তথ্যওসম্প্রচারমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

ভারতে মুদ্রাস্ফীতি এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক প্রবণতা

Posted On: 16 MAR 2025 6:33PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৬ মার্চ, ২০২৫

 

•    ভোগ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাত মাসে সর্বনিম্ন ৩.৬ শতাংশ – মূলত, শাকসব্জির দাম কমার কারণে।

•    খাদ্য ও জ্বালানীর হিসেব বাদ দিয়ে মুদ্রাস্ফীতির হার (কোর ইনফ্লেশন) ১৪ মাসের মধ্যে এই প্রথম ৪ শতাংশ পেরিয়ে গেল, পৌঁছলো ৪.০৮ শতাংশে।

•    শিল্পোৎপাদনের হার বেড়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে আইআইপি-র বৃদ্ধি ৫.০ শতাংশ।

•    শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতি বেশি।

•    আমদানীকৃত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৪ সালের জুনের ১.৩ শতাংশ থেকে ২০২৫ – এর ফেব্রুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ৩১.১ শতাংশ – মূলত, তেল ও মূল্যবান ধাতুর দাম বৃদ্ধির কারণে।

•    ২০২৫ – এ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মূল সুদের হার অন্তত ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমাবে বলে অনুমান।

•    বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির কাজকর্মে গতি অব্যাহত।

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অর্থনৈতিক গবেষণা বিভাগের তৈরি ইকোর‍্যাপ প্রতিবেদনে ২০২৫ – এর ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সার্বিক অর্থনৈতিক চালচিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতির হার অনেকটাই কমেছে।

ভোগ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৫ – এর ফেব্রুয়ারিতে ৭ মাসে সর্বনিম্ন ৩.৬ শতাংশে পৌঁছেছে। খাদ্য ও পানীয়ের মুদ্রাস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৮৪ শতাংশে। শাকসব্জির ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ২০ মাসে এই প্রথম ঋণাত্বক পর্যায়ে। তবে, ফলমূলের ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ১০ বছরে সর্বোচ্চ ১৪.৮ শতাংশে পৌঁছেছে।

সামগ্রিকভাবে মুদ্রাস্ফীতির হার কমলেও খাদ্য ও জ্বালানী বাদ দিয়ে মুদ্রাস্ফীতির হার (কোর ইনফ্লেশন) ১৪ মাস পর ৪ শতাংশ পেরিয়েছে, তা পৌঁছেছে ৪.০৮ শতাংশে। এই কোর ইনফ্লেশন দীর্ঘ মেয়াদে মোটামুটি একই প্রবণতা বজায় রাখে।

ভোগ্যপণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৫ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ৩.৯ শতাংশ হবে বলে অনুমান।

সামগ্রিকভাবে ২০২৬ অর্থবর্ষে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪.০ থেকে ৪.২ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মূল সুদের হার অন্তত ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমাতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্টেট ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ১২টি রাজ্যে গ্রামীণ মুদ্রাস্ফীতির হার জাতীয় স্তরের তুলনায় বেশি। ১০টি রাজ্যে শহরাঞ্চলে মুদ্রাস্ফীতির হার জাতীয় স্তরের তুলনায় বেশি।

মুদ্রাস্ফীতির সবচেয়ে বেশি কেরল (৭.৩ শতাংশ) এবং ছত্তিশগড়ে (৪.৯ শতাংশ)। মুদ্রাস্ফীতির হার সবচেয়ে কম তেলেঙ্গানা (১.৩) এবং দিল্লিতে (১.৫ শতাংশ)।

আমদানীকৃত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতির হার ২০২৪ – এর জুনে ১.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ – এর ফেব্রুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ৩১.১ শতাংশ। এজন্য দায়ী মূল্যবান ধাতু, তেল ও রাসায়নিকের মূল্য বৃদ্ধি।

শিল্পোৎপাদনের হার ২০২৫ – এর জানুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে ৫ শতাংশ – ৮ মাসে সর্বোচ্চ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই হার ছিল ৩.২ শতাংশ। উৎপাদন ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ এবং খনি ক্ষেত্রে ৪.৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে।

মূলধনী পণ্য, স্থায়ীভোগ্য পণ্য, স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং ফার্মাসিউটিক্যালস ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার অনেকটাই। তালিকাভুক্ত ৪ হাজারেরও বেশি বাণিজ্যিক সংস্থার রাজস্ব বৃদ্ধি হয়েছে ৬.২ শতাংশ হারে।

বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কটি দেখুন - https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2025/mar/doc2025316520701.pdf

 

SC/AC/SB


(Release ID: 2111733) Visitor Counter : 10