জাহাজচলাচলমন্ত্রক
চিরাচরিত উৎসাহ ও উদ্দীপনায় ৬১তম জাতীয় সমুদ্র দিবস উদযাপিত
Posted On:
09 APR 2024 5:38PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৯ এপ্রিল, ২০২৪
বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ পরিবহণ মন্ত্রক জাতীয় সমুদ্র দিবস উপলক্ষে ক্রীড়ানুষ্ঠানের আয়োজন করে। নতুন দিল্লির কমনওয়েলথ স্পোর্টর্স স্টেডিয়ামে ৫ এপ্রিল এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সমুদ্রযাত্রার সঙ্গে যুক্ত পেশাদার ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। প্রতি বছর ৫ এপ্রিল দিনটি জাতীয় সমুদ্র দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়। ১৯১৯ সালের এই দিনে প্রথম ভারতীয় মালিকানাধীন জাহাজ ‘এস এস লয়্যালটি’ মুম্বাই থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে দিনটি পালন করা হয়।
মন্ত্রকের জাহাজ চলাচল বিভাগের মহানির্দেশক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সমুদ্রযাত্রা এবং সামুদ্রিক পথে ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সৌহার্দ্যপূর্ণ এক পরিবেশে তাঁদের ক্রীড়ামনস্ক মানসিকতার পরিচয় দেন। অনুষ্ঠানে ফুটবল, ভলিবল, ডিসকাস থ্রো, শট পাট, জ্যাভলিন থ্রো, হাই জাম্প, লং জাম্প সহ বিভিন্ন ধরনের দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা যোগ দেন। বন্দর, জাহাজ চলাচল ও জলপথ পরিবহণ মন্ত্রকের সচিব শ্রী টি কে রামচন্দ্রন এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, জাহাজ চলাচল ক্ষেত্রে উদ্ভাবন, স্থিতিশীল উন্নয়ন এবং সকলের মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে মন্ত্রক দায়বদ্ধ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যায়, গত ২৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর পোশাকে মার্চেন্ট নেভি ফ্ল্যাগ-এর প্রতীকটি বসিয়ে দেন সচিব। সমুদ্রযাত্রার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সাহস ও অধ্যবসায়কে স্বীকৃতি দিতে জাতীয় সমুদ্র দিবসে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরে নেতাজী সুভাষ ডক-এ থাকা বিভিন্ন জাহাজের ক্যাপ্টেনদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাঁদের সাহসিকতাকে এই অনুষ্ঠানে স্বীকৃতি জানানো হয়।
মন্ত্রকের অধীনস্ত বিভিন্ন বন্দর এবং জাহাজ চলাচল শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলি দিনটি যথাযথভাবে উদযাপন করে। এই উপলক্ষে জাহাজ চলাচল শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উল্লেখযোগ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিন ধরনের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
(১) শ্রী ধীরেন্দ্র কুমার সান্যাল ভারতীয় সমুদ্র শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায়, তাঁকে ‘সাগর সম্মান বরুণ পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।
(২) ক্যাপ্টেন কমলকান্ত চৌধুরিকে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ‘সাগর সম্মান উৎকর্ষ পুরস্কার’ দেওয়া হয়।
(৩) ক্যাপ্টেন সুবীর সাহা এবং ক্যাপ্টেন ও পি দত্তকে সাহসিকতার জন্য ‘সাগর সম্মান পুরস্কার’-এ ভূষিত করা হয়।
সমুদ্রযাত্রা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের সেরা পুরস্কার পেয়েছে অ্যাংলো ইস্টার্ন মেরিটাইম অ্যাকাডেমি। পুণের তালেগাঁও-এর তোলানি মেরিটাইম ইনস্টিটিউট দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে। বিদেশি জাহাজে কর্মরত নাবিকদেরকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে।
গত ৯ বছরে ভারতে নাবিকদের সংখ্যা ১৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২ লক্ষ ৮০ হাজার। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৭ হাজার। মেরিটাইম ইন্ডিয়া ভিশন, ২০৩০ অনুযায়ী, ভারতকে জাহাজ চলাচল শিল্প সংক্রান্ত শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের অন্যতম গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক হিসেব অনুযায়ী, ভারতীয় নাবিকদের সংখ্যা ১২ শতাংশ, ২০৩০ সালে যা ২০ শতাংশে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
PG/CB/DM
(Release ID: 2017616)
Visitor Counter : 99