মৎস্য ও পশু পালন এবং দুগ্ধশিল্প মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং ত্রিপুরায় ৪২.৪ কোটি টাকার সমন্বিত অ্যাকোয়াপার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এবং মৎস্য উৎসবের উদ্বোধন করবেন

Posted On: 17 MAY 2025 1:06PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৭ মে, ২০২৫

 

কেন্দ্রীয় মৎস্য পশুপালন ও দুগ্ধ মন্ত্রক এবং পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রকের মন্ত্রী, শ্রী রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং ১৮ মে ২০২৫ তারিখে ত্রিপুরার কৈলাশহরে অবস্থিত সমন্বিত অ্যাকোয়াপার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন এবং আগরতলা থেকে একদিনের মৎস্য উৎসবের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় ৪২.৪ কোটি টাকা বিনিয়োগে এই পার্কটি স্থাপন করা হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা সরকারের মৎস্যমন্ত্রী শ্রী সুধাংশু দাসের সঙ্গে সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রী জর্জ কুরিয়ানও উপস্থিত থাকবেন।

এই উপলক্ষে, মৎস্য ক্ষেত্রের বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের মধ্যে শংসাপত্র/অনুমোদন আদেশ বিতরণ করা হবে যার ফলে যোগ্য মৎস্যজীবী এবং মৎস্য চাষীদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করা হবে। সেরা কর্মক্ষম সমবায়, মৎস্য চাষী উৎপাদক সংস্থা এবং মৎস্য স্টার্ট-আপগুলিকেও এক্ষেত্রে তাঁদের অবদানের জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হবে এবং প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে সমর্থিত সুবিধাভোগীরা শংসাপত্র পাবেন, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুস্থায়ী উন্নয়নের প্রতি সরকারের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।

মৎস্য অধিদপ্তর, কেন্দ্রীয় মৎস্য পশুপালন ও দুগ্ধ মন্ত্রক, প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার অধীনে একটি ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম হিসেবে ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকোয়াপার্ক স্থাপনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই অ্যাকোয়াপার্কগুলিকে সমন্বিত কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে যা হ্যাচারি এবং ফিড মিল থেকে শুরু করে কোল্ড স্টোরেজ, প্রক্রিয়াকরণ, প্রশিক্ষণ এবং বিপণন, সব পরিষেবা এক ছাদের নীচে  প্রদান করে। এই পরিষেবাগুলি শুধুই ভৌত কাঠামো নয়; এগুলি মূল্য শৃঙ্খল উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য অনুঘটক; বিশেষ করে এই অঞ্চলের যুব ও মহিলাদের জন্য। পার্কগুলি একটি হাব-এন্ড-স্পোক মডেলে কাজ করবে, যা আঞ্চলিক চাহিদা এবং নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্রগুলি পূরণের জন্য চাহিদা অনুরূপ(কাস্টমাইজ) করা হয়েছে। এই সমন্বিত পদ্ধতি উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে খুচরা বিক্রেতা পর্যন্ত মৎস্য ও অ্যাকোয়াকালচার মূল্য শৃঙ্খলের সমস্ত দিককে, এন্ড-টু-এন্ড সম্পূর্ণ সমাধান প্রদান, সর্বাধিক আউটপুট সুনিশ্চিতকরণ এবং সুস্থায়ী বৃদ্ধি সুনিশ্চিত করে। এই প্রচেষ্টায় ত্রিপুরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। খাদ্য হিসেবে প্রতি বছর মাথাপিছু ২৯ কেজিরও বেশি মাছ খাওয়ার হার সহ রাজ্যটি সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা এবং নীল বিপ্লবের অধীনে, ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা কোটি কোটি টাকার প্রকল্প পেয়েছে। গত ১০ বছরে মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ, পরিকাঠামো নির্মাণ, প্রযুক্তি আদান-প্রদান, জেলেদের কল্যাণ এবং বাজার হস্তক্ষেপে সহায়তা করার জন্য ৩১৯ কোটি টাকা পেয়েছে।

ত্রিপুরার কৈলাশহরে অবস্থিত সমন্বিত অ্যাকোয়াপার্ক রাজ্যে মাছ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিপণনের জন্য পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের জন্য মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করবে, যার ফলে এর মূল্য শৃঙ্খলের বিস্তৃত অংশীদাররা উপকৃত হবে।

 

SC/SB/DM


(Release ID: 2129359)
Read this release in: English , Khasi , Urdu , Hindi , Tamil