বস্ত্রমন্ত্রক

টেক্সটাইল পার্কের উন্নয়ন

Posted On: 17 SEP 2020 1:43PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লী, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

 

 


সরকার সুসংহত টেক্সটাইল পার্ক (এসআইটিপি)এর জন্য কর্মসূচি রূপায়ণ করছে। চাহিদা নির্ভর এই কর্মসূচির লক্ষ্য টেক্সটাইল ইউনিট বসানোর জন্য বিশ্বমানের সুবিধা তৈরি করা। প্রকল্প ব্যয়ের ৪০ শতাংশ ভারত সরকার অনুদান হিসেবে দেবে এবং অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মনিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, সিকিম, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রথম ২টি প্রকল্পের ব্যয়ের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত অনুদান দেবে ভারত সরকার। প্রতিটি টেক্সটাইল পার্কের জন্য সর্বোচ্চ অনুদানের সীমা ৪০ কোটি টাকা। স্থানীয় শিল্প প্রতিনিধি, আর্থিক সংস্থা, রাজ্য শিল্প ও পরিকাঠামো নিগম এবং রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য সংস্থা দ্বারা গঠিত দ্য স্পেশাল পারপাস ভেহিক্যাল্স (এসপিভি) কোম্পানী আইনে নিবন্ধীকৃত একটি সংস্থা। এটি সরাসরি তাদের প্রস্তাব মন্ত্রকে জমা দেবে বিবেচনার জন্য। এই কারণেই এসআইটিপি একটি চাহিদা নির্ভর কর্মসূচি। কোনও রাজ্যের টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ফেডারেশনের কোনও দাবি বকেয়া নেই।


আরও বলতে গেলে বস্ত্র মন্ত্রকের মেগা টেক্সটাইল পার্ক গড়ার প্রস্তাবটি এখন আলোচনা স্তরে আছে।


বস্ত্র শিল্পের প্রসারে সরকার সূচিত কর্মসূচিগুলি এবং বস্ত্র শিল্পের শ্রমিকদের জন্য উৎসাহ ভাতার বিস্তৃত বিবরণ নিম্নে দেওয়া হল।


১. নিটিং ও নিটওয়্যার গুচ্ছে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার একটি আলাদা কর্মসূচি নিয়েছে। এই গুচ্ছগুলি হল লুধিয়ানা, কলকাতা এবং তিরুপুরে।


২. বস্ত্র শিল্পের প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য সরকার অ্যামেনডেড টেকনোলজি আপগ্রেডেশন ফান্ড স্কিম রূপায়ণ করছে। ২০১৬-২০২২ এর মধ্যে উৎসাহ ভাতার পরিমাণ ১৭ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। আশা করা হচ্ছে এর ফলে ১ লক্ষ কোটি টাকার লগ্নি হবে এং ২০২২এর মধ্যে ৩৫ লক্ষ ৬২ হাজার কর্মসংস্থান হবে বস্ত্রশিল্প ক্ষেত্রে।


৩. জামা-কাপড়ের রপ্তানী লগ্নি এবং কর্মসংস্থানের প্রসারে ২০১৬য় সরকার একটি বিশেষ প্যাকেজ দেয় ৬ হাজার কোটি টাকার।


৪. বিশ্বমানের পরিকাঠামো সুবিধার জন্য সরকার সর্বোচ্চ ৪০ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে টেক্সটাইল পার্ক নির্মাণের জন্য।


৫. ন্যাশনাল হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট পোগ্রাম, কম্প্রিহেনসিভ হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট স্কিম, হ্যান্ডলুম উইভার কম্প্রিহেনসিভ ওয়েলফেয়ার স্কিম এবং ইয়ার্ন সাপ্লাই স্কিমের অধীনে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় কাঁচামাল, তাঁত, যন্ত্রপাতি, নকশা উদ্ভাবন, পণ্যের বৈচিত্র্য, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি, বিপণন এবং ঋণের জন্য সুবিধাজনক শর্তে।


৬. জাতীয় হস্তশিল্প উন্নয়ন কর্মসূচি এবং সার্বিক হস্তশিল্প গুচ্ছ কর্মসূচির লক্ষ্য নকশা প্রযুক্তির উন্নয়ন, পরিকাঠামো উন্নয়ন, বিপণনে সাহায্য করার মাধ্যমে হস্তশিল্পের উন্নয়ন।


৭. বিদ্যুত চালিত তাঁত ক্ষেত্রের জন্য বিশেষ কর্মসূচি যার মধ্যে আছে প্রযুক্তি উন্নয়ন, পরিকাঠামো তৈরি এবং ঋণের সুবিধা।


৮. রেশম শিল্পের উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও উন্নয়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, বীজ সংস্থা এবং সমন্বয়, বাজারের উন্নয়ন এবং গুণমানের শংসাপত্র দান ও রপ্তানী।


৯. কৃষকদের আয় বাড়াতে জুট আইকেয়ার। যার অন্তত ৫০ শতাংশ নির্দিষ্ট বীজ, সেরা কৃষি প্রক্রিয়া, পাটগাছের জৈবিক পুনর্ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে।


১০. উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বস্ত্র শিল্পের প্রসারে পরিকাঠামো, ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বিপণনে সহায়তার জন্য নর্থ ইস্ট রিজিয়ন টেক্সটাইল প্রোমোশন স্কিম।


আজ রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি যুবিন ইরানী এক লিখিত জবাবে এই তথ্য জানান।
 

 


CG/AP/NS



(Release ID: 1655656) Visitor Counter : 205