কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা (পিএমএফবিওয়াই)-র চলতি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য / সংস্থানগুলির সংশোধন / সংযোজন এবং পুনর্গঠিত আবহাওয়াভিত্তিক শস্য বিমা প্রকল্পের (আরডব্লুবিসিআইএস) রূপায়ণে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন

Posted On: 01 JAN 2025 3:07PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১ জানুয়ারি , ২০২৫

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা এবং পুনর্গঠিত আবহাওয়াভিত্তিক শস্য বিমা প্রকল্প ২০২৫-২৬ সাল পর্যন্ত জারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বাবদ ২০২১-২২ থেকে ২০২৫-২৬ সালের জন্য মোট ৬৯৫১৫.৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে অপ্রতিরোধ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে কৃষকদের ফসলহানির ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হবে। 

প্রকল্প রূপায়ণে বৃহৎ মাত্রায় প্রযুক্তির প্রয়োগ হলে স্বচ্ছতা বাড়বে। দাবির অঙ্ক নিরুপণ ও নিষ্পত্তি সহজ হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি সংক্রান্ত ৮২৪.৭৭ কোটি টাকার একটি তহবিল (এফআইএটি) গড়ে তোলার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে। 

এই তহবিলের অর্থ ইয়েস-টেক, উইন্ডস প্রভৃতি প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রকল্প এবং গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে খরচ করা হবে। 

Yield Estimation System Using Technology (YES-TECH) প্রকল্পে দূরসংবেদী প্রযুক্তির সাহায্যে শস্যের ফলনের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ গুরুত্ব দেওয়া হয় প্রযুক্তি ভিত্তিক পূর্বানুমানের ওপর। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটক এই ৯টি বড় রাজ্যে এই প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। অন্য রাজ্যগুলিতেও এর রূপায়ণের প্রস্তুতি চলছে। এই প্রকল্প ব্যাপকভাবে চালু হলে ফলস কাটার ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং এ সম্পর্কিত সমস্যাগুলি ক্রমশ দূর হবে। ২০২৩-২৪ সালে ইয়েস-টেক পদ্ধতিতে শস্যহানির দাবির অঙ্ক নির্ধারণ ও নিষ্পত্তি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ এই প্রকল্প ১০০ শতাংশ গ্রহণ করেছে। 

Weather Information and Network Data Systems (WINDS) –এর আওতায় ব্লক স্তরে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এডব্লুএস) এবং পঞ্চায়েত স্তরে স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টি পরিমাপক স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় স্থানীয় আবহাওয়ার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য পেতে বর্তমান নেটওয়ার্ক ঘনত্ব ৫ গুণ বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে কেবলমাত্র সংগৃহীত তথ্যের ভাড়া দিতে হবে। কেরল, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচলপ্রদেশ, পুদুচেরী, অসম, ওড়িশা, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড এবং রাজস্থানে এই প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে। অন্য রাজ্যগুলিও এই প্রকল্প রূপায়ণে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। 

প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা না থাকায় ২০২৩-২৪ সালে রাজ্যগুলিতে এই প্রকল্প রূপায়ণ করা সম্ভব হয়নি। সেইজন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ২০২৪-২৫ সালকে এই প্রকল্প রূপায়ণের প্রথম বছর হিসেবে মেনে নিয়েছে। এরফলে রাজ্যগুলি ৯০:১০ অনুপাতে অধিকতর কেন্দ্রীয় তহবিল লাভের সুবিধা ভোগ করবে। 

উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করা হচ্ছে। কেন্দ্র এক্ষেত্রে ভর্তুকির ৯০ শতাংশ বহন করছে। তবে এই প্রকল্প স্বেচ্ছামূলক হওয়ায় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে মোট কৃষিভূমির পরিমাণ কম থাকায় কেন্দ্র এক্ষেত্রে নমনীয় মনোভাব নিয়েছে। তহবিলের অর্থ যাতে ফেরত না চলে আসে, সেজন্য অন্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পেও এই অর্থ খরচ করা যাবে।

 

 

SC/SD/NS…


(Release ID: 2089377) Visitor Counter : 35