বিশেষপরিষেবাওনিবন্ধ
আপৎকালীন স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য ব্যাঙ্কগুলি ৫০,০০০ কোটি টাকার মূলধনের ব্যবস্থা করেছে
प्रविष्टि तिथि:
05 MAY 2021 1:02PM by PIB Kolkata
মুম্বাই, ৫ই মে, ২০২১
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর শ্রী শক্তিকান্ত দাস, কোভিড – ১৯ মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় দেশকে সাহায্যের জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। শ্রী দাস বলেছেন, সরকার, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, টিকা ও ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা, চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদক, বিদেশ থেকে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানীকারক, জটিল স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যে সব বেসরকারী সংস্থা যুক্ত ౼ এদের সকলের যে কোনো আর্থিক সঙ্কট কাটানোর জন্য একটি সর্বাঙ্গীন নীতি গ্রহণের প্রয়োজন। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ তৃণমূল স্তরে কাজ করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সরকার এদের সাহায্য করার জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ঘোষণা করেছে।
আপৎকালীন স্বাস্থ্য পরিষেবা যাতে দ্রুত দেওয়া যায়, সেটি নিশ্চিত করতে তিন বছর পর্যন্ত ৫০,০০০ কোটি টাকার মূলধনের ব্যবস্থা করা হবে। কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সহ আপৎকালীন স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ বাবদ এই অর্থ দেবে। ২০২২ এর ৩১শে মার্চ পর্যন্ত এই ঋণের সুবিধে পাওয়া যাবে।
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও অসংগঠিত ক্ষেত্রকে সাহায্য করার জন্য ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত এই সব সংস্থাগুলিকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার সংস্থান রয়েছে। ক্ষুদ্র আর্থিক ব্যাঙ্কগুলি অতিক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ২০২২ এর ৩১শে মার্চ পর্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে ঋণ দেবে। এর জন্য ৫০০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাগুলিকে ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসার জন্য ফেব্রুয়ারী মাসে বিশেষ ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বিধিবদ্ধ ব্যাঙ্কগুলি ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই) সংস্থার মধ্যে নতুন ঋণগ্রহীতাদের জন্য পুনরায় ঋণ দেবে। ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র বাণিজ্যিক সংস্থা এবং এমএসএমই গুলির জন্য আর্থিক সঙ্কট দূর করতে দ্বিতীয় পর্যায়ে ঋণদান কর্মসূচীর পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে যারা ঋণ নিয়েছিলেন এবং ২ বছরের কম মোরাটোরিয়ামের সুবিধা পেয়েছিলেন, সেই সব সংস্থাগুলি এখন ২ বছর পর্যন্ত এই সুযোগ পাবে। যে সব এমএসএমই বা ব্যক্তিগত সংস্থা ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ নেন নি, তারা ৩০শে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সুযোগ নিতে পারেন। এর আগে এই ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদনের শেষ দিন ছিল ৩১শে মার্চ।
গ্রাহকদের পরিচিতির জন্য কেওয়াইসির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মালিকানাধীন সংস্থাগুলির জন্য ভিডিও কেওয়াইসি-র সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যগুলিকে ওভার ড্রাফ্টের সুযোগ ৩৬ দিনের পরিবর্তে ৫০ দিন পর্যন্ত দেওয়া হবে। এই সুযোগ ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর শ্রী দাস মনে করেন, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার ক্ষেত্রে আরো বেশি টিকা ও ওষুধের প্রয়োজন। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্র, শিক্ষাক্ষেত্র সহ বিভিন্ন জায়গায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ আবশ্যিক। দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কারণে সমাজের সব থেকে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় সহ সকলের জন্য নানা উদ্যোগ সঠিক সময়ে নেওয়া হচ্ছে। একাজে স্বাস্থ্যকর্মী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সহ সামনের সারিতে থাকা কর্মীদের এই মহামারির বিরুদ্ধে নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করার মনোভাবের তিনি প্রশংসা করেছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, পুরো পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ফলে আর্থিক অবস্থায় যে প্রভাব পড়েছে, সেই দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। তবে, এর মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। উন্নত বিশ্বে টিকা পাওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক স্তরে আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আগে, এর পূর্বভাস ৫.৫ শতাংশ করা হলেও বর্তমানে তা ৬ শতাংশ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২১ এর গ্রীষ্মকালে বিকাশশীল অর্থনৈতিক বাজারে এবং ২০২২ এর দ্বিতীয় অর্ধে বেশিরভাগ দেশে আর্থিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে।
২০২১ – ২২ অর্থবর্ষে কৃষিতে রেকর্ড ফলন হওয়ায় খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর এবছর স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়ায় মুদ্রাস্ফীতির চাপ সহনশীল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় স্তরে কনটেনমেন্ট ব্যবস্থাপনা নেওয়ায় গত বছরের মতো পরিস্থিতি হবে না। এবছর সার্বিক ভাবে আর্থিক চাহিদা মাঝামাঝি স্তরে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে আমদানী , রপ্তানী এপ্রিল মাসেও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের বিদেশী মুদ্রা ভান্ডারের সঞ্চয় আমাদের মধ্যে আস্থা যুগিয়েছে। বাড়তি মূলধন থাকায় অভ্যন্তরীণ আর্থিক পরিস্থিতি অনুকূল থাকবে। বাজার, ইতিবাচক মনোভাব দেখানোয় সরকারী সিকিউরিটির দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্রয় ২০ই মে হবে। এর জন্য লক্ষমাত্রা ধার্য হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
গর্ভনর জানিয়েছেন, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ অপ্রতিরোধ্য নয়, সম্ভাব্য সব রকম ব্যবস্থার মাধ্যমে মানব জীবন এবং জীবিকা রক্ষা করা আমাদের মূল লক্ষ্য। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, আর্থিক পরিস্থিতি যাতে অনুকূল থাকে এবং বাজার দক্ষভাবে কাজ করতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। আর তাই অপ্রচলিত পন্থা অনুসরণ করে চাহিদা অনুযায়ী নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করতে ব্যাঙ্ক প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে শ্রী দাস জানিয়েছেন।
SDG/CB/SFS
(रिलीज़ आईडी: 1716750)
आगंतुक पटल : 291