নয়াদিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ 

উত্তর – পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রক কলকাতায় সফলভাবে উত্তর-পূর্ব বাণিজ্য ও বিনিয়োগ রোডশো আয়োজন করেছে। এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল বিপুল। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী বি এল ভার্মা এবং মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা এতে যোগ দেন।
সমাবেশে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী বি এল ভার্মা বিগত ৯ বছরে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে যে উন্নয়ন হয়েছে, সে সম্পর্কে আলোকপাত করেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে কতটা সুযোগ বেড়েছে, সেকথাও তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এই অঞ্চলের নাম দিয়েছেন ‘অষ্টলক্ষ্মী’। তিনি উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নে বিপুল গতি আশা করছেন। 
শ্রী ভার্মা বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে বর্তমানে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এই অঞ্চল সড়ক, রেল ও আকাশপথের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমেও সংযুক্ত। এখানে ১৭টি বিমানবন্দর ও ২০টি জলপথ ইতিমধ্যেই কার্যকর রয়েছে। বিদ্যুৎ, শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, বস্ত্র, ক্রীড়া ও পর্যটন ক্ষেত্রে এখানে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এই সুযোগ গ্রহণ করতে অবশ্যই এই অঞ্চল ঘুরে দেখতে পারেন। 
উত্তর-পূর্বের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে বর্তমানে প্রথম গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করে যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, সেকথাও উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিকাঠামো উন্নয়নে এবং পর্যটন ক্ষেত্রে উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রী ও পদস্থ আধিকারিকরা নিয়মিত বিভিন্ন গ্রাম সফর করছেন। এ বছরের ২৬ জানুয়ারি এই গ্রামগুলির গ্রাম পঞ্চায়েতের সরপঞ্চদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজী। 
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব শ্রী চঞ্চল কুমার সমাবেশে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তর-পূর্ব ভারতকে দেশের উন্নয়নের চালিকাশক্তি বলে অবিহিত করেছেন। এই অঞ্চলে যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হচ্ছে, সেকথাও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি, উত্তর-পূর্ব ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বিনিয়োগকারীদের এখানে লগ্নি করার আহ্বান জানান। 
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রকের যুগ্মসচিব শ্রীমতী অনুরাধা এস শক্তি এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্য ও পরিকাঠামোর কথা তুলে ধরেন। তিনি এখানকার সামাজিক ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে পিএমডিইভিআইএনই প্রকল্পে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, সেকথাও উল্লেখ করেন।
উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্য সরকারের আধিকারিক, এনইডিএফআই, ফিকি এবং ইনভেস্ট ইন্ডিয়া’র প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন এবং বিস্তৃত উপস্থাপনার মাধ্যমে এখানে বিনিয়োগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন।
স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রে উত্তর-পূর্ব ভারতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। আয়ুর্বেদ ও বিকল্প চিকিৎসা কেন্দ্রগুলি এখানে বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও, ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দক্ষ কর্মীরা কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করছেন। ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভূমিকা বিশেষ।
উত্তর-পূর্ব বিনিয়োগ শিখর সম্মেলনের অংশ হিসেবে আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয়, সিকিম ও নাগাল্যান্ডের মধ্যে গোলটেবিল বৈঠক হয়। উল্লেখ্য, এর আগে এই রোড%-শো আয়োজিত হয়েছিল মুম্বাই ও হায়দরাবাদে। কলকাতার এই রোড-শো’টিতে অনেকগুলি বি ২ জি বৈঠক হয়। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বিনিয়োগকারীরা লগ্নির জন্য উৎসাহ দেখিয়েছেন। 

PG/PM/SB…

(Release ID: 2007264)