Farmer's Welfare
সামুদ্রিক সম্পদ এবং জীবিকা শক্তিশালী করা : ভারতে বিশ্ব মৎস্য দিবস ২০২৫ উদযাপন
মৎস্যজীবীদের ক্ষমতায়ন এবং নীল অর্থনীতির প্রগতি
Posted On:
20 NOV 2025 4:23PM
২০ নভেম্বর ২০২৫
মূল বিষয়
ভারত ২০২৫ সালের বিশ্ব মৎস্য দিবস উদযাপন করছে, যেখানে স্থায়িত্ব, জীবিকা এবং নীল অর্থনীতির বৃদ্ধির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য উৎপাদনকারী দেশ এবং চিংড়ি উৎপাদনকারী বৃহত্তম দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।
ভারতের মৎস্য উৎপাদন ২০১৩-১৪ সালের ৯৬ লক্ষ টন থেকে বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে ১৯৫ লক্ষ টনে পৌঁছে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যজাত পণ্যের উপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, ফলে দেশে 'মূল্য সংযোজিত সামুদ্রিক খাদ্য' আরও সাশ্রয়ী হয়েছে এবং ভারতের রপ্তানি প্রতিযোগিতা শক্তিশালী হয়েছে।
সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি অক্টোবর ২০২৪-এর ০.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে অক্টোবর ২০২৫-এ ০.৯০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে ১১.০৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূচনা
২১ নভেম্বর পালিত বিশ্ব মৎস্য দিবস সুস্থায়ী মৎস্যচাষ, জীবিকা এবং নীল অর্থনীতির গুরুত্ব তুলে ধরে। মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় ভারত ৩০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের জীবিকা ধারণ করে এবং সম্প্রতি সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানিতে ১১.০৮% বৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে, সরকার প্রক্রিয়াজাত মৎস্যজাত পণ্যের উপর জিএসটি ১২% থেকে কমিয়ে ৫% করেছে, যার ফলে দেশে সাশ্রয় বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের প্রতিযোগিতা শক্তিশালী হবে। ভারত মৎস্য ক্ষেত্রে সুস্থায়ী বৃদ্ধির জন্য এবং সামগ্রিকভাবে এই ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে স্বচ্ছতা ও উন্নত ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছে। এই বছরের বিশ্ব মৎস্য দিবসের মূল ভাবনা হল “ভারতের নীল রূপান্তর : সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানিতে মূল্য সংযোজনকে শক্তিশালী করা”। ২৭-টি দেশের প্রতিনিধিদলকে আতিথেয়তার মাধ্যমে ভারত নীল অর্থনীতিতে নিজের নেতৃত্ব দেখাচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে, নিরাপদ ও আন্তর্জাতিক গুণমানসম্পন্ন সরবরাহের জন্য 'ট্রেসেবিলিটি ন্যাশনাল ফ্রেমওয়ার্ক'-সহ মেরিকালচার ও স্মার্ট বন্দরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা চালু করা হবে।
মৎস্য ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি
মৎস্য উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত, যা বিশ্বব্যাপী মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ৮% অবদান রাখে। গত এক দশকে মোট মৎস্য উৎপাদন ৯৬ লক্ষ টন থেকে বেড়ে ১৯৫ লক্ষ টন (দ্বিগুণের বেশি) হয়েছে এবং অন্তর্দেশীয় মৎস্যচাষ ১৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪-২৫ সালে সমুদ্রজাত খাদ্য রপ্তানি ৬২,৪০৮ কোটি টাকা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (PMMSY) এবং মৎস্যচাষ ও জলজ পালন পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল (FIDF)-সহ বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে এই বিপুল অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব এবং নীল অর্থনীতিতে ভারতের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (PMMSY)
২০২০ সালে ২০,৩১২ কোটি টাকার বিনিয়োগে চালু হওয়া প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা নীল বিপ্লবের মাধ্যমে মৎস্যজীবীদের কল্যাণ ও ক্ষেত্রের সুস্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিত করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৭৩০-টি কোল্ড স্টোরেজ ও ২৬ হাজারের বেশি মাছ পরিবহণ ইউনিট তৈরি করে পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করা হয়েছে। বর্তমানে ১০০-টি উপকূলীয় মৎস্যজীবী গ্রামকে জলবায়ু সহনশীল গ্রামে রূপান্তরের কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার মাধ্যমে মৎস্য ক্ষেত্রে মহিলা অংশগ্রহণ বাড়াতে ৬০% সরকারি সহায়তা (অন্যান্যদের জন্য ৪০%) প্রদান করা হচ্ছে। এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং মহিলা-চালিত গোষ্ঠীগুলিকে শক্তিশালী করার ব্যবস্থা। এছাড়াও, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড সহ ছাড়যুক্ত ঋণ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, যা নারী ক্ষমতায়ন এবং বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে এই ক্ষেত্রটিকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলছে।
এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে মৎস্যচাষের স্থিতিশীল ব্যবহার
ভারত সরকার ৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন মৎস্যচাষের সুস্থায়ী ব্যবহারের নিয়মাবলীর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এর লক্ষ্য হল গভীর সমুদ্রের সম্ভাবনা উন্মোচন করা এবং মাছ ধরাকে উৎসাহিত করা। নতুন নিয়মে মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি এবং FFPOs-রা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সুযোগে অগ্রাধিকার পাবে। ReALCraft পোর্টালের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রবেশের পাস সিস্টেম চালু হওয়ায় স্বচ্ছতা বেড়েছে এবং রপ্তানি প্রতিযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে।
রিয়েলক্রাফট (ReALCraft) কি?
এটি একটি ওপেন-সোর্স ওয়েবভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম যা মাছ ধরার জাহাজের অনলাইন নিবন্ধন ও লাইসেন্স ইস্যু করে। এটি আবেদন প্রক্রিয়াটিকে ডিজিটালাইজড করেছে, যেখানে আবেদনকারীরা দূর থেকে কাজ সম্পন্ন করতে পারেন এবং শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক ও নথি যাচাইয়ের জন্য অফিসে যেতে হয়। এটি মৎস্যচাষ ব্যবস্থার জন্য একটি ব্যাপক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
নিয়মাবলীগুলি ধ্বংসাত্মক মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে সামুদ্রিক চাষ (শৈবাল, সি-কেজ ফার্মিং) এর মত সুস্থায়ী জীবিকাকে উৎসাহিত করছে। VCSS প্রকল্পের অধীনে ৩৬,০০০-এর বেশি ট্রান্সপন্ডার সরবরাহ করা হয়েছে ; NABHMITRA অ্যাপ ও ট্রান্সপন্ডারের মত ডিজিটাল প্রযুক্তি সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলি মৎস্যজীবীদের আয় বৃদ্ধি করে এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে।
NABHMITRA ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলে থাকা ছোট মাছ ধরার ট্রলারগুলির (২০ মিটারের নিচে) জন্য তৈরি একটি ট্র্যাকিং ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে জাহাজ ও কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল সেন্টারের মধ্যে দ্বিমুখী যোগাযোগ সম্ভব হয়, যা সঠিক সময়ের ট্র্যাকিং ও জরুরি সতর্কতা প্রদানের মাধ্যমে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও মাছ ধরার কাজে সমন্বয় বাড়াতে সাহায্য করে।
সামুদ্রিক মৎস্য গণনা ২০২৫
২০২৫ সালের ৩১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে শুরু হওয়া জাতীয় সামুদ্রিক মৎস্য গণনা মৎস্য ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ, যা সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও জিও-রেফারেন্সড তথ্য সংগ্রহের উপর জোর দেয়। মোট ৪৫ দিনের এই গণনায় ১৩-টি উপকূলীয় রাজ্য জুড়ে প্রায় ১২ লক্ষ মৎস্যজীবী পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। VyAS অ্যাপের মত উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে সঠিক সময়ের গণনা করা হচ্ছে এবং প্রথমবারের মত মৎস্যজীবী পরিবারগুলির বিস্তারিত আর্থ-সামাজিক প্রোফাইল তৈরি করা হবে। এটি ন্যাশনাল ফিশারিজ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম-এর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মৎস্য কিষাণ সমৃদ্ধি সহ যোজনার সুবিধাগুলি সরাসরি পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে। এই "Smart Census, Smarter Fisheries" উদ্যোগটি স্বচ্ছতা, উন্নত নীতি নির্ধারণ এবং সামুদ্রিক সম্পদের সুস্থায়ী ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।
প্রধানমন্ত্রী মৎস্য কিষাণ সমৃদ্ধি সহ-যোজনা
কেন্দ্রীয় উপপ্রকল্প হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য কিষাণ সমৃদ্ধি সহ-যোজনা (PM-MKSSY) ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে অনুমোদিত হয়। ২০২৬-২৭ সাল পর্যন্ত ৪ বছরের জন্য ৬,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে এটি চালু হয়েছে। এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হল মৎস্য ক্ষেত্রের দক্ষতা, নিরাপত্তা ও সহনশীলতা বৃদ্ধি করা এবং ক্ষেত্রটিকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। এর মূল উপাদান হল, মৎস্য চাষিদের অ্যাকোয়াকালচার ইন্স্যুরেন্স কিনতে উৎসাহিত করা। এই বীমা প্রিমিয়ামের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত উৎসাহ ভাতা হিসাবে দেওয়া হবে (প্রতি হেক্টরে ২৫,০০০ টাকা, সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত)। এটি মূল্য শৃঙ্খলে গুণমান ও স্বচ্ছতা বাড়াতে সাহায্য করছে। এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত প্রাথমিক বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১১.৮৪ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
২০২৫ সালের ১০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া তৃতীয় বিশ্ব ব্যাংক - এএফডি (AFD) বাস্তবায়ন সহায়তা মিশনের মাধ্যমে এই প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাচ্ছে। মৎস্য বিভাগ, NFDB এবং PMU-এর নেতৃত্বে এই মিশনের লক্ষ্য হল প্রকল্পের নকশা ও বাস্তবায়নের মান উন্নত করা। এই যৌথ প্রচেষ্টাগুলি মৎস্যজীবী ও উপকূলীয় গোষ্ঠীর জন্য একটি স্বচ্ছ, দক্ষ এবং সুস্থায়ী মৎস্য বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে সহায়তা করছে।
ফিশারিজ অ্যান্ড আকোয়াকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড
২০১৮-১৯ সালে ৭,৫২২.৪৮ কোটি টাকা বিনিয়োগে মৎস্যচাষ এবং জলজ চাষের পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিল চালু করা হয়, যার প্রধান লক্ষ্য মৎস্য ও চাষের পরিকাঠামোর উন্নয়ন। এই প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এটি রাজ্য সরকার ও অন্যান্য যোগ্য সংস্থাকে NABARD-এর মত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সুদ-ছাড়যুক্ত ঋণ প্রদান করে, যেখানে সরকার বার্ষিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত সুদের ভর্তুকি প্রদান করে। NFDB এই প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং এর অনলাইন পোর্টাল প্রস্তাব জমা দেওয়া ও নিরীক্ষণের কাজকে ডিজিটালি সুসংগঠিত করে। জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত, ৬,৩৬৯.৭৯ কোটি টাকার মোট বিনিয়োগে ১৭৮-টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে, যা এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনেছে।
সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভূমিকা
ভারতের সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানি বৃদ্ধির প্রধান সংস্থা MPEDA সুস্থায়ী মৎস্যক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। সংস্থাটি দায়িত্বশীল মাছ ধরার পদ্ধতির প্রচার, কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ, এবং বিশ্বব্যাপী মান পূরণের জন্য শংসাপত্র প্রদানে জোর দেয়। MPEDA-এর মূল কাজ হল মাছচাষিদের কারিগরি সহায়তা প্রদান, উন্নতমানের বাজার সুবিধা এবং পরিবেশ-বান্ধব প্রযুক্তি চালু করা। এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে MPEDA সামুদ্রিক সম্পদের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে এবং মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে শক্তিশালী করে।
উপসংহার
বিশ্ব মৎস্য দিবস ২০২৫ ভারতে মৎস্য ও জলজ পালন ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এবং ভবিষ্যতের শক্তিশালী গতিকে তুলে ধরছে। মৎস্য উৎপাদনে দেশের ক্রমবর্ধমান অবস্থান, আধুনিক পরিকাঠামোর প্রসার এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার স্থায়িত্ব ও দক্ষতার দিকে স্পষ্ট পরিবর্তন আনছে। এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের জন্য সুস্থায়ী ব্যবহারের নিয়মাবলী, সামুদ্রিক মৎস্য গণনা ২০২৫ এবং PMMSY/PM-MKSSY-এর মত প্রধান সংস্কারগুলি দায়িত্বশীল সম্পদ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মৎস্যজীবী ও মাছচাষিদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে। এই সম্মিলিত উদ্যোগগুলি জলজ বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করছে, মহিলাদের ক্ষমতায়ন করছে এবং রপ্তানি বাড়িয়ে SDG 14 (Life Below Water) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তথ্যসুত্র
Click here to see pdf
SSS/AS...
(Backgrounder ID: 156145)
Visitor Counter : 1
Provide suggestions / comments