বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
ওষুধ আবিষ্কার এবং তৈরিতে বিশিষ্ট অবদানের জন্য তরুণ গবেষকদের সিডিআরআই পুরস্কারে ভূষিত করল সিএসআইআর-সিডিআরআই
Posted On:
30 SEP 2020 5:29PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লী, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
দ্য সিএসআইআর- সেন্ট্রাল ড্রাগ রিসার্চ ইন্সটিটিউট (সিডিআরআই), লক্ষ্ণৌ গতকাল ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তরুণ গবেষকদের ওষুধ আবিষ্কার ও তৈরিতে তাঁদের বিশিষ্ট অবদানের জন্য সিডিআরআই পুরস্কারে ভূষিত করল। এ বছর গৌরবজনক সিডিআরআই পুরস্কার পেলেন ডঃ বুশরা আতিক, ডঃ সুরজিত ঘোষ এবং ডঃ রবি মঞ্জিথাইয়া। ক্যান্সারের একটি জটিল ধাঁধার রহস্য উন্মোচনে বিশিষ্ট অবদান রেখেছেন এই বিজ্ঞানীরা। সিডিআরআই-এর বর্তমান অধিকর্তা অধ্যাপক তাপস কুন্ডু এবং প্রাক্তন অধিকর্তা ডঃ ভি পি কাম্বোজ বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দেশে বৈজ্ঞানিক কৃৎকৌশলের প্রসারে এবং ঔষধ নিয়ে গবেষণা ক্ষেত্রে বিশিষ্ট অবদানকে স্বীকৃতি দিতে ২০০৪এ সিডিআরআই পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। এই গৌরবজনক পুরস্কার প্রতি বছর দেওয়া হয় ৪৫ বছরের কম বয়স্ক ভারতীয় নাগরিককে যাঁরা প্রত্যক্ষভাবে ঔষধ নিয়ে গবেষণায় বিশিষ্ট অবদান রাখেন। এই পুরস্কারের ২টি বিভাগ আছে কেমিক্যাল সায়েন্স এবং লাইফ সায়েন্স। প্রতিটি পুরস্কারে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং শংসাপত্র দেওয়া হয়।
এই পুরস্কার প্রাপকদের সাধারণত মনোনীত করেন প্রতিষ্ঠান/সংস্থা/বিশ্ববিদ্যালয়/শিল্পের শীর্ষ কর্তারা, ভাটনগর পুরস্কার প্রাপক, ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমিজের ফেলোরা। বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের নিয়ে গড়া একটি কমিটি মনোনয়ন বা আবেদন খতিয়ে দেখে সিডিআরআই-পুরস্কার প্রাপক চয়ন করেন।
২০০৪ থেকে ৩৪ জন বিজ্ঞানী (১৭জন কেমিক্যাল সায়েন্সে, ১৭ জন বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে) এই পুরস্কার পেয়েছেন। এই ৩৪ জনের মধ্যে ১১ জন পেয়েছেন শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারও যা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতে নোবেন প্রাইজের সমান। এ বছরের অন্যতম সিডিআরআই পুরস্কার প্রাপক ডঃ বুশরা আতিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এ বছর শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারও পেয়েছেন।
ডঃ বুশরা আতিক সিডিআরআই পুরস্কার পেয়েছেন প্রস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় নতুন দিশা দেখানোর জন্য। বর্তমানে তিনি কানপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসার। এই মহিলা বিজ্ঞানী ধন্যবাদ জ্ঞাপক ভাষণে তাঁর গবেষণার বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
ডঃ সুরজিত ঘোষ সিডিআরআই পুরস্কার পেলেন বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে। সফলভাবে কোষ ভেদ করতে পারে এমন পেপটাইড আবিষ্কার করেছেন তিনি যা ওষুধের জগতে আলোড়ন ফেলেছে। বর্তমানে তিনি যোধপুরের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির বায়ো সায়েন্স অ্যান্ড বায়ো ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক। তাঁর গবেষণায় মূলত আলোকপাত করা হয়েছে কোষ ভেদ করার জন্য ২টি অ্যামাইনো অ্যাসিডের গুরুত্বের ওপর।
রবি মঞ্জিথাইয়া পুরস্কার পেলেন কেমিক্যাল সায়েন্সে। তিনি ব্যাঙ্গালোরের জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসার। পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি তাঁর ভাষণে বলেন, বর্জ্য কোষ পুনর্নবীকরণ প্রক্রিয়া, অটোফ্যাজি বিষয়ে।
CG/ AP/NS
(Release ID: 1660458)