আয়ুষ
স্বাস্থ্যকর এবং মজবুত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪-এর উদযাপনে আয়ুর্বেদ আহারের তাৎপর্য
Posted On:
16 OCT 2024 7:37PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি ১৬ অক্টোবর ২০২৪
উন্নত জীবন এবং ভবিষ্যতের জন্য খাদ্যের অধিকারকে তুলে ধরে প্রতি বছর ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। এবছর আয়ুষ মন্ত্রক ক্ষুধা দূর করতে এবং খাদ্য সুরক্ষা প্রসারে রাষ্ট্রসংঘের সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যের দ্বিতীয় পর্বের সমর্থনে এই দিবসের তাৎপর্যকে তুলে ধরতে আয়ুর্বেদ আহারের ওপর প্রাধান্য দিয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রক স্বাস্থ্যকর, রোগহীন এবং সুস্থায়ী বিশ্বকে আয়ুর্বেদ আহারের মধ্যে দিয়ে গড়ে তুলতে যাবতীয় প্রয়াস নিয়েছে।
স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আয়ুষ প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রতাপরাও যাদব বিশ্ব খাদ্য দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেছেন, আয়ুষের লক্ষ্য হল কেবলমাত্র বেঁচে থাকার রসদই নয়, বরং শরীরের লালন-পালন, মনের আরাম এবং আত্মার শান্তি, যা আমাদের শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত করে এবং প্রকৃতির সঙ্গে ঐক্য বজায় রেখে জীবন-যাপনের পথ দেখায়। বিশ্ব খাদ্য দিবসে আয়ুর্বেদ আহারের তাৎপর্য সম্পর্কে আমাদের সম্যক সচেতন হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। আয়ুর্বেদ আহার খাদ্যকে কেবল শক্তির উৎস থেকেও বড় করে দেখে। যার অর্থ হল, শরীর এবং মনের প্রকৃত ভারসাম্য বজায় রাখাই খাদ্যের মূল উপাদান। তিনি আরও বলেন, আয়ুর্বেদ নীতির সঙ্গে এক সূত্রে গথিত হলে এই দিবসের তাৎপর্য ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সমৃদ্ধির বাইরেও বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষা এবং সুস্খায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে সঠিক খাবারের গুরুত্বকে তুলে ধরে।
আয়ুর্বেদ ব্যয় সাশ্রয়ী, সুস্থায়ী এবং পুষ্টিকর খাদ্য তালিকার হদিশ দেয়, যা অপুষ্টির সমস্যা দূরীকরণে কাজ করতে পারে। এর পাশাপাশি বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন এলাকার খাদ্য সমস্যা মেটাতে খাদ্য বিষয়ক উন্নত সুস্থায়ী খাদ্যের সমাধান সূত্রের পথও বলে দেয়। আয়ুর্বেদ নীতিতে বলে খাদ্যই হল প্রকৃত ওষুধ। ফলে, খাদ্যগ্রহনকারীদের জন্য পরামর্শ হল সঠিক খাবার, সঠিক উপায়ে গ্রহন করুন, যা পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর জীবন গড়ে তোলার পাথেয় হতে পারে।
আয়ুর্বেদ আহারে বিকাশের বিভিন্ন দিককে তুলে ধরে আয়ুষ মন্ত্রকের সচিব বৈদ্য রাজেশ কোটেচা বলেন, দ্য ফুড সেফটি অ্যান্ড স্টান্ডার্স অথরিটি অফ ইন্ডিয়া(এফএসএসএআই)২০২১-এর গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে আয়ুর্বেদ আহারের নিয়মবিধি প্রকাশ করেছে। এরপর থেকে শিল্প সহ বিভিন্ন অংশীদার গোষ্ঠীর মধ্যে আয়ুর্বেদ ক্ষেত্রকে ঘিরে নতুন করে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। ফলে, এই ক্ষেত্রে এক বিপ্লবসাধন ঘটেছে।
পুষ্টিগুণ এবং সুস্থায়ীত্বের দিকে তাকিয়ে ভারতীয় থালি বিশ্বের নজর কেড়েছে। ডব্লু ডব্লু এফ লিভিং প্ল্যানেট রিপোর্টে যা স্বীকার করা হয়েছে। প্রথাগতভাবে উদ্ভিদজাত খাদ্যে শস্যদানা, ডালশস্য, মুসুর ডাল এবং শাকসব্জি এগুলি গ্রহনের মধ্যে দিয়ে প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহারকে হ্রাস করা যায়। পশুজাত খাদ্যের তুলনায় উদ্ভিদজাত খাদ্য ব্যবহারে কার্বন নির্গমন মাত্রাও কমে। রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতীয় প্রথাগত এই খাদ্যব্যবস্থাকে গ্রহন করলে ২০২৫০ সালের মধ্যে সুস্থায়ী বিশ্ব খাদ্য উৎপাদনের প্রয়োজন মেটাতে ধরিত্রীর কেবলমাত্র ০ দশমিক ৮৪ শতাংশ জায়গার ব্যবহারেই তা ফলদায়ী হতে পারে।
আয়ুর্বেদ আহারের সামর্থ ও সক্ষমতা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জয়পুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের অধ্যাপক শ্রী অনুপম শ্রীবাস্তব বলেন, আয়ুর্বেদ আহারের ক্ষেত্রে আয়ুষ মন্ত্রকের উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি রাষ্ট্রসংঘের সুস্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যের দ্বিতীয় পর্বের সঙ্গে সুসামঞ্জস্যপূর্ণ।
এদিকে তাকিয়ে আয়ুষ মন্ত্রক কুপোষণমুক্ত ভারতের জন্য আয়ুষ খাদ্য তালিকার পরামর্শ চালু করেছে, যাতে শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং স্তন্যদায়ী মায়েদের জন্য পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করা যায়। পোষণ ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে আয়ুষ ভিত্তিক খাদ্য এবং জীবনশৈলীকে তুলে ধরতে এটি একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়ুর্বেদ খাবার থাকলে তা একদিকে যেমন পুষ্টিগত শ্রীবৃদ্ধি ঘটায়, অন্যদিকে জনজীবনকে রোগ সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে।
প্রথাগত জ্ঞানের সঙ্গে আধুনিক বিজ্ঞানের সংমিশ্রন ঘটিয়ে কিভাবে বিশ্ব ক্ষুধা দূরীকরণে কার্যকর সমাধান মিলতে পারে আয়ুষ মন্ত্রক তারও পথ দেখাচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২৪-এর উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আয়ুষ মন্ত্রক রোগমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে আয়ুর্বেদ আহারের গুরুত্বকে তুলে ধরছে।
PG/AB/CS
(Release ID: 2065809)
Visitor Counter : 39