পরিবেশওঅরণ্যমন্ত্রক
পলিথিন ব্যাগের ওপর বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা
Posted On:
25 JUL 2024 1:34PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৫ জুলাই, ২০২৪
পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক ২০২১-এর ১২ অগাস্ট একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধি জারি করে। তা কার্যকর হয় ২০২২-এর পয়লা জুলাই থেকে। এই ধরনের প্লাস্টিকের উপযোগিতা কম, অথচ দূষণের প্রশ্নে তা অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২০২২-এর ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১২০ মাইক্রনের কম ঘনত্বের প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগের উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যায়। ২০২১-এর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকেই ৬০ জিএসএম-এর কম ঘনত্বের এবং বুনে তৈরি করা নয়, এমন প্লাস্টিকের ব্যাগ নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। ২০১৬ সালের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধির সংশোধন হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
ওই বিধি আরও কার্যকর করে তুলতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- যাতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও কার্যকর হয়ে ওঠে :
i) ৩৬টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এক্ষেত্রে মুখ্যসচিব/প্রশাসকের নেতৃত্বে টাস্কফোর্স গড়েছে। জাতীয় স্তরেও টাস্কফোর্স গড়েছে পরিবেশ মন্ত্রক।
ii) পরিবেশ (সংরক্ষণ) আইন ১৯৮৬-এর ৫ নম্বর ধারার আওতায় একবার ব্যবহারযোগ্য এবং ১২০ মাইক্রন কম ঘনত্বের প্লাস্টিক পণ্যের উৎপাদন বন্ধ করার জন্য উৎপাদকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
iii) নিষেধাজ্ঞা কতটা কার্যকর সেদিকে নজরদারির জন্য তৈরি করা হয়েছে ক) জাতীয় স্তরে ড্যাশবোর্ড, খ) কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের মডিউল এবং গ) কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রন পর্ষদের অভিযোগ নিষ্পত্তি অ্যাপ।
iv) ২০২২-এর জুলাই থেকে কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক এবং স্থানীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিশেষ অভিযান শুরু করে। এখনও পর্যন্ত ৮৫৩৮৫২টি তল্লাশি হয়েছে এবং ৩৪৪৬৮৯টি ক্ষেত্রে অনিয়মের খোঁজ মিলেছে। নিয়মভঙ্গকারীদের থেকে সংগৃহীত জরিমানা বাবদ অর্থের পরিমান প্রায় ১৯,০৫,১৩,৪৭১ টাকা। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১৯,৪৯,৫৩৫ কেজি প্লাস্টিক।
v) নিষেধাজ্ঞা কার্যকরভাবে বলবৎ রাখতে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সব্জি বাজার, পাইকারি বাজার, ফুলের বাজার এবং প্লাস্টিক উৎপাদনকারী কেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত ভিত্তিতে নজরদারি অভিযান চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
vi) একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প খুঁজে পেতে গবেষণা প্রকল্পে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও জৈব প্রযুক্তি দপ্তর। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মন্ত্রক এমএসএমই সংস্থাগুলিকে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের বিকল্প ব্যবহারে সহায়তা করছে।
পশ্চিমবঙ্গে বাস্তুতন্ত্রের প্রশ্নে সংবেদনশীল এলাকা এবং পর্যটন কেন্দ্র ও ঐতিহাসিক স্থানগুলিতে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত। ত্রিপুরায় এই ধরনের প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। একই কথা প্রযোজ্য ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের ক্ষেত্রেও।
রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিমন্ত্রী শ্রী কীর্তিবর্ধন সিং।
PG/PM/NS
(Release ID: 2037237)
Visitor Counter : 128