Economy
নির্মাণ ভারতে, কিন্তু সরবরাহ বিশ্বজুড়ে- বাণিজ্য চুক্তির শক্তিতে রপ্তানিতে জোয়ার
Posted On:
18 DEC 2025 7:09PM
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
মূল বিষয়সমূহ:
এক বছরে ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫.৫২%। ওমানের সঙ্গে CEPA এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে ভারতের রপ্তানি বাজার আরও প্রশস্ত হয়েছে। এই বৈচিত্র্য বিশ্ববাজারের প্রতিকূলতার মধ্যেও ভারতের অর্থনৈতিক ভিতকে আরও মজবুত করবে।
এক নজরে ভারতের বাণিজ্যের খতিয়ান:

ভারতের রপ্তানি গত এক বছরে ১৫.৫২% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ওমানের সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তিসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফলে ভারতের বিশ্ববাজারে অংশীদারিত্ব বাড়ছে। এই অগ্রগতি দেশের কৃষক, ক্ষুদ্র শিল্প ও সাধারণ কর্মীগোষ্ঠির জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করছে এবং ভারতকে একটি শক্তিশালী বিশ্বশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।
বিশ্ব বাণিজ্যে নতুন গতি:
ভারতের রপ্তানির জয়যাত্রা
বিশ্ববাজারের অস্থিরতা সত্ত্বেও ভারতের মোট রপ্তানি গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পণ্য রপ্তানি ১৯.৩৮% এবং পরিষেবা রপ্তানি ১১.৬৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।
পোশাক তৈরির শিল্পে রপ্তানি বেড়েছে ১১.২৭%। এছাড়া, ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী ও কেমিক্যাল রপ্তানিতেও প্রভূত উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে।
বিশ্বের ওষুধের দোকান হিসেবে পরিচিত ভারত ওষুধ রপ্তানিতে ২০.১৯% এবং রত্ন ও অলঙ্কার রপ্তানিতে ২৭.৮% বৃদ্ধি নথিভুক্ত করেছে।
উন্নত পরিকাঠামোর সৌজন্যে পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য রপ্তানিতে ১১.৬৫% বৃদ্ধি হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের ক্ষেত্রেও আমেরিকা ও জার্মানির মত দেশগুলিতে ভারতের আধিপত্য বজায় আছে।
গত এক দশকে মোবাইল ফোন রপ্তানি ১২৭ গুণ বেড়েছে। ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে ভারত বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স হাব হওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
ইউএই, জাপান ও হংকং-এর মতো প্রধান বাজারগুলির পাশাপাশি, মিশর ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলিতেও ভারতের রপ্তানি বাজার দ্রুত প্রশস্ত হচ্ছে।

রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ:
একটি কৌশলগত পদক্ষেপ
রপ্তানি বহুমুখীকরণের মূল সুবিধা:
অনিশ্চয়তার মোকাবিলা:
বিশ্ববাজারের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সরবরাহ শৃঙ্খল সংক্রান্ত সমস্যার মাঝখানে রপ্তানি ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনা একটি সুপরিকল্পিত কৌশল। এটি কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা দেশের ওপর অতি-নির্ভরতা কমিয়ে বাইরের আঘাত থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করে।
আর্থিক স্থিতিশীলতা:
নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর নির্ভর করলে আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওঠানামার ফলে আয়ে অস্থিরতা তৈরি হয়। পণ্য ও বাজার বহুমুখী করলে এই ঝুঁকি কমে এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
চাহিদার ধাক্কা সামলানো: বিশ্বজুড়ে হঠাৎ কোনো পণ্যের চাহিদা কমে গেলে বা মন্দা দেখা দিলে, বহুমুখী রপ্তানি ব্যবস্থা সেই অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলানোর শক্তি জোগায়।
উদ্ভাবন ও দক্ষতা বৃদ্ধি:
রপ্তানি পণ্যের তালিকা বাড়ালে নতুন প্রযুক্তি, উন্নত পরিচালনা পদ্ধতি এবং আধুনিক বিপণন কৌশলের বিস্তার ঘটে। এর ফলে শিল্পে উদ্ভাবন বাড়ে এবং মাথা পিছু আয় বৃদ্ধিতে তা সহায়ক হয়।
অর্থনৈতিক স্থায়িত্ব: ২০২৪ সালে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে রপ্তানির অবদান ছিল ২১.২%। রপ্তানি ক্ষেত্রে এই বৈচিত্র্য দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে।
বিশ্বজুড়ে দৃঢ় হচ্ছে সম্পর্ক: ভারতের বাণিজ্য জগতে খুলে যাচ্ছে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত
বিশ্বজুড়ে ভারতের অর্থনৈতিক প্রভাব যত বাড়ছে, গভীরতর বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ভারত আজ এক পছন্দের অংশীদার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
ভারত ও ওমানের মধ্যে CEPA চুক্তি স্বাক্ষরিত: গত ছয় মাসের মধ্যে ব্রিটেনের পর এটি ভারতের দ্বিতীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি।
আপনি কি জানেন?
পশ্চিম এশিয়ায় ভারতের অন্যতম বিশ্বস্ত এবং প্রাচীনতম বন্ধু দেশ - ওমান। সে দেশে বর্তমানে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে ৬,০০০-এরও বেশি বাণিজ্যিক প্রকল্প চলছে, যা আমাদের মজবুত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বেরই পরিচয় দেয়।
ভারত ও ওমানের দীর্ঘ ৭০ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের মাইলফলক হিসেবে গত ১৮ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে CEPA চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি উপসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়াবে এবং বিশ্বমঞ্চে ভারতের নির্ভরযোগ্যতাকে আরও দৃঢ় করবে।
রপ্তানি ও কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে এই চুক্তি ভারতের কৃষি, বস্ত্র, চামড়া, গয়না, ওষুধ ও অটোমোবাইলের মতো শ্রমনিবিড় ক্ষেত্রগুলিতে রপ্তানির নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এর ফলে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং কারিগর, মহিলা উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র শিল্প লাভবান হবে।
কৃষি ও খাদ্যদ্রব্য ক্ষেত্রে ২০২৪ সালে ওমানের কৃষি আমদানিতে ভারত দ্বিতীয় স্থানে ছিল। বাসমতি চাল, আলু, পেঁয়াজ, কাজু বাদাম, সামুদ্রিক মাছের খাবার এবং হিমায়িত মাংসের মতো পণ্যগুলি ওমানে ভারতের প্রধান রপ্তানি সামগ্রী।
হাড়হীন মাংস, ডিম, মিষ্টি বিস্কুট, ঘি-মাখন এবং কাবুলি ছোলার মতো পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ায় অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ওমানের বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকবে।
মাখন, কনফেকশনারি, মধু এবং ফলের রসের মতো পণ্যের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করায় ওমানের বাজারে ভারতীয় পণ্যের আধিপত্য আরও বাড়বে।
পাশাপাশি, ভারত বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত অর্থনীতির দেশগুলির সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এটি আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন বাজার ও বাণিজ্যের পথ খুলে দিয়েছে।
ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তির সুবিধা :
২০২৫ সালে ব্রিটেনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির ফলে ভারতের রপ্তানি পণ্যের ৯৯ শতাংশই ব্রিটেনে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধা পাবে। এর ফলে, বস্ত্র, চামড়া, সামুদ্রিক পণ্য, গয়না এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রের মত গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলি বিশেষভাবে লাভবান হবে।
এই চুক্তিটি শুধুমাত্র পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, এটি ভারতের শক্তিশালী পরিষেবা ক্ষেত্রকেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। ২০২৩ সালে ভারত ব্রিটেনে ১৯.৮ বিলিয়ন ডলারের পরিষেবা রপ্তানি করেছে, যা এই চুক্তির ফলে ভবিষ্যতে আরও বহুগুণ বাড়বে।
আইটি, স্বাস্থ্যসেবা এবং ফিন্যান্স কর্মীদের জন্য ব্রিটেনে যাতায়াত ও কাজের সুযোগ সহজ হবে।
ডাবল কন্ট্রিবিউশন কনভেনশনের ফলে, ভারতীয় সংস্থা ও কর্মীদের দুই দেশে সামাজিক সুরক্ষা কর দিতে হবে না, যা ভারতের প্রায় ৪,০০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে।
সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও লিচেনস্টাইনের সঙ্গে চুক্তির ফলে ভারতে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এবং ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় ওষুধ ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের বাজার প্রশস্ত হবে।
২০২২ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির ফলে গয়না, বস্ত্র ও চামড়াজাত পণ্যের মতো ভারতের ৯০% রপ্তানি সামগ্রীর ওপর শুল্ক কমেছে। লক্ষ্য হল, দুই দেশের বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া।
এই চুক্তির মাধ্যমে অস্ট্রেলীয় বাজারে ভারতের বস্ত্র, ওষুধ এবং কৃষিপণ্যের জন্য প্রায় সমস্ত বাণিজ্যিক শুল্ক তুলে দেওয়া হয়েছে বা কমানো হয়েছে।
২০২১ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি আফ্রিকার কোনো দেশের সঙ্গে ভারতের প্রথম বাণিজ্য চুক্তি। এর ফলে, মরিশাস ভারতের জন্য আফ্রিকার বাজারের প্রবেশপথ হিসেবে কাজ করছে।
এই চুক্তিগুলি ছাড়াও, বর্তমানে বিশ্বের আরও বেশ কয়েকটি বড় অর্থনীতির দেশ ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও গভীর করার লক্ষ্যে সক্রিয়ভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০২৫-এর নভেম্বরে আলোচনার রূপরেখা তৈরি হয়েছে। ফিনটেক, এআই, মহাকাশ গবেষণা এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্য।
'মিশন ৫০০'-এর অধীনে ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব বাড়ানোর আলোচনা চলছে।
সদস্য দেশগুলির সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং বাণিজ্যের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে 'আইটিগা' নিয়ে আলোচনা চলছে।
বর্তমান চুক্তিকে আরও ব্যাপক করতে ডিজিটাল বাণিজ্য, পরিবেশ এবং শ্রম আইনের মতো নতুন ক্ষেত্রগুলো নিয়ে আলোচনা এগোচ্ছে।
ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসার এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন পথ খোঁজার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
পণ্য ও পরিষেবা রপ্তানি সহজ করতে এবং সাপ্লাই চেন মজবুত করতে একটি ব্যাপক অর্থনৈতিক চুক্তির আলোচনা চলছে।
২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্য ৫০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে শুল্ক কমানো ও বিনিয়োগ কাঠামোর ওপর কাজ চলছে।
বাণিজ্য, শক্তি, বিনিয়োগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে সক্রিয় আলোচনা চলছে।
ভারতের রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি
ভারতের রপ্তানি ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সরকার একগুচ্ছ সুসংহত নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগগুলি বিশ্ববাজারে ভারতের প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বাড়াচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে ভারতকে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত করছে।
রপ্তানি উন্নয়ন মিশন
২০২৫-২৬ থেকে ২০৩০-৩১ অর্থবর্ষের জন্য মোট ২৫,০৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই মিশনের দুটি প্রধান ভাগ
রয়েছে :
নির্যাত প্রোৎসাহন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য সহজ ও সস্তায় ঋণের ব্যবস্থা করা।
নির্যাত দিশা: পণ্যের মান উন্নয়ন, প্যাকেজিং এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডিং-এর মাধ্যমে বিশ্ববাজারে ভারতীয় পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো।
শ্রম সংস্কার
২৯-টি শ্রম আইনকে চারটি কোডে একীভূত করার মাধ্যমে শিল্পক্ষেত্রে নিয়মকানুন সহজ ও শ্রমিকদের সুরক্ষা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রপ্তানিমুখী শিল্পগুলির জন্য নিয়মকানুন সরল করা হয়েছে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া ও রেজিস্ট্রেশনে নমনীয়তা আনা হয়েছে। সকলের জন্য ন্যূনতম বেতন নিশ্চিত করা, সময়মতো মজুরি প্রদান, নিয়োগপত্র বাধ্যতামূলক করা এবং সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নেক্সট জেন জিএসটি ২.০ সংস্কার
২০২৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া এই সংস্কারের ফলে রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ হয়েছে। রপ্তানিকারকদের জন্য ৯০% পর্যন্ত জিএসটি রিফান্ড এখন সিস্টেমের মাধ্যমে দ্রুত পাওয়া যাচ্ছে। ছোট রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে রিফান্ডের ন্যূনতম সীমার নিয়ম তুলে দেওয়া হয়েছে। প্যাকেজিং, বস্ত্র, চামড়া এবং লজিস্টিকস (ট্রাক, ভ্যান) ক্ষেত্রে জিএসটি হার কমানোয় উৎপাদন ও পরিবহণ খরচ কমেছে। ইন্টারমিডিয়ারি সার্ভিস' বা মধ্যস্থতাকারী পরিষেবা রপ্তানিকারকরা এখন সরকারি সুবিধা পাবেন। এছাড়া, বস্ত্র ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে কর কাঠামোর জটিলতা দূর করায় ব্যবসায়ীদের হাতে মূলধনের জোগান বাড়বে।
ভারতের রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার একগুচ্ছ সুসংহত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে 'বিদেশ বাণিজ্য নীতি ২০২৩' এবং RoDTEP প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিকারকদের প্রায় ৫৮,০০০ কোটি টাকা কর ও শুল্ক ফেরত দেওয়া হয়েছে। দেশের ৭৩৪-টি জেলাকে রপ্তানি কেন্দ্র বা 'এক্সপোর্ট হাব' হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ১৪.৫৬ লক্ষ কোটি টাকার রপ্তানি সম্ভব হয়েছে। এছাড়া, পিএম গতিশক্তি ও ন্যাশনাল লজিস্টিকস পলিসির মতো পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং পিএলআই প্রকল্পের ফলে ১৪-টি শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক বিনিয়োগ ও প্রায় ১২ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ব্যবসা সহজ করতে 'ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম' ও ই-কমার্স হাবের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিও ভারতীয় পণ্যের বিশ্ববাজার দখলের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে।
উপসংহার
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের রপ্তানি বাণিজ্য এক স্থিতিশীল গতি লাভ করেছে, যেখানে পণ্য ও পরিষেবা - উভয় ক্ষেত্রেই সমান ভারসাম্য বজায় রয়েছে। পণ্য তালিকায় বৈচিত্র্য আনা এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্কের পাশাপাশি, ধারাবাহিক সরকারি সংস্কার এই সাফল্যকে ত্বরান্বিত করেছে। এই ইতিবাচক প্রবণতা বিশ্ব বাণিজ্য বাজারে ভারতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং গভীর সংহতিকেই ফুটিয়ে তোলে।
তথ্যসূত্র
Prime Minister's Office
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2193304®=3&lang=1
Ministry of Commerce and Industry
https://indiantradeportal.in/vs.jsp?lang=0&id=0,959,10581,28177,28189#:~:text=The%20India%2DUAE%20CEPA%20is,%2C%20and%20Japan%20(PMDA)
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2189383®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2186809®=3&lang=2
https://www.commerce.gov.in/wp-content/uploads/2025/04/LS-USQ-No.4971-dated.-01.04.2025.pdf
https://gjepc.org/pdf/Gem-&-Jewellery-Half-Yearly-Report-H1-FY2025-Final.pdf
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2201284®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2187705®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2192819®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2204071®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2205889®=3&lang=1
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2201138®=3&lang=1
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2182724®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2160190®=3&lang=2
High Commission of India Port Louis
https://hcimauritius.gov.in/pages?id=9avme&subid=Pe9xd&nextid=axk9e
DD News
https://ddnews.gov.in/en/india-australia-mark-three-years-of-ecta-pledge-to-strengthen-economic-partnership/
https://ddnews.gov.in/en/indias-electronics-surge-powers-jobs-exports-and-global-industry-growth/#:~:text=India's%20electronics%20industry%20has%20undergone,(FDI)%20in%20electronics%20manufacturing
https://ddnews.gov.in/en/india-negotiating-fta-with-gcc-and-qatar-mea/
PIB Archives
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2177724®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/PressNoteDetails.aspx?NoteId=152038&ModuleId=3®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/PressNoteDetails.aspx?NoteId=154945&ModuleId=3®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2175702®=3&lang=2
https://www.pib.gov.in/FactsheetDetails.aspx?Id=150511®=3&lang=1
Ministry of Textiles
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2189312®=3&lang=2
Ministry of Chemicals and Fertilizers
https://pharma-dept.gov.in/pharma-industry-promotion
Ministry of Petroleum & Natural Gas
https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2096817®=3&lang=2
World Bank
https://openknowledge.worldbank.org/server/api/core/bitstreams/e8eb01ea-1588-5e80-83cd-a0b9c51c685f/content
https://data.worldbank.org/indicator/NE.EXP.GNFS.ZS?locations=IN
IMF
https://www.imf.org/-/media/files/publications/wp/2018/wp1886.pdf
https://www.imf.org/-/media/files/publications/dp/2024/english/eddpea.pdf
ASEAN
https://asean.org/member-states/
Click here to see in PDF
SSS/AS
(Backgrounder ID: 156586)
आगंतुक पटल : 10
Provide suggestions / comments