Economy
এআই-এর মাধ্যমে ভারতের রূপান্তর
অন্তর্ভুক্তির আদর্শে উদ্ভাবনের লক্ষ্যে বিনিয়োগ ১০,৩০০ কোটি টাকারও বেশি এবং কাজ করে চলেছে ৩৮,০০০ জিপিইউ
Posted On:
12 OCT 2025 4:31PM
নতুন দিল্লি ১২ অক্টোবর, ২০২৫
মূল বিষয়গুলি
ইন্ডিয়াএআই মিশন খাতে ৫ বছরের জন্য ১০,৩০০+ কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং ৩৮,০০০ জিপিইউ কর্মরত।
প্রযুক্তি এবং এআই পরিমণ্ডলে কর্মরত ৬০ লক্ষ মানুষ।
এই বছর প্রযুক্তি খাতে রাজস্ব ২৮০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভারতীয় অর্থনীতিতে ২০৩৫ নাগাদ ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করবে।
ভূমিকা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত নতুন এক কর্মকাণ্ডের অধ্যায়ে প্রবেশ করছে ভারত। দৈনন্দিন জীবনযাপন থেকে শুরু করে শিক্ষা, শিল্প, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য জগতের চালচিত্রটাকেই বদলে দিতে চলেছে কৃত্রিম মেধা।
এই রূপান্তরের অনুঘটক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে ইন্ডিয়াএআই মিশন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত উৎকর্ষ কেন্দ্রগুলি।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি ?
এই বিষয়টি হল, মানুষের মস্তিষ্ক যেভাবে কাজ করে ঠিক তেমনভাবে কাজ করতে যন্ত্রপাতিকে সক্ষম করে তোলার অতি আধুনিক প্রযুক্তি। সংগৃহীত তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রণালীর মাধ্যমে কর্ম সম্পাদন সম্ভব নির্ভুলভাবে এবং অত্যন্ত দ্রুত গতিতে।
এই প্রযুক্তির প্রয়োগে অন্তর্ভুক্তির আদর্শের প্রতিফলন চায় সরকার। সরকারের এই দৃষ্টিভঙ্গী প্রতিফলিত নীতি আয়োগের ‘এআই ফর ইনক্ল্যুসিভ সোসাইটাল ডেভলপমেন্ট (অক্টোবর ২০২৫)’ প্রতিবেদনে।
ভারতে বর্তমানে এআই পরিমণ্ডল
ভারতের প্রযুক্তি ক্ষেত্র দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে। এই বছর এই খাতে রাজস্ব ২৮০ বিলিয়ন ডলার হওয়ার সম্ভাবনা।
প্রযুক্তি এবং এআই পরিমণ্ডলে বর্তমানে কর্মরত ৬০ লক্ষেরও বেশি মানুষ।
দেশে ১,৮০০+ গ্লোবাল ক্যাপাসিটি সেন্টারের মধ্যে ৫০০ -রও বেশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করছে।
ভারতে রয়েছে প্রায় ১.৮ লক্ষ স্টার্টআপ এবং প্রায় ৮৯ শতাংশ নতুন স্টার্টআপ এআই ব্যবহার করছে।
ন্যাসকমের এআই অ্যাডপশন ইনডেক্স অনুযায়ী, ভারত ৪ এর মধ্যে ২.৪৫ পেয়েছে, ৮৭ শতাংশ উদ্যোগে এআই ব্যবহার করা হচ্ছে।
গাড়ি, ভোগ্যপণ্য, ব্যাঙ্কিং, বীমা, স্বাস্থ্য পরিচর্যা – সবক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হচ্ছে এআই।
বিসিজি সমীক্ষা অনুযায়ী ভারতের ২৬ শতাংশ বাণিজ্যিক সংস্থা এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই অগ্রণী।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি সারা বিশ্বে নজর কেড়েছে।
ইন্ডিয়াএআই মিশন
“মেকিং এআই ইন ইন্ডিয়া এবং মেকিং এআই ফর ইন্ডিয়া” দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৪-এর মার্চে ইন্ডিয়াএআই মিশনে অনুমোদন দেয়। পাঁচ বছরের জন্য এই খাতে বরাদ্দ ১০,৩৭১.৯২ কোটি টাকা।
১০,০০০ জিপিইউ গড়ে তোলার প্রাথমিক লক্ষ্য থাকলেও ভারতে এখন জিপিইউ-র সংখ্যা ৩৮,০০০।
জিপিইউ কি ?
জিপিইউ বা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট হল একটি শক্তিশালী কম্পিউটার চিপ, যা খুব সাধারণ প্রসেসরের থেকে অনেক কম সময়ে অত্যন্ত জটিল কাজ করে ফেলতে পারে।
ইন্ডিয়াএআই -এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের আওতায় একটি বাণিজ্য শাখা গড়ে তোলা হয়েছে।
সরকারের অন্যান্য উদ্যোগ
গড়ে তোলা হয়েছে এআই সংক্রান্ত তিনটি উৎকর্ষ কেন্দ্র। এছাড়াও এআই সংক্রান্ত বিষয়ে ৫ টি দক্ষতায়ন সংক্রান্ত জাতীয় উৎকর্ষ কেন্দ্রও গড়ে তোলা হয়েছে।
সরকারি কর্মীদের এআই-এর বিষয়ে সড়গড় করে তুলতে কাজ করছে এআই কম্পিটেন্সি ফ্রেম ওয়ার্ক।
স্টার্টআপ-সহ আরও নানা ক্ষেত্রে এআই পরিমণ্ডলের প্রসারে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ।
এআই কি বেকারত্ব বাড়াবে ?
এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আশঙ্কিত। আসলে এক্ষেত্রে কর্মজগতের পুনর্বিন্যাস হবে বলা যেতে পারে। বহু ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ কমলেও গড়ে উঠবে কর্মসংস্থানের নতুন পরিসর। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই বিষয়টি উঠে আসছে। নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে উৎসাহী হয়ে উঠছেন দেশের যুব প্রজন্ম।
অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক বিকাশে লক্ষ্যে এআই -এর প্রয়োগ
নীতি আয়োগের প্রতিবেদনে এই বিষয়টি নিয়ে বিশদে আলোচনা রয়েছে। অসংগঠিত ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগের লক্ষ্যে প্রণীত হয়েছে ডিজিটাল শ্রমসেতু মিশন।
পরিশেষে
ভারত এমন এক এআই পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে চায় যার মাধ্যমে নাগরিকদের কল্যাণের পাশাপাশি, বিকাশ ও উদ্ভাবনার পালেও হাওয়া লাগবে। বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর স্বপ্ন পূরণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ প্রাথমিক শর্ত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নিতে চায় এই দেশ।
তথ্যসূত্র :
Ministry of Electronics & IT
Ministry of Communications
Department of Science and Technology
Ministry of Agriculture & Farmers Welfare
NITI Ayog
বিস্তারিত জানতে নীচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2025/oct/doc20251012664501.pdf
SSS/ AC/SG
(Backgrounder ID: 155550)
Visitor Counter : 4
Provide suggestions / comments