সহযোগ মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

সহযোগিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধি

Posted On: 18 MAR 2025 3:15PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৮  মার্চ, ২০২৫


প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া “সহযোগিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধি” মন্ত্রের সাহায্যে দেশে সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী ২০২৩ সালের ২১ মে গুজরাটের বনসকাঁথা এবং পঞ্চমহল জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক (ডিসিসিবি) –এ ‘সমবায়ের মধ্যে সহযোগিতা’ বিষয়ে প্রচারের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছিলেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ সমবায় ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে প্রাথমিক দুগ্ধ সমবায় সমিতিগুলির (পিডিসিএস) আর্থিক লেনদেনকে উৎসাহিত করা এবং সমবায় ক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর ও শক্তিশালী করে তোলা সম্ভব হবে। 

এই পাইলট প্রকল্পের আওতায় একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।  ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পিডিপিএসগুলির ব্যবসা সহজ করা হয়েছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে উৎসাহদানে নাবার্ডের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি (এফআইএফ) তহবিলের সহায়তায় এই ব্যাঙ্ক মিত্র পিডিপিএসগুলিকে মাইক্রো – এটিএম দেওয়া হয়েছিল, যাতে দোরগোড়ায় আর্থিক পরিষেবা প্রদান করা যায়। ডিসিসিবিগুলির ব্যবসা ও প্রসার বৃদ্ধি এবং দুগ্ধ সমবায় সমিতিগুলির সদস্যদের প্রয়োজনীয় ঋণদান, পিডিসিএস ও অন্যান্য সমিতির সদস্যদের তুলনামূলকভাবে কম সুদের হারে সময় মতো ঋণদান এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেনে সাহায্য করার জন্য ডিসিসিবিগুলি রুপে (RuPay)  কিষাণ ক্রেডিট কার্ড (কেসিসি)জারি করেছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি তহবিলের মাধ্যমে যাতে সাহায্য করা যায়, তার জন্য  সাক্ষরতা শিবিরের মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়েছে।
পাইলট প্রকল্প থেকে শিক্ষা নিয়ে এই প্রচারাভিযান আরও সম্প্রসারিত করা হয় এবং ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি গুজরাটের সব জেলায় এই প্রকল্পের সূচনা হয়। এর বেশ কিছু সুফলও পাওয়া গেছে। ডিসিসিবিগুলির মাধ্যমে ২,২৩,৯৯৪টিরও বেশি রুপে কেসিসি দেওয়া হয়েছে। নতুন ব্যাঙ্ক মিত্র পিডিসিএস-এ ৬,৪৪৬ টি মাইক্রো – এটিএম চালু করা হয়েছে। ২৩ লক্ষেরও বেশি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, যেখানে ৮,৩২৯ কোটি টাকা জমা পড়েছে। 

‘সমবায়ের মধ্যে সহযোগিতা’ –র বিষয়ে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান বাস্তবায়নের জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি ২০২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চালু করা হয়। 

একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সক্রিয় অংশগ্রহণে সমবায় মন্ত্রক সারা দেশে সমবায় ক্ষেত্রকে পুনরুজ্জীবিত ও শক্তিশালী করে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সব রাজ্যে সমবায় সমিতিগুলির অভিন্ন উন্নয়ন সুনিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ। 

সমবায় ভিত্তিক পণ্য যাতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পায় তার জন্য সমবায় মন্ত্রক জাতীয় সমবায় রপ্তানি লিমিটেড (এনসিইএল) প্রতিষ্ঠা করেছে। ইতিমধ্যেই ৮,৮৬৩ টি সমবায় এই এনসিইএল-এর সদস্য হয়েছে। 

প্রাথমিক সমবায়গুলিকে আর্থিকভাবে উজ্জীবিত করে তুলতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কম্পিউটারাইজেশনের মাধ্যমে প্রাথমিক কৃষি ঋণদান সমিতিগুলি (পিএসিএস) –কে শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে। সমবায় ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বিকেন্দ্রিক শস্য সংরক্ষণ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পিএসিএসগুলির মাধ্যমে নতুন কৃষক উৎপাদন সংগঠন (এফপিও) তৈরি করা হয়েছে। আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে সমবায় মন্ত্রক একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শহর এবং গ্রামাঞ্চলের সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে শক্তিশালী করে তোলা হয়েছে। আয়কর আইনে সমবায় সমিতিগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সমবায় পরিচালিত চিনিকলগুলির পুনরুজ্জীবনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সমবায় ক্ষেত্রের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘ ২০২৫ সালকে আন্তর্জাতিক সমবায় বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে। সেকথা মাথায় রেখে আর্থিক বৃদ্ধি, সামাজিক অন্তর্ভুক্তিতে সমবায় ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। 

লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ।
 

 

SC/SS /SG


(Release ID: 2112916)
Read this release in: English , Urdu , Hindi , Tamil