কেন্দ্রীয়মন্ত্রিসভা
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা তিনটি করিডর সহ ১) মাধভারন থেকে সিপকট, ২) লাইট হাউস থেকে পুনামালি বাইপাস ৩) মাধভারন থেকে শলিঙ্গানাল্লুর চেন্নাই মেট্রো রেল প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দিয়েছে

দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১৮.৯ কিলোমিটার নতুন লাইন সহ ১২৮টি স্টেশন থাকবে, চেন্নাই মেট্রো রেল নেটওয়ার্কের মোট দৈর্ঘ্য হবে ১৭৩ কিলোমিটার

এজন্য ৬৩,২৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে

Posted On: 03 OCT 2024 8:23PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৩  অক্টোবর, ২০২৪

 

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা আজ চেন্নাই মেট্রো রেল প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দিয়েছে। আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের পাঠানো যে প্রস্তাবে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে তাতে ৩টি করিডর ও ১২৮টি স্টেশন সহ মোট ১১৮.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। 

প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩,২৪৬ কোটি টাকা, ২০২৭ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পূর্ণ হলে চেন্নাই শহরে মেট্রো রেল নেটওয়ার্কের মোট দৈর্ঘ্য হবে ১৭৩ কিলোমিটার। দ্বিতীয় পর্যায়ে যে তিনটি করিডর নির্মাণ করা হবে সেগুলি হল :

    করিডর ১ : মাধভারন থেকে সিপকট, ৫০টি স্টেশন সহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৫.৮ কিলোমিটার
    করিডর ২ : লাইট হাউস থেকে পুনামালি বাইপাস, ৩০টি স্টেশন সহ মোট দৈর্ঘ্য ২৬.১ কিলোমিটার
    করিডর ৩ : মাধভারন থেকে শলিঙ্গনাল্লুর, ৪৮টি স্টেশন সহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৭ কিলোমিটার

সুবিধা ও বিকাশের গতিবৃদ্ধি : 
 
চেন্নাই মেট্রো রেল প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শহরের পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে। এর সুবাদে শহরে মেট্রো রেল নেটওয়ার্কের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটবে। 

সংযোগ বৃদ্ধি : 

দ্বিতীয় পর্যায়ের ফলে প্রায় ১১৮.৯ কিলোমিটার নতুন রেললাইন চালু হবে। এর অন্তর্গত করিডরগুলি চেন্নাইয়ের উত্তর থেকে দক্ষিণ ও পূর্ব থেকে পশ্চিমকে সংযুক্ত করবে। মাধভরন, পেরাম্বুর, তিরুমায়েলাই, আদিয়ার, শলিঙ্গানাল্লুর, সিপকট, কোদামবাক্কাম, ভারাপালানি, পরুর, ভিল্লিভক্কম, আন্নানগর, সেন্ট টমাস মাউন্ট-এর মতো শিল্পাঞ্চল, বাণিজ্যিক এলাকা, আবাসিক এলাকাগুলি যুক্ত হওয়ার ফলে এইসব অঞ্চলে কর্মরত মানুষজনের প্রভূত উপকার হবে। শলিঙ্গানাল্লুরের মতো উদীয়মান তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র এই করিডরের মাধ্যমে সংযুক্ত হতে চলেছে। এরফলে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের কর্মীরা উপকৃত হবেন। 

যানজট কমবে :

চেন্নাই মেট্রোর দ্বিতীয় পর্যায় শহরে যানজট কমাতে সহায়ক হবে। সড়ক পথের ওপর চাপ কমায় রাস্তাগুলি দিয়ে সহজে যাতায়াত করা যাবে। এতে যাতায়াতের সময় কমবে, সার্বিকভাবে পথ নিরাপত্তা বাড়বে। 

পরিবেশগত সুবিধা :

দ্বিতীয় পর্যায়ের এই মেট্রো রেল নেটওয়ার্ক, চেন্নাইতে কার্বন নির্গমণের হার কমাবে। মেট্রো রেলের মাধ্যমে যাতায়াত বাড়লে প্রথাগত জৈব জ্বালানী ভিত্তিক পরিবহণের তুলনায় দূষণ কমবে। 

অর্থনৈতিক বিকাশ :

যাতায়াতের সময় কমায় এবং শহরের বিভিন্ন এলাকা মেট্রো রেলের মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ায় মানুষজন সহজে তাঁদের কর্মক্ষেত্রে যেতে পারবেন। এরফলে তাঁদের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। দ্বিতীয় পর্যায়ের এই প্রকল্প রূপায়ণের সুবাদে নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ- সব ক্ষেত্রেই বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। মেট্রো সংযোগ বৃদ্ধির ফলে স্থানীয় ব্যবসাগুলির বিকাশ হবে। নতুন মেট্রো স্টেশন যেসব জায়গায় হচ্ছে সেখানে বিনিয়োগ বাড়বে, উন্নয়নের গতি ত্বরাণ্বিত হবে। 

সামাজিক প্রভাব :

চেন্নাই মেট্রোর সম্প্রসারণ জনপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাবে, সাধারণ মানুষ সহজে জনপরিবহণের নাগাল পাবেন। এরফলে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক গোষ্ঠীর মানুষ উপকৃত হবেন। তাঁদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ঘটবে। যাতায়াতের সময় কমায় তাঁরা অত্যাবশ্যক বিভিন্ন পরিষেবা সহজে নাগালের মধ্যে পাবেন। 

চেন্নাই মেট্রো প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় শহরে রূপান্তরমূলক উন্নয়ন ঘটাবে। এর সুবাদে সংযোগ বাড়বে, যানজট কমবে, পরিবেশ দূষণ হ্রাস পাবে, অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন সুনিশ্চিত হবে। চেন্নাই শহরের উন্নয়নের গতিপথ নির্ধারণ ও সুস্থিতি রক্ষায় এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। 


PG/SD/NS…


(Release ID: 2062045) Visitor Counter : 33