বিজ্ঞানওপ্রযুক্তিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

২০২৫ সাল সাক্ষী হবে বিশ্ব জৈবপ্রযুক্তি বিপ্লবে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের; মোদী ৩.০ সরকারের নিয়ে আসা ভারতের প্রথম জৈবপ্রযুক্তি নীতি বিআইও-ই৩ ইতিমধ্যেই এর পথ প্রশস্থ করেছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান মন্ত্রী ডঃ জীতেন্দ্র সিং

Posted On: 01 JAN 2025 1:48PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি,  ১ জানুয়ারি, ২০২৫

 

ইংরেজি নববর্ষের প্রথমদিনে আজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কর্মীবর্গ ও প্রশিক্ষণ, গণঅভিযোগ, পেনশন, আণবিক শক্তি, মহাকাশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ডঃ জীতেন্দ্র সিং দূরদর্শন নিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০২৫ সাল সাক্ষী হবে বিশ্ব জৈবপ্রযুক্তি বিপ্লবে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের। মোদী ৩.০ সরকারের নিয়ে আসা ভারতের প্রথম জৈবপ্রযুক্তি নীতি বিআইও-ই৩ ইতিমধ্যেই এর পথ প্রশস্থ করেছে বলেও তিনি জানান। 

জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ভারতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং এক্ষেত্রে বিশ্বকে দেশের ক্রমবর্ধমান নেতৃত্ব দেওয়ার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃ্ত্বে বিগত এক দশকে অগ্রগতির কথা তুলে ধরে ডঃ সিং ভারতের উদ্ভাবন, স্টার্টআপ ক্ষেত্রে অগ্রগতির প্রেক্ষিতে ভবিষ্যতে জৈবপ্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি হল উদ্ভাবন ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং ভারতকে বিশ্বের মধ্যে জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পাওয়ার হাউসে পরিণত করা। তিনি আরও জানান, জৈবপ্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রভাগে রয়েছে, ভারত সেখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে।

সদ্য সূচনা হওয়া বিআইও-ই৩ (অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং পরিবেশের জন্যে জৈবপ্রযুক্তি) নীতির কথা তুলে ধরেছেন ডঃ সিং। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রতি এতে অনুমোদন দিয়েছে। এই নীতি ভারতের জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের জন্য এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে যা আগামীদিনে দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থানের চিত্র এবং পরিবেশগত স্থায়িত্ব গঠনের সম্ভাবনাকে শক্তিশালী করে তুলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।  

ডঃ সিং জানান, ২০১৪ সালে জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্র ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের শিল্প থেকে ২০২৪ সালে ১৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের শিল্পে পরিণত হয়েছে যা ২০৩০ সালে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্র উদ্ভাবন ক্ষেত্রে উৎসাহ যোগাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং পরিবেশগত প্রতিশ্রুতি পালনে সহায়ক হয়ে উঠবে।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী টিকা উৎপাদনের ৬০ শতাংশ ভারতে হয়ে থাকে বলে মন্ত্রী জানান। ভারতে বায়ো-ফার্মা, জৈব-কৃষি, জৈব-শিল্প সহ একাধিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। ডঃ সিং পশ্চিমের দেশগুলিতে চলা তথ্য প্রযুক্তি বিপ্লবের সঙ্গে ভারতের চলতি ‘জৈব-বিপ্লব’ -এর তুলনা করে দেশের সমৃদ্ধশালী  প্রাকৃতিক ও জীব-বৈচিত্র্যসমৃদ্ধ সম্পদ জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্যের চাবিকাঠি বলে উল্লেখ করেছেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিশন সুরক্ষা উদ্যোগ চালু হওয়ার কথা স্মরণ করে বলেন, এরফলে দেশীয় ডিএনএ ভিত্তিক টিকা তৈরি করা গেছে এবং কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বিশ্বে বৃহত্তম টিকাদান অভিযান চালানো সম্ভব হয়েছে। ২০২৪ সালে ভারত সরকার জৈবপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনে গতি আনতে ইতিমধ্যেই ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। 

তিনি আরও জানান, জৈবপ্রযুক্তির বাইরেও কোয়ানটাম প্রযুক্তির মতো অন্য অত্যাধুনিক ক্ষেত্রগুলিতেও ভারত বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তিনি মহাকাশ গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। অতীতে ভারত প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ক্ষেত্রে অন্য দেশ থেকে সাহায্য নিতো বলে উল্লেখ করে ডঃ সিং জানান, এখন সময় বদলেছে, অন্যদেশ ভারতের দিকে তাকিয়ে থাকে।  
 

SC/ SS /AG


(Release ID: 2089450) Visitor Counter : 22


Read this release in: English , Urdu , Hindi