বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক

কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রভাব থেকে খুব শীঘ্রই ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, সব ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে ব্যবহার করে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ স্থান দখল করবে : নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান

Posted On: 07 DEC 2020 1:49PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ৭ ডিসেম্বর, ২০২০

    নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ রাজীব কুমার জানিয়েছেন যে, আগামী কয়েক বছরে সব ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করবে, কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রভাব থেকে খুব শীঘ্রই দেশের অর্থনীতি  ঘুরে দাঁড়াবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর (ডিএসটি)এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে একথা জানান তিনি। 

    ডিএসটি-র সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি যোগাযোগের জাতীয় পর্ষদ এবং  বিজ্ঞান প্রসার আয়োজিত মহামারী পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সরকার কৃষি, আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থা, নতুন শিক্ষানীতি, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ, শ্রম  সহ একাধিক ক্ষেত্রে সংস্কার সাধনে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। 

    তিনি বলেন, এই মহামারী অনেক কিছুর পরিবর্তন সাধন করেছে এবং নতুন কিছু করার পথ দেখিয়েছে ,যার মধ্যে অনেক কিছুই কোভিড পরবর্তী বিশ্বে অবস্থান করবে। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে আমাদের সকলের জন্য উদ্ভাবনী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন রয়েছে বলেও তিনি জানান।

    ডঃ কুমার আরও বলেন, প্রথম ত্রৈমাসিকে কোভিড পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ইঙ্গিত মিলেছে। আশা করা যাচ্ছে কোভিড-১৯এর সমস্ত প্রভাব কাটিয়ে উঠে খুব শীঘ্রই ভারতের অর্থনীতিতে দ্রুত পুনরুদ্ধার ঘটবে। তিনি বলেন, আগামী ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দেশের অর্থনীতি গড়ে ৭-৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। 

    ভারতের অর্থনীতিকে বিশ্বের সর্বোত্তম প্রতিযোগিতায় সহায়ক করে তুলতে সরকারের পরিকাঠামোগত সংস্কারের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ডঃ কুমার জানান, সরকার সহজে ব্যবসার উন্নতি সাধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এমনকি প্রত্যেক বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীরা যাতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও ভাবধারার সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন তারজন্য উদ্ভাবনীমূলক ইকো সিস্টেম তৈরিতেও বদ্ধপরিকর। 

    ওয়েবিনারে ডিএসটি-এর সচিব অধ্যাপক আশুতোষ শর্মা স্বচ্ছ শক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবহণ, কৃষি, যোগাযোগ, বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র, কোয়ান্টাম প্রযুক্তির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সাহায্যে  স্টার্ট-আপের  সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গৃহিত পদক্ষেপেও সহায়তা প্রদান করেছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর বিগত ৫০ বছর ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবের সঙ্গে যে কাজ করে চলেছে সেকথাও তুলে ধরেন শ্রী শর্মা। তিনি বলেন গত ৫ বছরে এই দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে প্রাথমিক গবেষণা এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বেড়েছে। 

    অনুষ্ঠানে ডিএসটি-এর বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস পি সিং, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক তালাত আহমেদ, তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক ভি কে জৈন, সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অধ্যাপক অবিনাশ খারে সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

***

 

CG/SS/NS


(Release ID: 1678910) Visitor Counter : 269