জাহাজচলাচলমন্ত্রক

পূর্ব উপকূলের বন্দরগুলিতে জলপথ পরিবহণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে ভারত সফরে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশী প্রতিনিধিদল

Posted On: 11 JUL 2024 4:46PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১১ জুলাই ২০২৪

 

১৩ সদস্যের বাংলাদেশী প্রতিনিধিদল ৯-১২ জুলাই, ২০২৪-এ ছয় দিনের ভারত সফরে। পূর্ব উপকূলের ভারতীয় বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এই সফর। বাংলাদেশের জাহাজ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শ্রী এস এম মোস্তাফা কামালের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধিদলে আছেন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক ও বাংলাদেশ বন্দরের প্রতিনিধিরা। গত বছর ডিসেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ভারত-বাংলাদেশ জাহাজ মন্ত্রকের সচিব স্তরের বৈঠক অনুযায়ী, এই প্রতিনিধিদল চেন্নাই, কৃষ্ণপত্তনম, বিশাখাপত্তনম, কলকাতা এবং হলদিয়া সফর করছে।

গত বছরের ওই বৈঠকে ৬ নম্বর আলোচ্যসূচির প্রস্তাব রাখে ভারত, যাতে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে কোস্টাল শিপিং এগ্রিমেন্ট এবং প্রোটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্র্যানজিট অ্যান্ড ট্রেড ব্যবহার করে ভারতীয় বন্দরগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশে পণ্য চলাচল করা যায়।

বাংলাদেশী প্রতিনিধিদলের সফরের উদ্দেশ্য, কারিগরি দিক, বাণিজ্যিক সম্ভাবনা এবং ভারতীয় বন্দরের পরিকাঠামো সম্পর্কে জানা। প্রতিনিধিদলের সফরসঙ্গী হয়েছেন ভারতের তরফ থেকে ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া, বন্দর, জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রকের আধিকারিকরা, ডিরেক্টর জেনারেল অফ শিপিং এবং সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডায়রেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস-এর আধিকারিকরা। 

বিভিন্ন বন্দরের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। ঢাকা এবং বিশাখাপত্তনমের মধ্যে রিভার ক্রুজ শুরু করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আইডব্লিউএআই-এর ডিরেক্টর, ট্র্যাফিক শ্রী এ কে বনসল প্রতিনিধিদলকে জানিয়েছেন, আইবিপি রুটে ইতিমধ্যেই ক্রুজ পরিষেবা বর্তমান এবং তা বাংলাদেশ থেকে বিশাখাপত্তনম এবং অন্য পূর্ব উপকূলের রুটে চালু করা যেতে পারে। 

আইবিপি রুটে বাংলাদেশ থেকে হলদিয়া বা কলকাতায় পণ্য আনার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। 

বাংলাদেশী প্রতিনিধিদল ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানির কাজে কয়েকটি অসুবিধার কথাও উল্লেখ করেছে, যার জবাবে ভারতের পক্ষ থেকে সার্বিক তথ্য দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কলম্বো, সিঙ্গাপুর এবং পোর্ট ক্লাং-এর তুলনায় ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করলে বাংলাদেশী রপ্তানিকারকরা অতিরিক্ত কি সুবিধা পাবেন তাও জানানো হয়েছে।

প্রতিনিধিদলটির আশা এই সফরের ফল ইতিবাচক হবে। তাঁরা কলম্বো, সিঙ্গাপুর, পোর্ট ক্লাং, চট্টগ্রাম, মংলা এবং পায়রা বন্দরের তুলনায় ভারতীয় পূর্ব উপকূলের বন্দরগুলি থেকে আমদানি-রপ্তানির তুলনামূলক খরচ, সময় ও অন্য বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। ভারতও কি ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে এবং কোন বন্দরে তা আসবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে।

বাংলাদেশী প্রতিনিধিদলের প্রধান জানিয়েছেন, ঢাকায় সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে তথ্য, বিশ্লেষণগুলি এবং তুলনামূলক পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখা হবে। এরপর বাংলাদেশের জাহাজ মন্ত্রককে রিপোর্ট দেওয়া হবে এবং কূটনৈতিক স্তরে তা জানিয়ে দেওয়া হবে ভারতকে।

দু’পক্ষই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে জলপথে যোগাযোগের নতুন যুগে প্রবেশ করার বিষয়ে আশাবাদী।

 

PG/AP/DM..



(Release ID: 2032514) Visitor Counter : 17