কর্মী, জন-অভিযোগএবংপেনশনমন্ত্রক
গভর্নর, ভাইস-গভর্নর এবং শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী সহ ইথিওপিয়ার একটি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল দেখা করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং-এর সঙ্গে
Posted On:
12 MAY 2025 5:11PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ১২ মে, ২০২৫
বর্তমানে ভারত সফররত গভর্নর, ভাইস-গভর্নর এবং শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী সহ ইথিওপিয়ার একটি উচ্চ পর্যায়ের সরকারি প্রতিনিধিদল আজ দেখা করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত, কর্মীবর্গ, জন অভিযোগ এবং অবসর ভাতা মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং-এর সঙ্গে।
প্রতিনিধিদল ভারতের সঙ্গে ইথিওপিয়ার সংহতি এবং দীর্ঘ সহযোগিতার উল্লেখ করেছে।
ভারত সফরকালে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ন্যাশনাল সেন্টার ফর গুড গভর্নেন্স (এনসিজিজি)-তে সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ নেবেন।
বিদেশ মন্ত্রকের ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক অপারেশন (আইটিইসি)-এর অধীনে এনসিজিজি আয়োজিত, সক্ষমতা বর্ধন কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে ইথিওপিয়ার উচ্চ পদস্থ নীতিপ্রণেতা এবং প্রশাসনিক কর্তাদের জন্য। এর লক্ষ্য পরিবর্তনশীল বিশ্ব মানচিত্রে কার্যকরী নীতি প্রণয়ন এবং প্রশাসনের জন্য তাদের কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সেরা পদ্ধতি এবং কাজ সম্পর্কিত জ্ঞান সম্বন্ধে অবহিত করা।
ডঃ জিতেন্দ্র সিং দেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সত্ত্বেও ভারতের প্রতি ইথিওপিয়ার সংহতি প্রকাশের প্রশংসা করেছেন। সক্ষমতা বর্ধন কর্মসূচিতে আগ্রহ এবং সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য গভর্নর এবং শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের প্রশংসা করেছেন তিনি। শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং সুপ্রশাসন ও সহযোগিতার একইধরনের মূল্যবোধ প্রসারে নিষ্ঠার প্রশংসা করেছেন তিনি।
২০২৩-এর অগাস্টে জোহানেসবার্গে ব্রিকস শিখর সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডঃ অ্যাবি আহমেদ-এর মধ্যে বৈঠকের উল্লেখ করেছেন তিনি, জোর দিয়েছেন উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, আইসিটি, কৃষি, যুব সমাজের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং মানুষে মানুষে সম্পর্কের মতো ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর।
ভারত-ইথিওপিয়ার মৈত্রীর ঐতিহাসিক গভীরতা উল্লেখ করে ডঃ সিং বলেন যে ভারত অন্যতম প্রথম দেশ যারা স্বাধীনতার পরে ইথিওপিয়ায় প্রথম কূটনৈতিক দূতাবাস খুলেছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর "বিশ্ববন্ধু" দর্শনের উল্লেখ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং পারস্পরিক উন্নয়নে ভারতের দায়বদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, "ইথিওপিয়ার অর্থনীতির উদারীকরণের সঙ্গে সঙ্গে, ভারত এবং ইথিওপিয়া দেখেছে বাণিজ্য ও লগ্নি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, বিশেষ করে উৎপাদন শিল্প, কৃষি, পরিকাঠামো এবং আইসিটি-র মতো ক্ষেত্রে,"। ডঃ সিং জানান যে ৬৫০-এর বেশি ভারতীয় কোম্পানি ইথিওপিয়ায় লগ্নি করেছে, যার মোট মূল্য ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। সে দেশে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরাই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশী কর্মদাতা হয়ে উঠেছে।
মন্ত্রী আরও জানান, ২০২৪-এর ফেব্রুয়ারিতে ৫০ সদস্যের ইথিওপিয়ার সংসদীয় প্রতিনিধিদল পার্লামেন্টারি রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসিস-এ সক্ষমতাবর্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল, যা দুই গণতান্ত্রিক দেশের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সংযোগকে শক্তিশালী করেছে।
ডঃ জিতেন্দ্র সিং ভারতের বিশ্ববন্দিত প্রশাসন এবং প্রযুক্তি নির্ভর সংস্কারের কিছু নিদর্শন পেশ করেন, দেখান কীভাবে ডিজিটাল উপকরণ জনপরিষেবা ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। তিনি সিপিগ্রাম সম্পর্কে জানান, এই এআই-চালিত অভিযোগের নিষ্পত্তি ব্যবস্থায় ৯৫ শতাংশ অভিযোগেরই এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে, নাগরিকদের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে সুসংহত ফিডব্যাক ব্যবস্থাও এর বৈশিষ্ট্য। আরও একটি ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগ, SVAMITVA কর্মসূচি– ড্রোন এবং উপগ্রহ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিখুঁত ডিজিটাল ভূমির নথি তৈরি করেছে, যাতে গ্রামে জমির মালিকানায় স্বচ্ছতা এসেছে। সরকারি তহবিল সরাসরি প্রকৃত প্রাপকের কাছে পৌঁছনো নিশ্চিত করতে এবং অপব্যয় দূরীকরণ করতে শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে ডায়রেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) ব্যবস্থার উল্লেখ করা হয়। তিনি ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (ডিএলসি) উদ্যোগের কথাও বলেন, যাতে প্রবীণ বর্ষীয়ান নাগরিকরা দূর থেকেও মুখের পরিচিতি প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁদের জীবন শংসাপত্র পেশ করেন এবং আইগট কর্মযোগী প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে সরকারি আমলারা নিয়মিত সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারেন অনলাইন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে। উদ্ভাবনের রূপান্তরকারী ভূমিকার উপর জোর দিয়ে ডঃ সিং বলেন, "প্রযুক্তি ভারতের প্রশাসনিক বিপ্লবে বড় ভূমিকা নিয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতা ইথিওপিয়ার বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরে এবং তাদের সংস্কারের যাত্রায় সাহায্য করতে পেরে আমরা গর্বিত।"
রাষ্ট্রদূত মোলালাইন আসফ, ভারতে ইথিওপিয়ার দূতাবাসের উপ-প্রধান এবং হাউস অফ ফেডারেশন অফ ইথিওপিয়ার উপাধ্যক্ষ শ্রীমতী জাহরা হুমেদ আলী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ও ভারতের আতিথেয়তা, প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দায়বদ্ধতার গভীর প্রশংসা করেন।
একাধিক প্রতিনিধি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি থেকে তাদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ হওয়ার কথা জানান ও ভারতের তৃণমূল স্তরে প্রশাসনিক মডেল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন পদ্ধতির প্রশংসা করেন।
ডঃ জিতেন্দ্র সিং অধিবেশনের সমাপ্তিতে পরিবেশগত উদ্বেগ থেকে শুরু করে ভূ-রাজনৈতিক পটপরিবর্তন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সঙ্কটের মোকাবিলায় যৌথ উদ্যোগের গুরুত্বের কথা বলেন - সহযোগিতা, পারস্পরিক উদ্ভাবন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে মৈত্রী আরও গভীর করার আহ্বান জানান।
এনসিজিজি-র মহানির্দেশক ডঃ সুরেন্দ্র কুমার বাগড়ে জানান, কেন্দ্র, বাংলাদেশ, কেনিয়া, তানজানিয়া, তিউনিসিয়া, সেশেলস, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, লাওস, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম, ভুটান, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, নেপাল, গাম্বিয়া, ইরিট্রিয়া এবং ইথিওপিয়া ইত্যাদি সহ ৪৭টি দেশের ৫,০০০-এর বেশি সরকারি আমলাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
SC/AP/SKD
(Release ID: 2128318)
Visitor Counter : 2