিবীর কোনও কোনও দেশের জনসংখ্যার সমান। নতুন ভারতের এটি নতুন শক্তি। ভারত ক্রমশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে। আগে আমরা বিশ্বের বাকি দেশদের থেকে পিছিয়ে থাকতামআজ আমরা বিশ্বের থেকে কয়েক কদম এগিয়ে রয়েছি। আগামী দিনে আমাদের টিকাকরণ অভিযানে আরও গতি আনতে হবে।

বন্ধুরা

করোনার জন্যে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত আজ একইসঙ্গে যে বিভিন্ন পর্যায়ে সমস্যার মোকাবিলা করছে তা আমাদের দেশের শক্তির প্রতীক। আজঅন্যান্য রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকদের সুবিধার জন্যএক দেশএক রেশন কার্ডের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। বড়বড় শহরগুলিতে যাতে শ্রমিকদের বস্তিতে থাকতে না হয়সেজন্যে ন্যায্য মূল্যের ভাড়ায় বাসস্থানের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয়েছে ।আমাদের ভাই –বোনেরাযারা রাস্তায় হকারি এবং ঠেলাওয়ালার কাজ করেআমাদের এই বন্ধুরা যাতে আবার তাদের ব্যবসা শুরু করতে পারেনসেজন্যে পিএম স্বনিধি যোজনার অধীনেতাদের ব্যাঙ্ক থেকে সহজে ঋণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের নির্মাণ ক্ষেত্রআমাদের পরিকাঠামো ক্ষেত্রকর্মসংস্থানের একটি বিশাল উৎস। সেজন্যেসারা দেশে বিভিন্ন পরিকাঠামোর প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করার কাজ চলছে।

বন্ধুরা,

সারা বিশ্ব জুড়ে জীবনযাত্রার ওপর যে অভূতপূর্ব সঙ্কট দেখা দিয়েছেতার ফলে ক্ষতি যাতে কম হয়ভারত নিরলসভাবে সেই চেষ্টাই করে চলেছে। সেজন্যে গত বছরে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং এখনও নেওয়া হচ্ছে।  অতিক্ষুদ্র  ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলিকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্যে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে। কৃষি এবং তার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কাজকর্ম যাতে চলতে পারেতাও নিশ্চিত করেছে সরকার। আমরা কৃষকদের সাহায্য করতে নতুন সমাধান তৈরি করেছি। মধ্যপ্রদেশও এক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করেছে। মধ্যপ্রদেশের কৃষকেরা রেকর্ড পরিমাণে উৎপাদন করেছেসরকারও রেকর্ড পরিমাণে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে শস্য সংগ্রহ নিশ্চিত করেছে। আমাকে জানানো হয়েছে যে এবারে মধ্যপ্রদেশে গম সংগ্রহের জন্যে দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সংগ্রহ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ সরকার ১৭ লক্ষেরও বেশি কৃষকের কাছ থেকে গম কিনেছে। এবং ২৫ হাজার কোটি টাকা সংশ্লিষ্ট কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা পড়েছে।

ভাই  বোনেরা,

ডাবল ইঞ্জিন সরকারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল যে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলিকে আরও উন্নত করেতার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। দক্ষতা উন্নয়ন হোকস্বাস্থ্য পরিকাঠামো হোকডিজিটাল পরিকাঠামো হোকরেল-সড়ক যোগাযোগ হোকমধ্যপ্রদেশে প্রত্যেক ক্ষেত্রে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে। শিবরাজ জির নেতৃত্বে মধ্যপ্রদেশ ‘অসুস্থ’  রাজ্যের তকমা অনেক আগেই পিছনে ফেলে এসেছে। অন্যথায় আমার মনে আছে মধ্যপ্রদেশের রাস্তাগুলির কি অবস্থা ছিল। সেখান থেকে অনেক বড়-বড় দূর্নীতির খবর পাওয়া যেত। আজ মধ্যপ্রদেশের শহরগুলি পরিচ্ছন্নতা  উন্নয়নের নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।

ভাই  বোনেরা,

আজ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প দ্রুতগতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছেকার্যকর  করা হচ্ছেকারণ সরকারের কাজের ধরনে পরিবর্তন এসেছে। আগেকার সরকারি ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিলো। তাঁরা দরিদ্রদের বিষয়ে প্রশ্নও নিজেরা করতউত্তরও নিজেরাই দিতো। সুবিধাভোগীদের ব্যাপারে ভাবাই হতো না। কিছু মানুষ ভাবতেনদরিদ্রদের রাস্তার কী প্রয়োজনতাঁদের তো আগে রুটির প্রয়োজন। কিছু ব্যক্তি তো এরকমও বলতেন যে দরিদ্রদের গ্যাসের কী দরকারকাঠের উনুনেও তো খাবার বানানো যায়। এক একজন তো এরকমও বলতো যে যার কাছে রাখার টাকাই নেইতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কী প্রয়োজনব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পিছনে কেন পড়ে আছপ্রশ্ন করা হতো দরিদ্রদের ঋণ দিলে তাঁরা তা শোধ করবে কী করে ?  কয়েক দশক ধরে এই প্রশ্নগুলিই দরিদ্রদের এই সমস্ত সুবিধার থেকে বঞ্চিত রেখেছিলো। এটা একভাবে কিছু না করার বাহানা ছিলো। দরিদ্রদের জন্যে রাস্তাও হয়নিদরিদ্রদের জন্যে গ্যাসও ছিলো নাদরিদ্ররা বিদ্যুতও পায়নিদরিদ্ররা পাকা বাড়িও পায়নিদরিদ্রদের জন্যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খোলা হয়নিদরিদ্রদের জন্যে পানীয় জলও পৌছয়নি। ফলেকয়েক দশক ধরে দরিদ্ররা মূল পরিষেবা সুবিধাগুলির থেকে বঞ্চিত ছিলো এবং ছোটো-ছোটো প্রয়োজনের জনেও তাঁদের সারাদিন পরিশ্রম করতে হতো। এবার এটাকে আমরা কী বলবোসারাদিন মুখে দরিদ্রদের নাম জপতোদরিদ্রদের গান গাইতোদরিদ্রদের গীত গাইতো। কিন্তু তাদের ব্যবহার এমন ছিলো। এধরনের ব্যবহারকে আমাদের এখানে পাখন্ড বলা হয়পাখন্ড। এরা কোনো সুবিধা তো দিতই নাকিন্তু দরিদ্রদের প্রতি মিথ্যা সহানুভূতি দেখাতো। কিন্তু আমরা যারা কাজ করে উঠে এসেছিআমরা যারা আপনাদের মধ্যে থেকেই এসেছিআপনাদের সুখ-দুঃখ কাছ থেকে অনুভব করেছিআমরা আপনাদের মধ্যে থেকেই উঠে এসেছিসেজন্যে আমরা আপনাদের জন্যে কাজের ধরন পরিবর্তন করেছি। আমরাও এই ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে বেড়ে উঠেছি। সেজন্যেই বিগত কয়েক বছর ধরে দরিদ্রদের সাহায্য করতেসঠিক অর্থে তাঁদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ দেশের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে যে সড়ক তৈরি হচ্ছেতার থেকে নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছেকৃষকরা বাজারের সুযোগ পাওয়ার ফলে তাঁদের সুবিধা হচ্ছে। দরিদ্র মানুষরাও এখন সময় মতো হাসপাতালে পৌঁছতে পারছেন। দেশে দরিদ্রদের জনধন অ্যাকাউন্ট খোলার ফলে তাঁরা ব্যাঙ্কিং  ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আজ তাঁরা মধ্যস্থতাকারীদের ছাড়াই সরাসরি লাভের ভাগ পাচ্ছেন। সহজে ঋণ পাওয়া যাচ্ছে। পাকা বাড়িবিদ্যুৎপানীয় জলগ্যাস এবং শৌচালয়ের সুবিধা দরিদ্রদের সম্মান দিয়েছেআত্মবিশ্বাস তৈরি করেছেঅপমানের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়েছে। একইভাবে মুদ্রা ঋণের ফলে আজ শুধু যে কয়েক কোটি  স্বনির্ভর সংস্থা চলছে তাই নয়তাঁরা অন্যদের জন্যেও কর্মসংস্থান তৈরি করছে।

বন্ধুরা,

যারা বলতেনদরিদ্ররা ডিজিটাল ইন্ডিয়াসস্তা ডেটাইন্টারনেটকে গুরুত্ব দেয় নাতারা আজ ডিজিটাল ইন্ডিয়ার শক্তি অনুভব করছেন।

ভাই  বোনেরা,

গ্রামের মানুষ দরিদ্র  আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষদের ক্ষমতায়নের জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর ফলেআমাদের হস্তশিল্পহস্তচালিত তাঁত এবং বস্ত্র শিল্পের কারিগরদের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে উৎসাহ দেখা দিচ্ছে।  এই অভিযান ‘লোকাল ফর ভোকাল’ কে আরও শক্তিশালী করে। এই ভাবনা নিয়েই আজ দেশ জাতীয় হস্ত চালিত তাঁত দিবসঅর্থাৎ ন্যাশনাল হ্যান্ডলুম ডে উদযাপন করছে। এবং যখন আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপন করছিস্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছিতখন এই ৭ই আগস্টের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। আমাদের সকলের মনে রাখা উচিত১৯০৫ সালের ৭ই আগস্ট স্বদেশী আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। এই ঐতিহাসিক দিনের অনুপ্রেরণা থেকেই ৭ই আগস্ট হস্তশিল্পের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে। আজকের দিনটি গ্রামে গ্রামেআদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত অঞ্চলগুলিতে আমাদের অসাধারণ শিল্পীপ্রতিভাবান কারিগরদের প্রতি সম্মান জানানোরতাঁদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার দিন।   

ভাই  বোনেরা,     

আজ যখন দেশ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছেতখন হস্তশিল্প দিবসের গুরুত্ব আরও কয়েকগুন বেড়ে যায়। আমাদের চরকারআমাদের খাদির আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনে কতবড় অবদান রয়েছেতা আমরা সকলেই জানি। বিগত কয়েক বছরেদেশ খাদি বস্ত্রকে তুলে ধরেছে। এক সময় খাদি মানুষ ভুলে যেতে বসেছিলেন। কিন্তুএখন খাদি একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসাবে পরিচিতি লাভ করছে। আমরা স্বাধীনতার ১০০ বছরের দিকে এগোচ্ছি। আমাদের তাই খাদির মাধ্যমে স্বাধীনতার গুরুত্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আত্মনির্ভর ভারতের জন্যে আমাদের লোকালের জন্যে ভোকাল হতে হবে। মধ্যপ্রদেশে তো খাদিরেশম সহ অনেক ধরনের হস্তশিল্পের সমৃদ্ধ পরম্পরা রয়েছে। আমার আপনাদের সকলের কাছে আবেদন যে আসন্ন উৎসবে হস্তশিল্পের কোনো একটি সামগ্রী অবশ্যই কিনবেন। আমাদের হস্তশিল্পকে সাহায্য করবেন।  

আর বন্ধুরা,

আমি এটাও বলব যে উৎসবের উদ্দীপনার মধ্যেআমাদের করোনাকে ভুলে গেলে হবে না। আমাদের করোনার তৃতীয় ঢেউকে আটকাতে হবে। এর জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মাস্কটিকা এবং দুই গজের দূরত্বএগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ভারতের জন্য আমাদের অঙ্গীকার করতে হবেসমৃদ্ধ ভারতের জন্য আমাদের অঙ্গীকার করতে হবে। আবারও আপনাদের সকলকে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এবং আজ মধ্যপ্রদেশে ২৫ হাজারেরও বেশি বিনামূল্যে রেশন দোকানে কয়েক কোটি নাগরিক জড়ো হয়েছেনআমি তাঁদেরকেও প্রণাম জানাই। করোনা সবাইকে দুশ্চিন্তায় রেখেছে। আমরা সকলে একসঙ্গে এই রোগ থেকে বেরিয়ে আসব। আমরা সবাইকে বাঁচাবোএকসঙ্গে বাঁচাবোসব নিয়ম মেনে এবং এই জয় নিশ্চিত করব। আমি আপনাদের অনেক অনেক শুভ কামনা জানাই।  ধন্যবাদ।   

                 

CG/JD


(Release ID: 1743957) Visitor Counter : 341