PIB Headquarters
azadi ka amrit mahotsav

আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর যাত্রা: স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে চলা

प्रविष्टि तिथि: 03 DEC 2025 5:59PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ 

 

মূল বিষয়

সরকার ইন্ডিয়ান নেভাল ইন্ডিজেনাইজেশন প্ল্যান ২০১৫-২০৩০ বাস্তবায়নের প্রয়াস জোরদার করেছে।
জাহাজ নির্মাণের মাধ্যমে দেশ গঠন: দেশে প্রায় ৯০,০০০ কোটি টাকা মূল্যের ৫১-টি বড় জাহাজের নির্মাণ কাজ চলছে।
১০০-তম ও ১০১-তম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি যুদ্ধজাহাজ, আইএনএস উদয়গিরি এবং আইএনএস হিমগিরি, আগস্ট মাসে কমিশন করা হয়েছে, যা নৌবাহিনীর 'আত্মনির্ভর ভিশন ২০৪৭'-কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
২০১৪ সাল থেকে, ভারতীয় শিপইয়ার্ডগুলি নৌবাহিনীকে ৪০-টিরও বেশি দেশীয় যুদ্ধজাহাজ ও ডুবোজাহাজ সরবরাহ করেছে, যার ফলে গত এক বছরে গড়ে প্রতি ৪০ দিনে একটি করে নতুন জাহাজ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
বিগত ১০ বছরে নৌবাহিনীর মূলধনী সংগ্রহের প্রায় ৬৭% ভারতীয় শিল্পের মাধ্যমে হয়েছে।
নৌবাহিনীর বাজেট ২০২০-২১ সালের ৪৯,৬২৩ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৫-২৬ সালে ১,০৩,৫৪৮ কোটিতে পৌঁছেছে, যা প্রতিরক্ষা ব্যয়ে এর অংশীদারিত্ব ১৫% থেকে বাড়িয়ে ২১% করেছে।
সূচনা
নৌ দিবস উপলক্ষ্যে, ভারতীয় নৌবাহিনী 'ভিশন ২০৪৭'-এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ দেশীয়, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এবং আত্মনির্ভর শক্তিতে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে। আইএনএস উদয়গিরি ও আইএনএস মাহের মতো দেশীয় জাহাজগুলি এই যাত্রার সাফল্য প্রমাণ করে, যা অভিযানগত স্বায়ত্তশাসন এবং প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির জন্য কৌশলগতভাবে অপরিহার্য।
ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য কৌশলগতভাবে অপরিহার্য: স্বদেশীকরণ এবং সামুদ্রিক সক্ষমতা
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান ‘ফার্স্ট রেসপন্ডার’ হিসেবে ভারতের স্থান করে নেওয়ার কারণে, দেশীয় নৌবাহিনী গঠন করা আত্মনির্ভর ভারত ভাবনার মূল ভিত্তি। দেশের বিশাল উপকূলরেখা এবং ৯৮% বৈদেশিক বাণিজ্য সামুদ্রিক রুটের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় নৌ নিরাপত্তা অপরিহার্য। এই ক্রমবর্ধমান কৌশলগত পরিস্থিতিতে, স্বদেশীকরণ  জাহাজ নির্মাণ, অস্ত্র এবং সেন্সরে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়িয়ে কার্যকরী স্বায়ত্তশাসন এবং সরবরাহ শৃঙ্খলের নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করে। এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে ভারতের সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি নির্ণায়ক কৌশলগত ভূমিকা পালন করছে।

আইএনআইপি ২০১৫-২০৩০: উদ্দেশ্য, সুপারিশ, অনুসরণ এবং ফলাফল

আইএনআইপি ২০১৫ - ২০৩০  নৌবাহিনীর আত্মনির্ভরতা বাড়ানোর জন্য একটি ১৫ বছরের রোডম্যাপ, যার প্রধান উদ্দেশ্য -  'ফ্লোট, মুভ এবং ফাইট'  ক্যাটাগরিতে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় সিস্টেম তৈরি করা। এই পরিকল্পনার ফলস্বরূপ, দেশীয় যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ এবং উন্নত সিস্টেম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে, যা নৌবাহিনীকে একটি 'বিল্ডার্স নেভি' হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ক্রেতা নৌবাহিনী'  থেকে 'নির্মাতা নৌবাহিনী' -তে স্থানান্তরের মূল ভিত্তি স্বদেশীকরণ 
বিগত দুই দশকে ভারতীয় নৌবাহিনী আমদানি-নির্ভর 'ক্রেতা নৌবাহিনী' থেকে এক দেশীয় 'নির্মাতা নৌবাহিনী'-তে রূপান্তরিত হয়েছে। এই রূপান্তরের মূল ভিত্তি হল স্বাবলম্বন ৩.০ পরিকল্পনা, যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়িয়েছে। এর ফলস্বরূপ, জাহাজগুলিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি 'ফ্লোট', 'মুভ' এবং 'ফাইট' ক্যাটিগরিতে যথাক্রমে ৯০%, ৬০% এবং ৫০% পর্যন্ত স্বদেশীকরণ করা সম্ভব হয়েছে। আইএনএস বিক্রান্তের মতো যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে স্বদেশী প্রযুক্তি এবং ইস্পাত ব্যবহার করা, এই শক্তিশালী নৌ-শিল্প-শিক্ষা ব্যবস্থার উত্থানকে নিশ্চিত করেছে।

প্রধান সক্ষমতার ক্ষেত্রসমূহ: দেশীয়করণের অবস্থা

সমুদ্রপৃষ্ঠের নৌবহর এবং জাহাজ নির্মাণ
ভারতীয় নৌবাহিনীর সমুদ্রপৃষ্ঠের নৌবহরের স্বদেশীকরণ দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে; বর্তমানে দেশে প্রায় ৯০,০০০ কোটি টাকা মূল্যের ৫১-টি বড় জাহাজ নির্মাণাধীন রয়েছে। এই অগ্রগতি ইঙ্গিত দেয় যে উন্নত দেশীয় প্ল্যাটফর্ম অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে সামুদ্রিক প্রতিরক্ষায় ভারত দ্রুত স্বনির্ভরতা অর্জন করছে।

আইএনএস বিক্রান্ত (IAC-1)
আইএনএস বিক্রান্ত  ভারতের প্রথম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বিমানবাহী রণতরী, যা ৭৬% স্থানীয় উপাদান  দিয়ে নির্মিত।২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর এটি কমিশন করা হয়। এতে সেইলের সরবরাহকৃত প্রায় ৩০,০০০ টন ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে, যা স্বনির্ভর জাহাজ নির্মাণে একটি প্রধান মাইলফলক।
প্রোজেক্ট ১৫বি - বিশাখাপত্তনম-শ্রেণির ডেস্ট্রয়ার 
প্রোজেক্ট ১৫বি-এর মধ্যে নৌবাহিনীর নতুনতম নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্র ডেস্ট্রয়ারগুলি অন্তর্ভুক্ত: আইএনএস বিশাখাপত্তনম (নভেম্বর ২০২১), আইএনএস মার্মাগাঁও (ডিসেম্বর ২০২২), আইএনএস ইম্ফল (ডিসেম্বর ২০২৩), এবং আইএনএস সুরাট (জানুয়ারি ২০২৫)।
এই জাহাজগুলি ভারতের সমুদ্রপৃষ্ঠের যুদ্ধ এবং বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
প্রোজেক্ট ১৭ - শিবালিক-শ্রেণির ফ্রিগেট 
প্রোজেক্ট ১৭-এর অধীনে শিবালিক-শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: আইএনএস শিবালিক (এপ্রিল ২০১০), আইএনএস সাতপুরা (আগস্ট ২০১১), এবং আইএনএস সহ্যাদ্রি (জুলাই ২০১২)। এই বহু-ভূমিকা পালনে সক্ষম স্টিলথ ফ্রিগেটগুলি নৌবাহিনীর গভীর সাগরে অভিযান  সক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
প্রোজেক্ট ১৭এ - নীলগিরি-শ্রেণির স্টিলথ ফ্রিগেট 
প্রোজেক্ট ১৭এ-তে উন্নত স্টিলথ ফ্রিগেটগুলি রয়েছে: আইএনএস নীলগিরি (জানুয়ারি ২০২৫), আইএনএস হিমগিরি (আগস্ট ২০২৫), আইএনএস উদয়গিরি (আগস্ট ২০২৫)। প্রোজেক্ট ১৭এ-এর তৃতীয় জাহাজ তারাগিরি ২৮ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে এমডিএল  থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও তিনটি জাহাজ - আইএনএস দুনাগিরি, আইএনএস বিন্ধ্যগিরি, এবং আইএনএস মহেন্দ্রগিরি - বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। এই শ্রেণিতে আধুনিক সেন্সর, অস্ত্র এবং উচ্চ দেশীয় উপাদান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রোজেক্ট ১৫এ - কলকাতা-শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ার 
কলকাতা-শ্রেণীর ডেস্ট্রয়ারগুলি হল :  আইএনএস কলকাতা (আগস্ট ২০১৪), আইএনএস কোচি (সেপ্টেম্বর ২০১৫), এবং আইএনএস চেন্নাই (নভেম্বর ২০১৬)। এইগুলি উন্নত রাডার এবং ক্ষেপণাস্ত্রের সঙ্গে ভারতের নৌ-প্রতিরক্ষা এবং আক্রমণের সক্ষমতার একটি মূল অংশ।
সার্ভে ভেসেল (বড়) 
নৌবাহিনী আইএনএস সন্ধ্যায়েক (ফেব্রুয়ারি ২০২৪), আইএনএস নির্দেশক (ডিসেম্বর ২০২৪), এবং আইএনএস ইক্ষক (আগস্ট ২০২৫) অন্তর্ভুক্ত করেছে, যদিও আইএনএস সংশোধক এখনও নির্মাণাধীন রয়েছে। আইএনএস ইক্ষক ৮০% এরও বেশি দেশীয় উপাদান-সহ ভারতের ক্রমবর্ধমান জাহাজ নির্মাণ সক্ষমতাকে তুলে ধরে, যা আত্মনির্ভর ভারতের অগ্রগতি প্রতিফলিত করে।
ডুবোজাহাজ-বিধ্বংসী অগভীর জলের জাহাজ
এর মধ্যে রয়েছে: আইএনএস আরনালা (জুন ২০২৫), আইএনএস আন্দ্রোথ (অক্টোবর ২০২৫) এবং আইএনএস মাহে (২৪ নভেম্বর ২০২৫)। আইএনএস আন্দ্রোথ, যা ৮০% এরও বেশি দেশীয় উপাদান দিয়ে নির্মিত, তা আত্মনির্ভর ভারতের অধীনে ভারতের সামুদ্রিক আত্মনির্ভরতার একটি শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে কাজ করে।

ডুবোজাহাজ এবং জলের নিচের ব্যবস্থা: 

আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যের অধীনে ভারতের ডুবোজাহাজ সক্ষমতায় বড় ধরনের রূপান্তর ঘটেছে। দেশীয় নির্মাণ এবং প্রযুক্তির বিকাশের উপর জোর দিয়ে MoD/DRDO-এর অংশীদারিত্বে বর্তমানে ডুবোজাহাজ নির্মাণ কর্মসূচি চলছে।

প্রোজেক্ট-৭৫ - কালভারি-শ্রেণীর ডুবোজাহাজ
প্রোজেক্ট-৭৫-এর মধ্যে ছয়টি কালভারি-শ্রেণীর ডুবোজাহাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: আইএনএস কালভারি (ডিসেম্বর ২০১৭), আইএনএস খান্ডেরি (সেপ্টেম্বর ২০১৯), আইএনএস করঞ্জ (মার্চ ২০২১), আইএনএস ভেলা (নভেম্বর ২০২১), আইএনএস ভাগীর (জানুয়ারি ২০২৩), এবং আইএনএস বাগশির (জানুয়ারি ২০২৫)। এই ডিজেল-ইলেকট্রিক ডুবোজাহাজগুলি ভারতের জলের নিচের যুদ্ধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
দেশীয় এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন সিস্টেম
প্রোজেক্ট-৭৫ ডুবোজাহাজগুলিতে সুসংহত করার জন্য এটি ডিআরডিও-এনএমআরএল (DRDO-NMRL) দ্বারা তৈরি হয়েছে।
উন্নত দেশীয় সোনার ব্যবস্থা
দেশীয়ভাবে উন্নত বিভিন্ন সোনার সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে: ইউএসএইচইউএস-২, হামসা এনজি/ইউজি, অভয় (ছোট জাহাজ এবং অগভীর জলের জাহাজের জন্য কমপ্যাক্ট সোনার), এনএসিএস , এআইডিএসএস  (ডুবোজাহাজের জন্য) এবং অ্যাডভান্সড লাইট টোড অ্যারে সোনার (তৈরি ও পরীক্ষিত)।
অস্ত্র, সেন্সর এবং যুদ্ধ ব্যবস্থা : 
নৌবাহিনী, ডিআরডিও এবং শিল্পের যৌথ উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ সেন্সর, রাডার, ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট এবং নৌ অস্ত্রগুলির স্বদেশীকরণ করা হয়েছে। সরকার পজিটিভ ইন্ডিজেনাইজেশন লিস্টের মাধ্যমে উচ্চ-প্রযুক্তির সরঞ্জামগুলির অভ্যন্তরীণ উৎসকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং শ্রীজন  পোর্টাল এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করছে।

ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা :

ভার্টিকাল লঞ্চ শর্ট রেঞ্জ সারফেস টু এয়ার মিসাইল (মার্চ ২০২৫)।
ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল।
টর্পেডো এবং কাউন্টারমেজার :
মারীচ অ্যাডভান্সড টর্পেডো ডিফেন্স সিস্টেম, বরুণাস্ত্র (ভারী টর্পেডো),অ্যাডভান্সড লাইট ওয়েট অ্যান্টি-সাবমেরিন টর্পেডো  (পরীক্ষা সম্পূর্ণ), মাল্টি-ইনফ্লুয়েন্স গ্রাউন্ড মাইনস (তৈরি এবং অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তুত)।

ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ও কমব্যাট ম্যানেজমেন্ট : 

অ্যাডভান্সড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম ‘শক্তি’, বৈদ্যুতিন সাপোর্ট মেজার ‘বরুণ’,   ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম ‘সংগ্রহ’।
বিমানচালনা (জাহাজবাহিত এবং রোটরি-উইং): 
ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমানচালনা সক্ষমতা স্বদেশীয় প্ল্যাটফর্ম ও সিস্টেমকে অন্তর্ভুক্ত করে স্বনির্ভরতার দিকে এগোচ্ছে। এইচএএল-এর তৈরি অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (ALH/Dhruv) নৌবাহিনীর নজরদারি ও পরিবহন-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং এই হেলিকপ্টারগুলির উন্নত সংস্করণে দেশীয় সেন্সর যুক্ত করা হয়েছে।

প্রধান দেশীয় জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থা
মাজাগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড , গার্ডেনরিচ শিপবিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স  এবং কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড  প্রধান সারির প্ল্যাটফর্মগুলির নির্মাণ, সরঞ্জাম স্থাপন এবং জীবনচক্র সমর্থনের প্রধান অংশীদার হিসেবে রয়েছে।
এই উদ্যোগগুলি, নতুন যুদ্ধজাহাজ সংগ্রহ এবং দেশীয়করণের প্রচেষ্টায় অর্থ যোগানোর জন্য, সরকার গত পাঁচ বছরে নৌবাহিনীর বাজেটকে ঐতিহাসিক উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

পাঁচ বছরে নৌবাহিনীর বাজেট দ্বিগুণ হয়ে ১.০৩ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, এবং প্রতিরক্ষা ব্যয়ে এর অংশীদারিত্ব ১৫% থেকে বেড়ে ২১% হয়েছে
ভারতের প্রতিরক্ষা বাজেট ২০১৪ সাল থেকে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ৬.৮১ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় নৌবাহিনীর বাজেটও ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত সামুদ্রিক শক্তি গড়ে তোলার উপর গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। নৌবাহিনীর রাজস্ব ব্যয় (পরিচালনা) বাড়লেও, মূলধনী ব্যয় (জাহাজ, অস্ত্র, পরিকাঠামো) দ্রুত বেড়েছে (২০২৫-২৬ সালে ৬২,৫৪৪ কোটি)। সামগ্রিকভাবে, নৌবাহিনীর বাজেট মোট প্রতিরক্ষা ব্যয়ের প্রায় ২১%-এ পৌঁছেছে, যা আত্মনির্ভর এবং আধুনিক নৌবাহিনীর দিকে সরকারের বড় পদক্ষেপ নির্দেশ করে।
 
নীতিগত কাঠামো এবং উদ্যোগ
ভারতীয় নৌবাহিনী স্বদেশী সরঞ্জাম ব্যবহার করে তার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে এবং আত্মনির্ভর ভারতের প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে। বিগত দশকে প্রায় ৬৭% মূলধন চুক্তি ভারতীয় শিল্পের সাথে হয়েছে। DAP 2020 এবং DPM 2025-এর নির্দেশনায় নৌবাহিনী বর্তমানে ১৯৪-টি দেশীয় প্রকল্পের কাজ করছে এবং ২০৪৭ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মূল উদ্যোগগুলির মধ্যে রয়েছে:

২০২০ সালের আগস্টে প্রতিষ্ঠিত নেভাল ইনোভেশন অ্যান্ড ইন্ডিজেনাইজেশন অর্গানাইজেশন (NIIO) 'মেড-ইন-ইন্ডিয়া' প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত উদ্ভাবনের জন্য NIIO স্টার্টআপ, এমএসএমই এবং শিক্ষাবিদদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, যার ফলে স্বদেশী ও সাশ্রয়ী নৌ-সমাধান তৈরি হয় এবং ভারতের প্রতিরক্ষা আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি পায়।
প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালে NIIO-এর অধীনে 'স্প্রিন্ট চ্যালেঞ্জেস' (SPRINT) উন্মোচন করেন, যার লক্ষ্য নৌবাহিনীর জন্য কমপক্ষে ৭৫-টি স্বদেশী প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা। উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করতে এই প্রকল্পটি iDEX প্রকল্পর মাধ্যমে ২১৩-টি এমএসএমই এবং স্টার্টআপের সঙ্গে সহযোগিতা তৈরি করেছে।
এপ্রিল ২০১৮-এ আত্মনির্ভরতা ও উদ্ভাবনের লক্ষ্যে iDEX (Innovations for Defence Excellence) চালু করা হয়। এটি প্রতিরক্ষা উদ্ভাবনের প্রধান কাঠামো, যা স্টার্টআপ, এমএসএমই এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে অর্থ ও সহায়তা প্রদান করে। সশস্ত্র বাহিনী থেকে সমস্যা নিয়ে iDEX পর্যায়ক্রমে DISC চালু করে এবং নির্বাচিত উদ্ভাবকদের ১০ কোটি পর্যন্ত তহবিল প্রদান করে।
২০২০ সালে চালু হওয়া শ্রীজন পোর্টাল (SRIJAN Portal) হল একটি প্ল্যাটফর্ম যেটি নৌবাহিনীকে (ও অন্যান্য বাহিনীকে) দেশীয়করণের জন্য বেসরকারি খাতের সাথে যুক্ত করে। আত্মনির্ভর ভারতের অধীনে শুরু হওয়া এই পোর্টালে বর্তমানে ৩৮,০০০-এরও বেশি আইটেম রয়েছে, যার মধ্যে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নৌবাহিনীর জন্য ১৪,০০০-এরও বেশি সরঞ্জাম সফলভাবে দেশীয়করণ করা হয়েছে।
পজিটিভ ইন্ডিজেনাইজেশন লিস্ট (PILs) নৌ-সরঞ্জাম-সহ প্রতিরক্ষা সামগ্রীর দেশীয়করণকে উৎসাহিত করছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রকাশিত PIL-এ থাকা ৫,৫০০-টিরও বেশি আইটেমের মধ্যে ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে ৩,০০০-টিরও বেশি সফলভাবে দেশীয়ভাবে তৈরি করা হয়েছে। এর প্রধান সাফল্যগুলির মধ্যে রয়েছে কর্ভেট, উন্নীত সোনার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম।
Buy (Indian-IDDM)’ বিভাগের অধীনে, অস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়ের জন্য ভারতীয় বিক্রেতাদের কাছ থেকে অন্তত ৫০% স্বদেশী উপাদানে (IC) নকশা করা ও তৈরি করা পণ্য কিনতে হয়। নৌবাহিনী LCA তেজস এবং MAAREECH উন্নীত টর্পেডো ডিকয় সিস্টেমের মতো পণ্য সংগ্রহ করেছে। এছাড়া, নৌবাহিনী BEML এবং IIT দিল্লি-র সাথে চুক্তি করে বাহ্যিক নির্ভরতা কমাচ্ছে।

উপসংহার

২০১৪ সাল থেকে ভারতীয় শিপইয়ার্ডগুলি নৌবাহিনীকে ৪০-টিরও বেশি দেশীয় যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজ সরবরাহ করেছে। এই নৌদিবসে,  ভারতীয় নৌবাহিনীর  দেশীয়করণের  একে 'রচয়িতার নৌবাহিনী'-তে (builder's navy) পরিণত করেছে, যা কর্মসংস্থান ও এমএসএমই-র ক্ষমতায়নের মাধ্যমে ভারতের কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।

Jalmev Yasya, Balmev Tasya’

(One Who Controls the Sea is All Powerful)

তথ্যসূত্র 

Press Information Bureau (PIB)

Ministry of Defence

Indian Navy

Society of Indian Defence Manufacturers

Hindustan Aeronautics Limited

Parliament / Standing Committee Reports

All India Radio

IIT

Click here to see PDF

 

 

SSS/AS


(रिलीज़ आईडी: 2199185) आगंतुक पटल : 2
इस विज्ञप्ति को इन भाषाओं में पढ़ें: English , हिन्दी , Gujarati