PIB Headquarters

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত পিআইবি’র সংবাদ

Posted On: 23 APR 2021 6:18PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ২৩ এপ্রিল, ২০২১

 

ভারতে ১৩.৫৪ কোটির বেশি টিকা প্রদান করা হয়েছে

বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে ভারতে ১৩.৫৪ কোটির বেশি কোভিড-১৯ টিকার ডোজ প্রদান করা হয়েছে।

আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত ১৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৮৪টি টিকাদান পর্বের মাধ্যমে মোট ১৩ কোটি ৫৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪২০টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯২ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৬৪ জন স্বাস্থ্য কর্মীকে টিকার প্রথম ডোজ এবং ৫৯ লক্ষ ৪ হাজার ৭৩৯ জন স্বাস্থ্য কর্মীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৫৯ জন প্রথম সারির কর্মীকে প্রথম ডোজ, ৬০ লক্ষ ৭৭ হাজার ২০৭ জন প্রথম সারির কর্মীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছরের বেশি বয়সী ৪ কোটি ৮৫ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮১০ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ, ৬৫ লক্ষ ২১ হাজার ৬৬২ জন সুবিধাভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪ কোটি ৫৫ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৩০ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ ও ১৯ লক্ষ ১ হাজার ২৯৬ জন সুবিধাভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হয়েছে। ৮টি রাজ্যে টিকা দানের হার ৫৯.০৮ শতাংশ।

৮টি রাজ্যে টিকাদান হারের রেখা চিত্র ক্রমশই বেড়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ লক্ষ মানুষকে টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

টিকাদান কর্মসূচির ৯৭ তম দিনে ৩১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭৮২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ২৮ হাজার ৬৮৩টি টিকাদান পর্বের মাধ্যমে ১৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৭৩ জন সুবিধাভোগীকে প্রথম ডোজ এবং ১২ লক্ষ ২১ হাজার ৯০৯ জন সুবিধাভোগীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৩০ জন। 

মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, কর্ণাটক, কেরালা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, গুজরাট এবং রাজস্থান – এই ১০টি রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের হার ৭৫.০১ শতাংশ।

মহারাষ্ট্রে একদিনে ৬৭ হাজার ১৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে ৩৪ হাজার ২৫৪ এবং কেরালায় ২৬ হাজার ৯৯৫ জন একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

১২টি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ হারের রেখাচিত্র ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। 

ভারতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৪ লক্ষ ২৮ হাজার ৬১৬-য় পৌঁছেছে। এখন দেশে সক্রিয় রোগীর হার ১৪.৯৩ শতাংশ। 

মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং কেরালা – এই ৫টি রাজ্যে সক্রিয় রোগীর হার ভারতের মোট সক্রিয় রোগীর হারের ৫৯.১২ শতংশ। 

ভারতে এপর্যন্ত করোনা থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন ১ কোটি ৩৬ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৫৯ জন। দেশে সুস্থতার হার ৮৩.৯২ শতাংশ।

বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – 

https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1713506

যেসব রাজ্যে সংক্রমণ বেশি সেইসব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন

আমরা যদি এক জাতি হিসেবে কাজ করি তাহলে সম্পদের কোনো ঘাটতি হবেনা: প্রধানমন্ত্রী 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আজ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে করোনা সংক্রমণ সম্প্রতি যেখানে বেশি হয়েছে সে রকম ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। 

দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর শহর সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই ভাইরাস যথেষ্টভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি করেছে। প্রধানমন্ত্রী মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একজোট হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। মহামারীর প্রথম ঢেউকে প্রতিহত করার জন্য ভারতের সাফল্যের সবথেকে বড় ভিত্তি ছিল আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও কৌশল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, বর্তমান সংকট মেটাতে একইভাবে  আমাদের সেই একই ভাবে উদ্যোগী হতে হবে।  

সমস্ত রাজ্যগুলিকে এই লড়াইয়ে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে, পরিস্থিতির ওপর কড়াভাবে নজর রাখছে এবং বিভিন্ন সময়ে রাজ্যগুলিকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

অক্সিজেন সরবরাহ প্রসঙ্গে রাজ্যগুলির উত্থাপিত প্রসঙ্গ প্রধানমন্ত্রী শুনেছেন। তিনি বলেছেন, অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করার জন্য নিরবচ্ছিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর এবং মন্ত্রক একযোগে কাজ করছে। শিল্পের জন্য ব্যবহৃত অক্সিজেন বর্তমান সঙ্কটের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।  

শ্রী মোদী সমস্ত রাজ্যকে অনুরোধ জানিয়েছেন, তারা যাতে ওষুধ এবং  অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে  সকলকে  একযোগে সমন্বিতভাবে কাজ করেন।  অক্সিজেন এবং ওষুধপত্রের মজুতদারি ও কালোবাজারি রুখতে রাজ্যগুলিকে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্য কোন রাজ্যের জন্য অক্সিজেন পরিবহণের সময় ট্যাঙ্কারকে যাতে  আটকানো না হয় প্রধানমন্ত্রী সেটি নিশ্চিত করতে প্রতিটি রাজ্যকে অনুরোধ করেছেন। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন পরিবহণের জন্য তিনি রাজ্যগুলিকে উচ্চপর্যায়ের সমন্বয় কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন। এই কমিটির কাজ হবে কেন্দ্র থেকে নির্ধারিত অক্সিজেন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে যত দ্রুত সম্ভব পৌঁছে দেওয়া নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীদের জানিয়েছেন গতকাল তিনি অক্সিজেন সরবরাহের ওপর একটি বৈঠকের পৌরহিত্য করেছেন এবং আজ অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর সমস্ত পন্থা নিয়ে আলোচনা করতে আর একটি বৈঠক করবেন। 

বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – 

https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1713553

সারা দেশে প্রথমসারির অক্সিজেন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মত বিনিময়

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রথম সারির অক্সিজেন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, এই সময়টি কেবলমাত্র সমস্যা মোকাবিলার নয়, খুব অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী সরকার এবং অক্সিজেন প্রস্তুতকারকদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। 

গত কয়েক সপ্তাহে অক্সিজেন প্রস্তুতকারকদের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তরল অক্সিজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের কথা তুলে ধরেন  তিনি। দেশে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা পূরণে শিল্প ক্ষেত্রে ব্যবহৃত অক্সিজেনকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য কাজে লাগাতে শিল্প সংস্থাগুলি যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। 

পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে প্রধানমন্ত্রী শ্রী মোদী আগামী কয়েকদিনে অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত অক্সিজেনকে কাজে লাগানোর কথা উল্লেখ করেছেন। শ্রী মোদী জানিয়েছেন, অক্সিজেন সিলিন্ডারের সহজলভ্যতার পাশাপাশি অক্সিজেন পরিবহণের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার উন্নতিসাধন করার প্রয়োজন রয়েছে। অন্যান্য গ্যাস পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত ট্যাঙ্কারগুলি যাতে অক্সিজেন সরবরাহের কাজে ব্যবহার করা যায়, তার জন্য শিল্পসংস্থাগুলিকে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যগুলির অক্সিজেনের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সরকার রেল এবং বিমান বাহিনীকে কার্যকর ভাবে ব্যবহার করছে, যাতে দ্রুত ট্যাঙ্কার অক্সিজেন উৎপাদন কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া যায়। 

বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – 

https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1713590

বিরারে হাসপাতালে অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবারের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা, এককালীন সাহায্য ঘোষণা 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্রের বিরারে একটি কোভিড-১৯ হাসপাতালে  অগ্নিকান্ডে নিহতদের পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন । তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। 

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবারপিছু এককালীন ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও গুরুতর আহতরা ৫০,০০০ হাজার টাকা পাবেন। 

বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – 

https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1713504

প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায়, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাভুক্ত উপভোক্তাদের জন্য মে এবং জুন মাসে বিনামূল্যে অতিরিক্ত খাদ্যশস্য দেওয়া হবে

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন-২০১৩ অনুযায়ী প্রতিমাসে মাথা পিছু ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে, উপকৃত হবেন ৮০ কোটি উপভোক্তা, আগামী দু'মাসের জন্য অর্থাৎ মে ও জুন ২০২১ পর্যন্ত এই খাদ্যশস্য দেওয়া হবে

দরিদ্র শ্রেণীর মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভারত সরকার জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন, ২০১৩- র আওতাভুক্ত প্রায় ৮০ কোটি উপভোক্তাকে প্রতিমাসে বিনামূল্যে ৫ কেজি খাদ্যশস্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় আগামী দুমাস অর্থাৎ মে ও জুনে এই খাদ্যশস্য দেওয়া হবে।

এই বিশেষ পরিকল্পনায় ( প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্য যোজনা) জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন এর আওতাভুক্ত ৮০ কোটি উপভোক্তা উপকৃত হবেন। এর মধ্যে রয়েছে অন্তোদয় অন্ন যোজনা এবং প্রায়োরিটি হাউস হোল্ডার্স। প্রত্যেককে ৫ কেজি করে চাল/ গম বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলিকে কেন্দ্রীয় সহায়তা হিসেবে সরকার খাদ্যশস্য এবং অন্তর্দেশীয় পরিবহন খাতে এজন্য ২৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে।

বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – 

https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1713561

ভারতীয় বায়ুসেনা নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে অক্সিজেন কন্টেনার, নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসার সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছে

ভারতীয় বাসুসেনা নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোভিড হাসপাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে অক্সিজেন কন্টেনার, সিলিন্ডার, নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধ, কোভিড হাসপাতালের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার বিশেষ বিমান ও হেলিকপ্টার এই কাজে যুক্ত রয়েছে। কোচি, মুম্বাই, ভাইজ্যাক এবং ব্যাঙ্গালোর থেকে চিকিৎসক এবং নার্সদের বিশেষ বিমানে করে দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে। 

বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – 

https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1713580

কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঢেউ নতুন করে আছড়ে পড়ার প্রেক্ষিতে স্বসস্ত্রবাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবা (এএফএমএস) জার্মানি থেকে নতুন অক্সিজেন উৎপাদনকারী যন্ত্র আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে 

কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঢেউ নতুন করে আছড়ে পড়ার প্রেক্ষিতে স্বসস্ত্রবাহিনীর চিকিৎসা পরিষেবা (এএফএমএস) জার্মানি থেকে নতুন অক্সিজেন উৎপাদনকারী যন্ত্র আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জার্মানি থেকে বিশেষ বিমানে ৩২টি ভ্রাম্যমান অক্সিজেন উৎপাদনকারী যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে এবং এগুলি কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য এএফএমএস হাসপাতালগুলিতে পাঠানো হয়েছে। 

বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – 

https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1713573

কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণার বিষয় পরিচালনার জন্য আইসিএমআর-এর ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি

কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণার বিষয় পরিচালনার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ-কে (আইসিএমআর) গতকাল অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক এবং ডিরেক্টরেট জেনারল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। আইসিএমআর কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে আইআইটি কানপুরের সহযোগিতায় ড্রোন ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছে। আপাতত এক বছরের জন্য এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

বিস্তারিত জানার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – 

https://www.pib.gov.in/PressReleseDetail.aspx?PRID=1713449

পিআইবি-র আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য

• মহারাষ্ট্র – মুম্বাইয়ের কাছে বিরারে কোভিড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ১৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় মহারাষ্ট্র সরকার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। নিহতদের পরিবারবর্গকে ৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। বিগত কয়েকদিনে মুম্বাইয়ে ৬০ হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

• গুজরাট – গুজরাটে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য শয্যার সংখ্যা ৪২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৯০ হাজার করা হয়েছে। নতুন করে ১৩ হাজার ১০৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জনের। 

• মধ্যপ্রদেশ – রাস্তার হকারদের মধ্যপ্রদেশ সরকার ১ হাজার টাকা করে অর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ১৩,১০৭ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

• ছত্তিশগড় – রাজ্যের ১৮ শতাংশ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

• রাজস্থান – রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৫৭ পৌঁছেছে। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। রাজ্যের অক্সিজেনের ঘাটতির বিষয় নিয়ে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। 

• গোয়া – রাজ্য সরকার ৬০ কোটি টাকা দিয়ে ১৫ লক্ষেরও বেশি কোভিশিল্ড টিকার ডোজ কিনেছে। মূলত এই টিকা ১৮-৪৫ বছর বয়সী লোকেদের দেওয়া হবে। 

• কেরালা – বৃহস্পতিবার রাজ্যে ২৬ হাজার ৯৯৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৩৮ হাজার ৩১৮ জনকে আজ টিকার প্রথম ডোজ এবং ৩১,৬০৭ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

• তামিলনাড়ু – রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোভিড টিকার ডোজ দ্রুত রাজ্যে সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন। এপর্যন্ত রাজ্যে ৬১.৮৫ লক্ষ টিকার ডোজ প্রদান করা হয়েছে। 

• কর্ণাটক – নতুন করে ২৫,৭৯৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। 

• অন্ধ্রপ্রদেশ – ১০,৭৫৯ জন নতুন করে অক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩,৯৯২ জন সুস্থ হয়েছেন। 

• তেলেঙ্গানা – রাজ্যের ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫৭ জনকে টিকার প্রথম ডোজ এবং ২৪,৭৮৭ জনকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৬,২০৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৯ জন। 

• আসাম – রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক করেছেন। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। 

• মণিপুর – ৮৬ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ১,১৮,২১৫ জনকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়েছে। 

• মেঘালয় – ১৮০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে ৬৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। 

• নাগাল্যাণ্ড – ৫৩ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২,৮০০ ছাড়িয়েছে। 

• ত্রিপুরা – আগরতলায় কোভিড কেয়ার সেন্টারে ৩১ জন কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগী ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৬ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। 

• সিকিম – সিকিমে কোভিড-১৯-এ মৃত্যুর সংখ্যা ১৩৭-এ পৌঁছেছে। ২৪ ঘণ্টায় ১২৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ১,২১৩ জনকে কোভিড-১৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

• পাঞ্জাব – সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৭১৯-এ পৌঁছেছে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৮,১৮৯ জন। 

• হরিয়ানা – হরিয়ানায় মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৮,৫৯৭। মোট মৃত্যু হয়েছে ৩,৫৮৩ জনের।

• চণ্ডীগড় – ৪,২৭৩ জন সক্রিয় রোগী রয়েছেন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৪২৭ জনের।

• হিমাচল প্রদেশ – এপর্যন্ত ৮২,৮৭৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১,২৪১ জনের। 

 

 

CG/SS/AS/


(Release ID: 1713681) Visitor Counter : 231