শ্রমওকর্মসংস্থানমন্ত্রক
দেশে শ্রমিক কল্যাণের জন্য সংস্কার আনার লক্ষ্যে শ্রী গাঙ্গোয়ার লোকসভায় তিনটি শ্রম সংক্রান্ত কোড পেশ করেছেন
Posted On:
19 SEP 2020 5:11PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী শ্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার আজ শ্রমিক কল্যাণের জন্য সংস্কার আনার উদ্দেশে লোকসভায় তিনটি শ্রম সংক্রান্ত কোড পেশ করেছেন। ২০২০-র শিল্প সম্পর্কিত কোড; ২০২০-র কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং কাজের পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়মের ওপর বিল এবং ২০২০-র সামাজিক সুরক্ষা কোড পেশ করা হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত বছর আগস্ট মাসে সংসদে মজুরি সংক্রান্ত নিয়মাবলী, অর্থাৎ কোড অনুমোদিত হয়েছিল যেটি আইন হিসেবে কার্যকর হয়েছে। তার পাশাপাশি, আজ পেশ করা তিনটি বিল শ্রম আইনের সরলীকরণ করবে। এর ফলে, দেশের ৫০ কোটি সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক উপকৃত হবেন।
শ্রী গাঙ্গোয়ার আরও জানিয়েছে, শ্রম সম্পর্কিত দ্বিতীয় জাতীয় কমিশনের সুপারিশ অনুসারে বর্তমান শ্রম আইনগুলির সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে এই শ্রম সংক্রান্ত কোড তৈরি করা হয়েছে। এই কোড শিল্পক্ষেত্রে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখবে যার ফলে দেশের বহু প্রতিক্ষিত শিল্পের বিকাশ হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই বিলগুলির ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে। শিল্পক্ষেত্রে সৌহার্দ গড়ে উঠলে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষই এতে উপকৃত হবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৭৩ বছর পর দেশের শ্রম আইনের ব্যাপক সংস্কার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। মন্ত্রী বলেছেন, এই সংস্কারগুলির ফলে শ্রমজীবী মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং কাজের পরিবেশ উন্নত হবে। তাঁদের কোনও অভাব-অভিযোগ থাকলে তার মীমাংসাও সহজে করা যাবে। তিনি বলেছেন, এই শ্রম সম্পর্কিত কোডগুলির মাধ্যমে শ্রমিক এবং কর্মসৃষ্টিকারীদের মধ্যে প্রকৃত অর্থে ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে।
২০১৯ সালে লোকসভায় এই বিলগুলি পেশ করার পর প্রচলিত সংসদীয় রীতি-নীতি অনুসারে এগুলিকে পার্লামেন্টারি স্ট্যান্ডিং কমিটিতে পাঠানো হয়। এই কমিটি সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর একটি প্রতিবেদন পেশ করে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, কমিটির ২৩৩টি সুপারিশ শ্রম ও কর্মসংস্থান দপ্তর ভালো করে বিবেচনা করে তার মধ্যে ৭৪ শতাংশ সুপারিশ গ্রহণ করেছে।
অসংগঠিত এবং সংগঠিত উভয় ক্ষেত্রেই শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি এবং নির্দিষ্ট সময়ে মজুরি পাওয়ার বিষয়টি অধিকার বলে বিবেচিত হবে। বর্তমানে মূলত খনি শিল্প, বাগিচা শিল্প, বন্দর এলাকার কর্মী, নির্মাণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগর, সাফাই কর্মচারী এবং উৎপাদন ক্ষেত্রের মতো ক্ষেত্রগুলির শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বিবেচনা করা হয়। এখন নতুন নিয়ম অনুসারে দেশের সব শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি পাওয়ার অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি, পরিষেবা, পরিবহণ ইত্যাদির মতো ক্ষেত্রগুলি ছাড়াও গৃহস্থালীর কাজকর্ম করেন, এরকম শ্রমিক ও অসংগঠিত শ্রমিক এবং শিক্ষকরাও নতুন ব্যবস্থায় এর আওতায় আসবেন।
শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের পদ্ধতিটি সরলীকরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমান ব্যবস্থার পরিবর্তে দক্ষতা এবং ভৌগোলিক অবস্থানকে বিবেচনা করা হবে।
বর্তমানে ২০০টি ক্ষেত্রে ন্যূনতম মজুরি কার্যকর হয়। নতুন আইনের ফলে ১০ হাজারটি ক্ষেত্রে এই নিয়ম বলবৎ হবে।
এখন মাত্র ১২ রকমের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারিত হয়। নতুন নিয়মে ৫৫২ রকমের ন্যূনতম মজুরির নিয়ম তৈরি করা হবে।
প্রতি পাঁচ বছর অন্তর মজুরির পরিমাণের বিষয়টি বিবেচিত হবে।
মজুরি নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটি বিধিবদ্ধ নিয়ম মেনে চলতে হবে।
CG/CB/DM
(Release ID: 1656846)
Visitor Counter : 352