ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্রওমাঝারিশিল্পমন্ত্রক
খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ (কেভিআইসি) মৌমাছি ব্যবহার করে হাতি এবং মানুষের মধ্যে সংঘাত এড়াতে ‘রি-হাব’ প্রকল্প চালু করেছে
Posted On:
15 MAR 2021 5:29PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১৫ মার্চ, ২০২১
কল্পনা করুন আপনার সামনে একপাল হাতি দাঁড়িয়ে রয়েছে।সম্মুখে সমূহ বিপদ। কিন্তু এই বৃহত্তম বুদ্ধিমান প্রাণীটিকে ছোট্ট মৌমাছি অনায়াসেই তাড়িয়ে দিতে পারে। একে আপনার অতিরঞ্জিত গল্প বলে মনে হতে পারে। তবে, কর্ণাটকের জঙ্গলে এটাই বাস্তব।
খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ (কেভিআইসি) সোমবার দেশে মানুষ-হাতির মধ্যে সংঘাত দূর করতে ‘মৌমাছির বেড়া’ তৈরির একটি অনন্য প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পটির নাম রি-হাব। অর্থাৎ মৌমাছির মাধ্যমে হাতি-মানুষের সংঘাত হ্রাস করা। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হল মৌমাছি'র বেড়া ব্যবহার করে মানুষের বসতি অঞ্চলগুলিকে হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা করা এবং মানুষ ও হাতি উভয়ের প্রাণহানি রোধ করা। কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান শ্রী বিনয় কুমার সাকসেনা কর্ণাটকের কোডাগু জেলার চেলুর গ্রাম সংলগ্ন চারটি স্থানে এই পাইলট প্রকল্পের সূচনা করেছেন। এই অঞ্চলগুলির মধ্যে অন্যতম হল নাগরহোল জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র। মূলত মানুষ ও হাতির মধ্যে সংঘাত রোধে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই রি-হাব প্রকল্পে মোট খরচ হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা।
মানুষ-হাতির সংঘাত প্রবণ এলাকার চারটি স্থানে প্রত্যেকটিতে কেভিআইসি ১৫ থেকে ২০টি মৌমাছির বাক্স প্রতিস্থাপন করেছে। এতে মানুষের বসতি অঞ্চলে হাতির প্রবেশ রোধ পাবে। বাক্সগুলিকে একটি তারের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। যখনই কোনো হাতি ওই অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করবে তখন বাক্সের মুখ খুলে যাবে এবং মৌমাছির দল হাতির প্রবেশ আটকাতে সাহায্য করবে। কেভিআইসি-র চেয়ারম্যান শ্রী সাকসেনা জানান, মানুষ-হাতির সংঘাত রোধে এ এক অনন্য উদ্যোগ। তিনি বলেন, এই প্রকল্প সাফল্যলাভ করলে আগামী দিনে দেশের অন্যান্য জায়গায় তা কার্যকর করা হবে। তিনি আরও জানান, হাতি মৌমাছিদের ভয় পায় তা বিজ্ঞান সম্মত। কারণ হাতির চোখের মত সংবেদনশীল অংশে কামড়াতে পারে মৌমাছি। এমনকি সম্মিলিত মৌমাছির ঝাঁক হাতিকে নানান সমস্যায় ফেলতে পারে। তাই যখনই হাতি মৌমাছির মুখোমুখি হয়েছে তখন আর এগোতে পারেনি। শ্রী সাকসেনা জানান, এই রি-হাব প্রকল্পের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল কোনো ক্ষতি ছাড়াই হাতির দলকে তাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। উল্লেখ্য, প্রতি বছর ভারতে হাতির আক্রমণে প্রায় ৫০০ মানুষ মারা যান। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে শুধু মাত্র হাতির আক্রমণের কারণে।এর মধ্যে কর্ণাটকেই ১৭০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন হাতির আক্রমণে। অন্যদিকে, গত ৫ বছরে প্রায় ৫০০ হাতির মৃত্যু হয়েছে মানুষের হাতে। এর আগে কেভিআইসি-র একটি শাখা, পুনের কেন্দ্রীয় মৌমাছি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হাতির আক্রমণ কমাতে মহারাষ্ট্রে ‘মৌমাছির বেড়া’ তৈরির জন্য আঞ্চলিকললুুুু পর্যায়ে পরীক্ষার কাজ চালায়। তবে, এই প্রথমবার খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ সামগ্রিকভাবে এই প্রকল্প চালু করেছে। এদিন এই প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেভিআইসি-র মুখ্য উপদেষ্টা (কৌশল ও সুস্থায়ী উন্নয়ন বিভাগ) ডঃ আর সুদর্শন সহ বিশিষ্টবর্গ।
***
CG/SS/SKD
(Release ID: 1705103)
Visitor Counter : 265