কৃষিমন্ত্রক
জৈব চাষীদের আর্থিক সহায়তা
Posted On:
06 AUG 2024 6:08PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি,৬ অগাস্ট, ২০২৪
ভারত সরকার মাটি পরীক্ষার ভিত্তিতে জৈব এবং জৈব সারের সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহারে উৎসাহ জুগিয়েছে। মাটির স্বাস্থ্য, উর্বরতা বৃদ্ধিতে বিকল্প সার হিসেবে জৈব এবং জৈব সারের ব্যবহারে উৎসাহিত করতে সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী- ধরিত্রী মাতার পুনরুজ্জীবন, সচেতনতা, পুষ্টি এবং উন্নতিসাধন’ (পিএম- পিআরএএনএএম) নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় জৈব ও প্রাকৃতিক চাষ এবং জৈব সারে ব্যবহারে উৎসাহিত করতে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে সারের দামে ৫০% ভর্তুকি দেওয়া হয়ে থাকে।
সরকার গাঁজানো জৈব সার, তরল গাঁজানো জৈব সার এবং জৈব সার ব্যবহারে মেট্রিকটন প্রতি দেড় হাজার টাকা করে বাজার উন্নয়ন সহায়তা ঘোষণা করেছে। সরকার ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ থেকে দেশে মাটির স্বাস্থ্য এবং জল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের জন্য পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনা এবং মিশন অর্গ্যানিক ভ্যালু চেন ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জৈব চাষের বিষয়ে প্রচার করেছে। এই উভয় প্রকল্পই জৈব চাষীদের বিশেষভাবে সাহায্য করেছে।
পরম্পরাগত কৃষি বিকাশ যোজনার আওতায় জৈব চাষে উৎসাহ যোগাতে তিন বছরের জন্য হেক্টর প্রতি ৩১,৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে । এর মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য মিশন অর্গ্যানিক ভ্যালু চেন ডেভেলপমেন্টের আওতায় তিন বছরের জন্য হেক্টর প্রতি ৪৬,৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে কৃষকদের গুণমান সম্পন্ন বীজ তৈরি, রোপণে সহায়তা এবং হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
জৈব এবং প্রাকৃতিক চাষের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক কেন্দ্রগুলি রয়েছে গাজিয়াবাদ, নাগপুর, ব্যাঙ্গালোর, ইম্ফল এবং ভুবনেশ্বরে। এই কেন্দ্রগুলি কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে। দ্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ও কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষকদের জৈব চাষ সম্পর্কে শিক্ষিত করে তুলতে প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী এবং সচেতনতামূলক কর্মসুচির আয়োজন করা হয়ে থাকে।
লোকসভায় এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে আজ এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শ্রী রামনাথ ঠাকুর।
PG/SS/NS
(Release ID: 2042748)
Visitor Counter : 52