প্রধানমন্ত্রীরদপ্তর
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘‘মন কি বাত’’ (১১৯ তম পর্ব) অনুষ্ঠানের বাংলা অনুবাদ
Posted On:
23 FEB 2025 11:33AM by PIB Kolkata
আমার প্রিয় দেশবাসী, নমস্কার। মন কি বাতে স্বাগত জানাই আপনাদের সবাইকে। এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি চলছে আর চারদিক ক্রিকেট নিয়ে সরব। ক্রিকেটে সেঞ্চুরির রোমাঞ্চ কী তা আমরা সবাই কমবেশি জানি, কিন্তু আজ আমরা ক্রিকেট নয়, মহাকাশে ভারত যে অসামান্য সেঞ্চুরি বানিয়েছে সেটা নিয়ে কথা বলব। গত মাসে দেশ ইসরোর শততম রকেটের উৎক্ষেপণের সাক্ষী হয়েছে। এতে কেবল একটা নয়, বরং মহাকাশ বিজ্ঞানে নিত্য নতুন উচ্চতা স্পর্শ করার আমাদের যে সঙ্কল্প সে সম্পর্কেও ধারণা পাওয়া যায়। আমাদের মহাকাশ যাত্রা শুরু হয়েছিল খুব সাধারণভাবে। সেখানে পদে-পদে চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীরা সব জয় করতে-করতে এগিয়ে চললেন। সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে মহাকাশের এই সব অভিযানে আমাদের সাফল্যের তালিকা আরও দীর্ঘ হতে থাকল। লঞ্চ ভেহিকলের নির্মাণ হোক, চন্দ্রযানের সাফল্য হোক, মঙ্গলযান হোক, আদিত্য এল-ওয়ান অথবা একটামাত্র রকেটের সাহায্যে একই বারে মহাকাশে একশো চারটি স্যাটেলাইট পাঠানোর অভূতপূর্ব মিশন হোক – ইসরোর সাফল্যের পরিধি ক্রমশ বড় হচ্ছে। গত দশ বছরেই প্রায় চারশো ষাটটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে আর এর মধ্যে অন্যান্য দেশের অনেক স্যাটেলাইট রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের আরও একটা বৈশিষ্ট্য এটাও যে আমাদের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দলে নারী-শক্তির অংশীদারিত্ব ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আমার এটা দেখে খুব আনন্দ হয় যে আজ মহাকাশ-ক্ষেত্র আমাদের তরুণদের জন্য খুব আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। কিছু দিন আগে অবধিও কে ভেবেছিল যে এই ক্ষেত্রে স্টার্ট-আপ আর বেসরকারি স্পেস কোম্পানির সংখ্যা শতাধিক হয়ে উঠবে! আমাদের যে সব তরুণরা জীবনে কিছু উত্তেজনাময় আর রোমাঞ্চকর কিছু করতে চায়, তাদের জন্য মহাকাশ-ক্ষেত্র এক চমৎকার বিকল্প জায়গা হয়ে উঠছে।
বন্ধুরা, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আমরা জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালন করতে চলেছি। আমাদের শিশুদের মধ্যে, তরুণদের মধ্যে বিজ্ঞানের প্রতি টান ও আগ্রহ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে আমার কাছে একটা আইডীয়া আছে, যাকে আপনারা ‘one day as a scientist’ আখ্যা দিতে পারেন, অর্থাৎ, আপনি আপনার একটা দিন বিজ্ঞানী হিসাবে, একজন বৈজ্ঞানিকের রূপে, কাটিয়ে দেখুন। আপনি আপনার সুবিধে অনুযায়ী, পছন্দ অনুযায়ী, যে কোনও দিন বেছে নিতে পারেন। সে দিন আপনি কোনও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, তারামণ্ডল অথবা কোনও মহাকাশ কেন্দ্রের মত জায়গায় অবশ্যই যান। এতে বিজ্ঞান নিয়ে আপনার কৌতূহল আরও বাড়বে। মহাকাশ আর বিজ্ঞানের মত আর একটা ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে দ্রুততার সঙ্গেও নিজের উজ্জ্বল পরিচিতি তৈরি করছে ভারত – এটা হল এআই অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
সম্প্রতি আমি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর একটি বড় সম্মেলনে অংশ নিতে প্যারিস গিয়েছিলাম। সেখানে সারা বিশ্ব এই সেক্টরে ভারতের উন্নতির ভূয়সী প্রশংসা করেছে। আমাদের দেশের মানুষ AI এর ব্যবহার কী কী ভাবে করছে তার উদাহরণও আমরা দেখতে পাচ্ছি। যেমন তেলেঙ্গানার আদিলাবাদের সরকারি স্কুলের এক শিক্ষক থোডাসম কৈলাস জি। ডিজিটাল সংগীতে তার আগ্রহ আমাদের বহু ট্রাইবাল ল্যাঙ্গুয়েজকে বাঁচিয়ে রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উনি AI টুলস এর সাহায্যে কোলামি ভাষায় গান কম্পোজ করে চমৎকৃত করে দিয়েছেন। এই AI এর ব্যবহার কোলামি ছাড়াও অন্য অনেক ভাষায় গান তৈরি করতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওঁর ট্র্যাক আমাদের জনজাতি ভাই-বোনেদের অত্যন্ত পছন্দ হচ্ছে। স্পেস সেক্টর কিংবা AI, আমাদের তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণে এক নতুন বিপ্লবের জন্ম দিচ্ছে। নতুন নতুন টেকনোলজিকে গ্রহণ ও প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে ভারতবাসীরা কারো থেকে পিছিয়ে নেই।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আগামী ৮ ই মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এটি আমাদের নারী শক্তিকে প্রণাম জানানোর এক বিশেষ সুযোগ। দেবী মাহাত্ম্যতে বলা হয়েছে -
বিদ্যা: সমস্তা: তব দেবি ভেদা:
স্ত্রয়ও: সমস্তা: সকলা জগৎসু
অর্থাৎ সকল বিদ্যা দেবীরই বিভিন্ন স্বরূপের অভিব্যক্তি এবং জগতের সমস্ত নারীশক্তিতে ওঁরই প্রতিরূপ আছে। আমাদের সংস্কৃতিতে মেয়েদের সম্মান সবার উপরে থেকেছে। দেশের মাতৃশক্তি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে ও সংবিধান নির্মাণেও বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। সংবিধান সভায় আমাদের জাতীয় পতাকা প্রস্তুত করার সময় হংসা মেহতাজি যা বলেছিলেন, তা আমি তাঁরই কন্ঠে আপনাদের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি।
#Audio
এটা খুবই সমীচীন যে এই ঐতিহ্যমন্ডিত সদনের ওপরে প্রথম যে পতাকা উড়বে তা ভারতের মেয়েদের তরফ থেকে হবে এক উপহার। আমাদের দেশের স্বাধীনতার জন্য আমরা এই গৈরিক রং ধারণ করেছি, লড়াই করেছি, যন্ত্রণা সহ্য করেছি এবং ত্যাগ স্বীকার করেছি । আজ আমরা আমাদের লক্ষ্যে উপনীত হয়েছি। দেশের স্বাধীনতার এই প্রতীক তুলে ধরে আরো একবার দেশের কাজে নিবেদিত হলাম। আমরা এক মহান ভারত গড়ে তোলার শপথ নিচ্ছি। এমন এক দেশ যা হবে সকল দেশের সেরা। আমরা প্রতিজ্ঞা করছি, যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি, তা অটুট রাখার মহৎ উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করে যাব।
বন্ধুরা হংস মেহতাজি আমাদের জাতীয় পতাকা তৈরি থেকে শুরু করে সারা দেশের জন্য আত্ম বলিদান দিয়েছিলেন যে সকল নারীরা, তাদের অবদানের কথা তুলে ধরেছিলেন। তিনি মনে করতেন, আমাদের তেরঙ্গা পতাকায় গেরুয়া রং সেই ভাবনার উন্মেষ ঘটায়। তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো যে আমাদের নারী শক্তি ভারতকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আজ তার সেই কথাগুলোই সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। আজ যে কোনো ক্ষেত্রেই দৃষ্টিপাত করলে দেখা যাবে যে মহিলাদের অবদান কতটা ব্যাপক।
বন্ধুরা, এবার নারী দিবসে আমি এমনই একটা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি, যা আমাদের নারী শক্তির প্রতি সমর্পিত হবে। এই বিশেষ মুহূর্তে আমি আমার social media account যেমন X, Instagram এগুলো দেশের কিছু inspiring women যাঁরা, তাদের কাছে একদিনের জন্য সমর্পণ করতে চলেছি। এমন women ( নারীরা) যাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, innovation করেছেন, ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের একটা স্বতন্ত্র পরিচিতি তৈরি করেছেন। ৮ই মার্চ, তাঁরা তাঁদের কাজ ও অভিজ্ঞতার কথা দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নেবেন। Platform-টা যদিও আমার হবে কিন্তু সেখানে তাঁদের অনুভূতি, চ্যালেঞ্জে ও অভিজ্ঞতার কথাই হবে। যদি আপনি মনে করেন যে এই সুযোগ আপনার পাওয়া উচিত তাহলে NAMO app-এ বানানো বিশেষ ফোরামের মাধ্যমে এই প্রয়োগ-মূলক সুবিধার অংশ হতে পারেন, এবং আমার X ও instagram account থেকে সারা বিশ্বের কাছে নিজের কথা পৌঁছে দিতে পারেন; তাহলে আসুন এবার নারী দিবসে আমরা সবাই মিলে অদম্য নারী শক্তিকে সেলিব্রেট করি, সম্মান করি, প্রণাম করি।
আমার প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা উত্তরাখণ্ডে হওয়া জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার রোমাঞ্চ উপভোগ করেছেন। সারা দেশ থেকে ১১,০০০-এর বেশি athletes এখানে চমৎকার প্রদর্শন করেছেন। এই আয়োজন দেবভূমির নতুন রূপ তুলে ধরেছে। উত্তরাখন্ড এখন দেশের strong sporting force হিসেবে উঠে আসছে। উত্তরাখণ্ডের খেলোয়াড়েরাও সুন্দর প্রদর্শন করেছেন। এবার উত্তরাখন্ড সপ্তম স্থান অধিকার করেছে- এটাই তো power of sports, যা individual এবং communities এর সঙ্গে সঙ্গে সারা রাজ্যেকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছে। এতে যেমন পরবর্তী প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয় তেমনি culture of excellence-এরও প্রসার ঘটে।
বন্ধুরা, আজ দেশব্যাপী এই খেলাগুলোর কিছু অবিস্মরণীয় প্রদর্শনের চর্চা হচ্ছে।এই খেলায় সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ পদক জেতা services এর team কে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা।রাষ্ট্রীয় খেলায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক খেলোয়াড়ও প্রশংসনীয়। আমাদের অনেক খেলোয়াড় khelo india অভিযানের দান। হিমাচল প্রদেশের শাওন বারোয়াল, মহারাষ্ট্রের কিরণ মাত্রে, তেজাস শিরসে বা অন্ধ্র প্রদেশের জ্যোতি ইয়ারাজি, প্রত্যেকে দেশকে নতুন আশার আলো দেখিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের জাভেলিন থ্রোয়ার শচীন যাদব এবং হরিয়ানার হাই জাম্পার পূজা ও কর্নাটকের সুইমার ধিনিধি দেসিন্ধু দেশবাসীর মন জিতে নিয়েছেন। এঁরা তিনটে রাষ্ট্রীয় রেকর্ড বানিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন।এইবারের রাষ্ট্রীয় খেলায় teenage champions, তাঁদের নাম্বার, সত্যিই বিস্ময়কর! ১৫বছর বয়সী শুটার গ্যাবিন এন্টোনি, UP এর Hammer Throw-এর খেলোয়াড় ১৬ বছরের অনুষ্কা যাদব, মধ্যপ্রদেশের ১৯ বছরের পোলওয়ালটার দেব কুমার মিনা প্রমাণিত করেছেন যে ভারতের স্পোটিং ফিউচার,অত্যন্ত প্রতিভাবান প্রজন্মের হাতে আছে। উত্তরাখণ্ডে হওয়া ন্যাশনাল গেমস এটাও দেখিয়েছে যে কখনো হার না মানারা অবশ্যই জেতে কমফোর্ট এর মধ্যে থেকে কেউ চ্যাম্পিয়ন তৈরি হয় না। আমি অত্যন্ত খুশি যে আমাদের যুব অ্যাথলিট দের ডিটার্মিনেশন আর ডিসিপ্লিন এর সঙ্গে ভারত আজ গ্লোবাল স্পোর্টিং পাওয়ার হাউস হওয়ার দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
আমার প্রিয় দেশবাসী, দেরাদুনে ন্যাশনাল গেমস এর ওপেনিং চলাকালীন আমি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনেছি, যেটি দেশে একটি নতুন বিষয়ে চর্চার সূচনা করেছে - সেই বিষয়টি হলো ওবেসিটি অর্থাৎ স্থুলতা। একটি ফিট ও হেলদি নেশন বানানোর জন্য আমাদের ওবেসিটি সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করতেই হবে। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী আজ প্রত্যেক আটজনের মধ্যে একজন ব্যক্তি ওবেসিটির সমস্যায় জর্জরিত। বিগত বছরগুলিতে ওবেসিটির সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর থেকেও বেশি চিন্তার বিষয় এটা যে বাচ্চাদের মধ্যেও স্থুলতার সমস্যা চার গুণ বেড়ে গেছে। WHO এর ডেটা অনুযায়ী 2022 এ পৃথিবীব্যাপী প্রায় আড়াইশো কোটি মানুষ ওভার ওয়েট ছিলেন, অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ওজন ছিল। এই সংখ্যা অত্যন্ত চিন্তাজনক এবং আমাদের সবাইকে ভাবতে বাধ্য করছে যে এরকম আদপে হচ্ছে কেন?
অতিরিক্ত ওজন বা স্থুলতা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এবং অসুখের জন্ম দেয়। আমরা সকলে মিলে ছোট ছোট প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে পারি, যেমন একটা সমাধান আমি বলেছিলাম, "খাদ্যে ব্যবহৃত তেলের পরিমাণ দশ শতাংশ কমিয়ে ফেলা"। আপনারা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলুন যে প্রত্যেক মাসে 10 শতাংশ কম তেল ব্যবহার করবেন। আপনারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে যতটা পরিমাণ তেল কেনেন , তার দশ শতাংশ কম কিনবেন। এটা ওবেসিটি কম করার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হবে। আমি আজ মন কি বাত-এ এই বিষয়ে কিছু special message-ও আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। অলিম্পিক মেডেলিস্ট নীরজ চোপড়াকে দিয়ে শুরু করা যাক। যিনি নিজে সাফল্যের সঙ্গে ওবেসিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছেন -
অডিও
সকলকে নমস্কার, আমি নীরজ চোপড়া আজ আপনাদের সকলকে বলতে চাই যে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি মন কি বাত অনুষ্ঠানে এবার ওবিসিটির বিষয়ে আলোচনা করেছেন যা আমাদের দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর আমি এই বিষয়টাকে কোথাও না কোথাও নিজের সঙ্গেও রিলেট করি কারণ যখন আমি গ্রাউন্ডে যাওয়া শুরু করেছিলাম সেই সময় আমার ওজন অতিরিক্ত ছিল আর যখন আমি ট্রেনিং স্টার্ট করলাম স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শুরু করলাম, তখন আমার হেলথের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে আর তারপরে যখন আমি একজন প্রফেশনাল অ্যাথলিট হয়ে উঠলাম তখনও এটা আমায় খুব সাহায্য করেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলতে চাই যে পেরেন্টসরা নিজেরাও কোন একটা আউটডোর স্পোর্ট খেলুন এবং নিজেদের বাচ্চাদেরও সেখানে নিয়ে যান আর একটা হেলদি লাইফ স্টাইল গড়ে তুলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং নিজের শরীরের জন্যও এক ঘন্টা অথবা সারাদিনে যতোটুকু টাইম আপনি দিতে পারেন তা এক্সারসাইজের জন্য ব্যয় করুন। আমি আরো একটা বিষয় অ্যাড করতে চাই খুব সম্প্রতি আমাদের প্রধানমন্ত্রী জি বলেছেন যে খাবার সময় ব্যবহৃত তেলের পরিমাণ যাতে 10 শতাংশ কম করা হয়, কারণ অনেক সময় আমরা বেশি তেলে রান্না করা খাবার খেয়ে ফেলি যা ওবেসিটিকে ভীষণ রকম প্রভাবিত করে। তাই আমি সকলকে বলতে চাই এই ধরনের অভ্যাস এড়িয়ে চলুন এবং নিজের হেলথের খেয়াল রাখুন। শুধু এটাই আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি আর আসুন আমরা সকলে একসঙ্গে নিজের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই, ধন্যবাদ।
নীরজজি আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রখ্যাত ক্রীড়াবিদ নিখত জারিনও এই বিষয়ে তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন:
#অডিও
Hi আমার নাম নিখাত জারিন এবং আমি two times world boxing champion. আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি মন কি বাত অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেছেন স্থুলতা নিয়ে and I think it’s a national concern. আমাদের নিজেদের health নিয়ে serious হতে হবে কারণ স্থুলতা ভীষণ দ্রুত আমাদের ইন্ডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ছে এবং তাকে আমাদের আটকানো উচিৎ এবং আমাদের চেষ্টা করা উচিৎ যতটা সম্ভব healthy lifestyle follow করার।
আমি নিজে একজন athlete হিসেবে চেষ্টা করি healthy diet follow করার কারণ যদি আমি ভুল করেও unhealthy diet নিয়ে ফেলি বা oily জিনিস খেয়ে ফেলি তাহলে তার impact আমার performance-এ পড়ে এবং আমি ring-এ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তাই আমি চেষ্টা করি edible oil-এর মত জিনিস কম ব্যবহার করতে ও তার জায়গায় healthy diet follow করতে এবং daily physical activity করতে যার ফলে আমি সর্বদা fit থাকি and I think আমাদের মতন common মানুষ যাঁরা আছেন, যাঁরা daily job-এ যান, কাজে যান, এবং আমি মনে করে তাঁদের এবং প্রত্যেকেরই Health নিয়ে serious হওয়া উচিৎ, এবং কোন না কোন daily physical activity করা উচিৎ। যাতে এর মাধ্যমে heart attack বা cancer-এর মতন রোগ থেকে আমরা দূরে থাকতে পারি এবং নিজেদের fit রাখতে পারি, কারণ “আমরা fit তো India fit.”
নিখত জি সত্যিই কিছু গুরুত্বপূর্ণ points বলেছেন। আসুন এখন আমরা শুনি ডাক্তার দেবী শেট্টী কী বলছেন। আপনারা সকলেই জানেন উনি একজন ভীষণই সমাদৃত ডাক্তার যিনি এই বিষয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।
আমি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে, তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে, স্থূলতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং প্রচারের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজকের দিনে স্থূলতা কোনও problem নয়, এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। ভারতের একটি বড়ো অংশ তরুণ-তরুণী স্থূলকায়। আজকের দিনে স্থূলতার প্রধান কারণ হল নিম্নমানের খাবার খাওয়া, বিশেষ করে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া, যেমন ভাত, রুটি এবং চিনি এবং অবশ্যই অতিরিক্ত তেল। স্থূলতার ফলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ফ্যাটি লিভার এবং আরও অনেক জটিল সমস্যা দেখা দেয়। তাই সকল তরুণ-তরুণীদের প্রতি আমার পরামর্শ হল, ব্যায়াম শুরু করুন, আপনার খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করুন এবং খুব অ্যাকটিভ থাকুন, এবং আপনার ওজনের দিকে নজর রাখুন। আবারও আমি আপনাদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য সকলকে শুভকামনা জানাতে চাই। ঈশ্বর আপনাদের মঙ্গল করুন।
বন্ধুরা, খাবারে তেলের ব্যবহার কমানো এবং স্থূলতা মোকাবেলা করা কেবল ব্যক্তিগত পছন্দ নয়, বরং পরিবারের প্রতি এটা আমাদের দায়িত্বও। খাবারে অতিরিক্ত তেলের ব্যবহার হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো অনেক রোগের কারণ হতে পারে। আমাদের খাদ্যাভ্যাসে ছোট ছোট পরিবর্তন এনে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও শক্তিশালী, সুস্থ এবং রোগমুক্ত করতে পারি। অতএব, কোনও বিলম্ব না করে, এই পথে আমাদের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে এবং এটিকে আমাদের জীবনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমরা সকলেই একসঙ্গে খেলার ছলেই খুব কার্যকরভাবে করতে পারি। যেমন মন কি বাতের এই পর্বের পর, আমি ১০ জনকে অনুরোধ করব, challenge করব যে তারা কি তাদের রোজকার খাবারে তেল ১০% কম ব্যবহার করতে পারে? আমি তাঁদের এও অনুরোধ করব যে, একই চ্যালেঞ্জ ১০ জন নতুন ব্যক্তিকে ছুঁড়ে দিন। আমার বিশ্বাস এটি স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটাই সাহায্য করবে।
বন্ধুরা, তোমরা কি জানো asiatic lion, hangul, pygmy hogs এবং lion-tailed macaque- এর মধ্যে কী মিল? উত্তর হলো, এগুলো পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না, শুধু আমাদের দেশেই পাওয়া যায়। সত্যিই, আমাদের এখানে উদ্ভিদ ও প্রাণীর একটি অত্যন্ত প্রাণবন্ত বাস্তুতন্ত্র রয়েছে। আর এই বন্য প্রাণীগুলো আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে গভীরভাবে প্রোথিত। অনেক প্রাণীকে আমাদের দেব-দেবীর বাহন হিসেবেও দেখা হয়। মধ্য ভারতের অনেক উপজাতি বাগেশ্বরের পূজা করে। মহারাষ্ট্রে বাঘোবার পূজার একটি ঐতিহ্য রয়েছে। বাঘের সঙ্গে ভগবান আয়াপ্পারও খুব গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
সুন্দরবনে বনবিবির পূজা অর্চনা করা হয়, যাঁর বাহন বাঘ। আমাদের এখানে কর্নাটকের হুলী বেশা, তামিলনাড়ুর পূলি এবং কেরলের পুলিকলীর মতো অনেক সাংস্কৃতিক নৃত্য আছে , যা প্রকৃতি ও বন্য জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। আমি আমাদের আদিবাসী ভাই বোনদেরও অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই কারণ তাঁরা Wildlife Protection-এর সঙ্গে যুক্ত কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। কর্নাটকের BRT Tiger Reserve-এ বাঘের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এর বেশিরভাগ Credit Soliga Tribes-এর, যাঁরা বাঘের পুজো করেন। এঁদের জন্য এই এলাকায় man-animal conflict নেই বললেই চলে। গুজরাটের মানুষেরাও গীর-এর Asiatic Lion-এর সুরক্ষা ও সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তাঁরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিলেন যে প্রকৃতির সঙ্গে co-existence আসলে কি? বন্ধুরা, এইসব প্রচেষ্টার জন্যই বিগত কয়েক বছরে বাঘ, চিতাবাঘ, Asiatic Lion, Rhino এবং বারা-সিংহা হরিণের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে, ও ভারতে বন্যপ্রাণীর diversity এতটাই সুন্দর, যে সেটাও চোখে পড়ার মতো। Asiatic Lion দেশের পশ্চিমাঞ্চলে পাওয়া যায়, আবার বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র পূর্ব, মধ্য ও দক্ষিণ ভারত, আবার Rhino উত্তর পূর্ব ভারতে পাওয়া যায়। ভারতের সমস্ত অঞ্চল শুধুমাত্র প্রকৃতির জন্য সংবেদনশীলই নয়, উপরন্তু Wildlife Protection-এর জন্যেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাকে অনুরাধা রাও জির সম্পর্কে জানানো হয়েছে, যাঁর বহু প্রজন্মের সম্পর্ক আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে রয়েছে। অল্প বয়সেই অনুরাধাজি Animal Welfare-এর কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। উনি তিন দশক ধরে হরিণ ও ময়ূরের সংরক্ষণকে নিজের mission করে নিয়েছেন। এখানকার মানুষ ওঁকে 'Deer Woman' নামে ডাকে। পরের মাসে শুরুর দিকে আমরা World Wildlife Day উদযাপন করব। আমি অনুরোধ করব আপনারা wildlife protection-এর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের অবশ্যই উৎসাহিত করুন। এটা আমার জন্য খুবই তৃপ্তির বিষয় যে এই ক্ষেত্রে এখন অনেক Start-upও শুরু হয়েছে।
বন্ধুরা, এখন Board Exam এর season। যুবা বন্ধুদের জন্য অর্থাৎ Exam Warriors দের আসন্ন পরীক্ষার উদ্দেশ্যে আমার শুভ কামনা রইলো। তোমরা কোন Stress ছাড়াই সম্পূর্ণ Positive Spirit এর সঙ্গে নিজেদের পরীক্ষা দাও। প্রতি বছর 'পরীক্ষা পে চর্চা'-অনুষ্ঠান টিতে আমি আমাদের Exam Warriors দের সঙ্গে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলি। আমি খুশি যে এখন এই অনুষ্ঠানটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিতে শুরু করেছে, Institutionalise হতে চলেছে। নতুন নতুন Experts রাও এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এই বছর আমরা ‘পরীক্ষা পে চর্চা' ’একটি নতুন Format এ করার চেষ্টা করেছি। Experts দের সঙ্গে, আটটি ভিন্ন ভিন্ন এপিসোড অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আমরা overall Exam থেকে শুরু করে Health Care এবং mental health এর সঙ্গে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মত বিষয়গুলি কভার করেছি। সেখানেই গত বছরের পরীক্ষার toppersরা তাদের নিজের চিন্তা ভাবনা, অনুভূতি সবার সঙ্গে share করেছে। বহু যুবা বন্ধু, ওদের parents এবং Teachers-রা এই বিষয়ে আমাকে চিঠি লিখেছেন। ওনারা এই format এর ভূয়সি প্রশংসা করেছেন, কারণ এই অনুষ্ঠানে অনেক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। Instagram এও আমার বহু যুবা বন্ধু এই Episode টা দেখেছে। দিল্লির সুন্দর নার্সারিতে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা আপনারা অনেকেই খুবই পছন্দ করেছেন। আমাদের যুবা বন্ধুদের মধ্যে যারা এখনও পর্যন্ত ‘পরীক্ষা পে চর্চা’-এর এই পর্বগুলো দেখতে পারো নি, তারা অবশ্যই দেখবে। এর সমস্ত Episode NaMoApp-এ রাখা আছে। আবারও Exam Warriors দের প্রতি আমার এই message রইল যে "Be happy and Stress free"।
আমার প্রিয় বন্ধুরা, মন কি বাত অনুষ্ঠান আজ এই পর্যন্তই। আগামী মাসে নতুন বিষয়ের সঙ্গে আবার সবাই মিলে 'মন কি বাত’ করব। আপনারা আমাকে আপনাদের চিঠি, বার্তা, পাঠাতে থাকুন। সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন। আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ! নমস্কার।
(Release ID: 2105623)
Visitor Counter : 22
Read this release in:
Gujarati
,
Urdu
,
Telugu
,
Assamese
,
English
,
Marathi
,
Hindi
,
Manipuri
,
Punjabi
,
Tamil
,
Kannada
,
Malayalam