কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক
পিএম-কিষাণের ১৯টি সফল কিস্তি প্রদান
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ৯.৮ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে ২২,০০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থের কিস্তি প্রদান করেন
PM-KISAN completes 19 successful installments: Prime Minister Shri Narendra Modi releases installment to 9.8 Crore Farmers amounting to more than ₹22,000 crore
Posted On:
24 FEB 2025 3:33PM by PIB Agartala
নতুন দিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে বিহারের ভাগলপুরে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (পিএম-কিষাণ) প্রকল্পের ১৯তম কিস্তির টাকা প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। এর ফলে সারা দেশে ২.৪১ কোটি মহিলা কৃষক সহ ৯.৮ কোটিরও বেশি কৃষক উপকৃত হবেন, এবং কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই সরাসরি তথা ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) এর মাধ্যমে ২২,০০০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তা পেতে চলেছেন, যা কৃষক কল্যাণ ও কৃষি সমৃদ্ধির প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করবে। এই প্রকল্পটি সারা দেশের কৃষকদের প্রভূত সহায়তা করবে এবং গ্রামীণ উন্নয়ন এবং কৃষি সমৃদ্ধির প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতিকে আরও নিশ্চিত করবে।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ৫ অক্টোবর ২০২৪ মহারাষ্ট্রের ওয়াশিমে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি (পিএম-কিষাণ) প্রকল্পের ১৮তম কিস্তির অর্থ প্রদান করেছিলেন। ওই সময়ে সারা দেশের ৯.৪ কোটিরও বেশি কৃষক সরাসরি ২০,০০০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সুবিধা পেয়েছিলেন৷
পিএম-কিষাণ নামে কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পটি জমির মালিক কৃষকদের আর্থিক চাহিদা পূরণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চালু করা হয়েছিল৷ এই প্রকল্পের অধীনে, প্রতি বছর ৬,০০০/– টাকার আর্থিক সুবিধা তিনটি সমান কিস্তিতে ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার (ডিবিটি) মোডের মাধ্যমে কৃষকদের আধার যুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়।
কৃষক-কেন্দ্রিক এই ডিজিটাল পরিকাঠামোটি কোনও মধ্যস্বত্বভোগীদের হস্তক্ষেপ ছাড়াই সারা দেশের সমস্ত কৃষকদের কাছে এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা সরাসরি পৌঁছে দিচ্ছে৷ সুবিধাভোগীদের নিবন্ধকরণ এবং যাচাই করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে, ভারত সরকার ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৮ টি কিস্তিতে ৩.৪৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ তাদের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিতরণ করেছে।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য:
ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের (এসএমএফ) আয় বাড়ানোই পিএম-কিষাণ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য৷
প্রতিটি ফসলের মরসুম শেষে খামারের প্রত্যাশিত আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফসলের যথাযথ মান এবং উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করতে এই সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে৷
এই আর্থিক সহায়তা তাদেরকে মহাজনদের খপ্পরে পড়া থেকে রক্ষা করবে এবং কৃষিকাজে তাদের ধারাবাহিকতাকে নিশ্চিত করবে।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি:
এই প্রকল্পটিকে আরও দক্ষ, কার্যকর এবং স্বচ্ছ করে তোলার লক্ষ্যে কৃষক-কেন্দ্রিক ডিজিটাল পরিকাঠামোর ক্রমাগত উন্নতি করা হয়েছে যাতে কোনও মধ্যস্থতাকারীর অংশগ্রহণ ছাড়াই এই প্রকল্পের সুবিধা সারা দেশের সমস্ত কৃষকের কাছে পৌঁছানো যায়।
এক্ষেত্রে আরও ব্যাপক মাত্রায় স্বচ্ছতার উপর জোর দিয়ে এবং আরও বেশি সংখ্যক কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পিএম-কিষাণ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে। পিএম-কিষান মোবাইল অ্যাপ সার্ভারগুলি পিএম-কিসান ওয়েব পোর্টালের একটি সহজ এবং দক্ষ সম্প্রসারণ।

২০২৩ সালে, অ্যাপটিতে একটি অতিরিক্ত "ফেস অথেনটিকেশন ফিচার" দিয়ে চালু করা হয়েছিল। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা ওটিপি বা আঙুলের ছাপ ছাড়াই মুখ স্ক্যান করে ই-কেওয়াইসি করতে সক্ষম হন।
পিএমকিষান - গুগল প্লেতে অ্যাপস:
পোর্টাল এবং মোবাইল অ্যাপটি স্ব-নিবন্ধন, বেনিফিট স্ট্যাটাস ট্র্যাকিং এবং ফেসিয়াল অথেনটিকেশন-ভিত্তিক ই-কেওয়াইসির মতো পরিষেবা সরবরাহ করে চলেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকরা প্রতিবেশীদের সহায়তা করার বিধান সহ ফেস স্ক্যানের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করতে পারেন।
রেজিস্ট্রেশনের সুবিধার্থে এবং বিভিন্ন আবশি্যক প্রয়োজনীয়তা পূরণ জন্য ৫ লক্ষেরও বেশি অভিন্ন পরিষেবা কেন্দ্র বা কমন সার্ভিস সেন্টারকে (সিএসসি) এর সাথে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও, পোর্টালে একটি শক্তিশালী অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে এবং ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হওয়া একটি এআই চ্যাটবট, কিষান-ইমিত্র, অর্থ প্রদান, নিবন্ধকরণ এবং যোগ্যতা সম্পর্কিত স্থানীয় ভাষায় তাৎক্ষণিক প্রশ্নের সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকরা তাদের নিকটবর্তী আরও ১০০ জন কৃষককে তাদের দোরগোড়ায় ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে সহায়তা করতে পারেন। এছাড়াও, ভারত সরকার কৃষকদের ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করার সুবিধা রাজ্য সরকারের আধিকারিকদেরও কাছেও প্রসারিত করেছে, সেই মত প্রত্যেক আধিকারিককে ৫০০ জন কৃষকের জন্য ই-কেওয়াইসি করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

পিএম-কিষান এআই চ্যাটবুট :
২০২৩ সালে, পিএম-কিষান প্রকল্পের জন্য একটি এআই চ্যাটবুট চালু করা হয়েছিল, যা কেন্দ্রীয় সরকারের একটি বড় ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের সাথে যুক্ত প্রথম এআই চ্যাটবুট হয়ে ওঠেছে। এআই চ্যাটবুট কৃষকদের তাদের প্রশ্নের তাৎক্ষণিক, স্পষ্ট এবং সঠিক সাড়া প্রদান করে থাকে। এটি একস্টেপ ফাউন্ডেশন এবং ভাষিনীর সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। পিএম-কিষান অভিযোগ পরিচালন ব্যবস্থায় এআই চ্যাটবুট প্রবর্তনের লক্ষ্য হ'ল একে ব্যবহার-বান্ধব এবং ব্যবহারযোগ্য প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কৃষকদের আরও ক্ষমতায়ন করা।
পিএম কিষান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্সেসযোগ্য এআই চ্যাটবুটটি ভাষিনীর সাথে একীভূত করা হয়েছে, যা পিএম কিষান সুবিধাভোগীদের ভাষাগত এবং আঞ্চলিক বৈচিত্র্যকে পূরণ করে বহুভাষিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভাষিনী' কণ্ঠস্বর-ভিত্তিক সুবিধা প্রদান সহ ভারতীয় ভাষাগুলিতে ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল পরিষেবাগুলিতে সহজে সুবিধা সক্ষম করতে এবং ভারতীয় ভাষায় বিষয়বস্তু তৈরিতে সহায়তা করে।

উন্নত প্রযুক্তির এই সংহতকরণ কেবল এতে স্বচ্ছতাই আনবে না, উপরন্তু কৃষকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও ক্ষমতায়িত করবে।
এছাড়াও, ডাক বিভাগ পিএম কিষাণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকদের জন্য আধারের সাথে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক / আপডেট করার সুবিধা প্রদান করে থাকে। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ই-কেওয়াইসি সম্পূর্ণ করতে হবে।
এই প্রকল্পের সুবিধালাভের জন্য প্রয়োজনীয় বাধ্যতামূলক তথ্য:
কৃষক/স্বামী-স্ত্রীর নাম
কৃষকের/স্বামী-স্ত্রীর জন্ম তারিখ
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর
আইএফএসসি/ এমআইসিআর কোড
মোবাইল নম্বর
আধার নম্বর
বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় পাসবইতে উপলব্ধ অন্যান্য গ্রাহকের তথ্য

এর প্রভাব এবং সাফল্য:
এই প্রকল্পটি শুরু পর থেকে ভারত সরকার ১৮টি কিস্তিতে ৩.৪৬ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বিতরণ করেছে।
বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার আওতায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে চালু হওয়া একটি উল্লেখযোগ্য স্যাচুরেশন ড্রাইভ ১ কোটিরও বেশি যোগ্য কৃষককে এই প্রকল্পে যুক্ত করেছে।
২০২৪ সালের জুনে পরবর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত ২৫ লক্ষ কৃষককে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। যার ফলে ১৮তম কিস্তিতে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ কোটি ৫৯ লাখে।
বিভিন্ন রাজ্যে এই প্রকল্পটির বিস্তৃত প্রসার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ১৮ তম কিস্তিতে (আগস্ট ২০২৪ - নভেম্বর ২০২৪) উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক সুবিধাভোগীর সংখ্যা ছিল ২,২৫,৭৮,৬৫৪ জন, তারপরে বিহারে ৭৫,৮১,০০৯ জন সুবিধাভোগী ছিল।
একটি সম্ভাবনাময় যাত্রা :
২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আইএফপিআরআই) এর একটি স্বাধীন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পিএম-কিষাণ তহবিল গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তুলেছে, কৃষকদের ঋণের দায়বদ্ধতাকে হ্রাস করেছে এবং কৃষি উপকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। উপরন্তু, এই প্রকল্পটি কৃষকদের ঝুঁকি গ্রহণের ক্ষমতাকে বাড়িয়েছে, যার ফলে তারা ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু তুলনামূলকভাবে উৎপাদনশীল ক্ষেত্রে বিনিয়োগ গ্রহণ করতে পারেন। পিএম-কিষাণ যোজনার আওতায় প্রাপকরা যে অর্থ পেয়েছেন তা কেবল তাঁদের কৃষিকাজের প্রয়োজনেই আসছে না, তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা, বিয়ের মত অন্যান্য খরচও মেটানো হচ্ছে। এগুলি দেশের কৃষকদের উপর এই প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাবের একটি সূচক। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পটি বাস্তবিক অর্থেই আমাদের দেশের কৃষক সম্প্রদায়ের জন্য গেম চেঞ্জার হয়ে উঠেছে।
বিগত পাঁচ বছরে, পিএম-কিষাণ প্রকল্পটি কৃষক সম্প্রদায়ের জন্য একটি রূপান্তরমূলক উদ্যোগ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে, যা তাঁদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং গ্রামীণ ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্ণিত হয়েছে৷ লক্ষ লক্ষ কৃষককে সরাসরি ও উপযুক্ত সময়ে এই আর্থিক সহায়তা প্রদান করার মাধ্যমে প্রকল্পটি অসাধারণ দক্ষতার সাথে বাস্তবায়িত হয়েছে। এই প্রকল্পটি নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল পরিকাঠামোর মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি অর্থ স্থানান্তর করে, স্বচ্ছতা এবং কার্যকর প্রশাসনের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য মানদণ্ড স্থাপন করেছে। উপরন্তু পিএম-কিষাণ তার পরিধি ক্রমেই প্রসারিত করে চলেছে, এবং প্রকল্পটি কৃষি খাতকে শক্তিশালী করতে এবং ভারতের কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতির একটি প্রমাণ হয়ে উঠছে৷
References:
· https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2105462
· https://x.com/pmkisanofficial/status/1890710455896670308
· https://pmkisan.gov.in/Creatives.aspx
· https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2061928
· https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2100758
· https://pmkisan.gov.in/Documents/PMKisanSamanNidhi.PDF
· https://pib.gov.in/PressReleaseIframePage.aspx?PRID=1947889
· https://pib.gov.in/PressReleaseIframePage.aspx?PRID=1934517
· https://sansad.in/getFile/annex/266/AU1302_YaVIcH.pdf?source=pqars
· https://static.pib.gov.in/WriteReadData/specificdocs/documents/2022/aug/doc202282696201.pdf
· https://pib.gov.in/PressReleaseIframePage.aspx?PRID=1959461
· https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=1869463
· https://pmkisan.gov.in/Documents/Note-on-Modes-and-processes-of-ekyc-13th-Nov-English.pdf
· https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2100758
· https://sansad.in/getFile/loksabhaquestions/annex/1712/AU795.pdf?source=pqals
· https://pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2080200
Click here to see PDF
***
SKC/DM/KMD
(Release ID: 2105980)
Visitor Counter : 70