সামাজিকন্যায়ওক্ষমতায়নমন্ত্রক
সুনির্দিষ্ট এলাকায় উচ্চ বিদ্যালয়ের তপশিলি ছাত্র ছাত্রীদের আবাসিক শিক্ষা প্রকল্প (শ্রেষ্ঠ)
Posted On:
28 DEC 2023 5:43PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
কেন্দ্রীয় প্রকল্প হিসেবে সুনির্দিষ্ট এলাকায় উচ্চ বিদ্যালয়ে তপশিলি ছাত্র ছাত্রীদের আবাসিক শিক্ষা প্রকল্প (শ্রেষ্ঠ) রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক। তপশিলি জাতি অধ্যুষিত এলাকায় শিক্ষা ক্ষেত্রে পরিষেবাগত অভাব দূর করতে সরকার শ্রেষ্ঠ প্রকল্পের সূচনা করেছে। সরকারি অনুদানে অ-সরকারি সংগঠনগুলি তপশিলি জাতিভুক্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উন্নতমানের শিক্ষা প্রদানে আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়গুলি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। এর উদ্দেশ্য হ’ল – তপশিলি জাতির আর্থ-সামাজিক বিকাশের স্বার্থে উন্নত পরিবেশ গড়ে তোলা। যাতে তপশিলি জাতিভুক্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা তাদের উন্নত শিক্ষা ও সার্বিক বিকাশের জন্য দেশের সবচেয়ে ভালো বিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পায় সে দিকে তাকিয়ে প্রকল্পটির আধুনিকীকরণ ঘটানো হয়েছে।
প্রকল্পটি দু’ভাবে রূপায়ণ করা হয়েছে। প্রথমত, সিবিএসি/রাজ্য পর্ষদ অনুমোদিত বেসরকারি আবাসিক সেরা বিদ্যালয়গুলিতে পড়ার সুযোগ। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর শ্রেষ্ঠ প্রকল্পের অধীন জাতীয় পর্যায়ে পরীক্ষা মারফৎ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক মেধাবী তপশিলি জাতিভুক্ত ছাত্রদের নির্বাচন করা হয়। পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে থাকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। এরপর, সেইসব ছাত্রছাত্রীরা সিবিএসি এবং রাজ্য পর্ষদ অনুমোদিত বিদ্যালয়গুলিতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়তে হলে নবম ও একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির সুযোগ পায়। দশম ও একাদশ শ্রেণীতে বিগত তিন বছরে ৭৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পাশের নিরিখে সেরা অবাসিক বিদ্যালয়গুলি নির্বাচন করা হয়। কমিটি ফর অ্যাডমিশন নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীদের এইসব বিদ্যালয়ে ভর্তির সুপারিশ করে। যেসব ছাত্রছাত্রীর বাড়ির বার্ষিক উপার্জন ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি মারফৎ জাতীয় স্তরে পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের প্রায় ৩ হাজার মেধাবী তপশিলি ছাত্রছাত্রী নির্বাচন করা হয়। নবম এবং একাদশ শ্রেণীতে ১ হাজার ৫০০ জন করে ছাত্রছাত্রী ভর্তির সুযোগ রয়েছে। পড়ুয়াদের মেধা-ভিত্তিতে বিদ্যালয় নির্বাচন করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের টিউশন ফি সহ স্কুল ফি, হস্টেল ফি সংশ্লিষ্ট দপ্তর বহন করে। এই প্রকল্পের অধীন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র প্রতি খরচ হয় যথাক্রমে – ১ লক্ষ, ১ লক্ষ ১০ হাজার, ১ লক্ষ ২৫ হাজার এবং ১ লক্ষ ৩৫ হাজার। ছাত্রছাত্রীদের প্রয়োজন-ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের সময়সীমার বাইরেও যাতে প্রয়োজনীয় শিক্ষাদান করা যায়, সেজন্য এই প্রকল্পে একটি সংক্ষিপ্ত কোর্সেরও ব্যবস্থা রয়েছে। এই কোর্সের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি, তারা বিদ্যালয়ের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই করে তোলা হয়। বার্ষিক খরচের ১০ শতাংশ এই কোর্সের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে দ্বিতীয় দিকটি হ’ল – যে সমস্ত অ-সরকারি সংস্থাগুলি দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সরকারি অনুদানে এই আবাসিক বিদ্যালয়গুলি চালাচ্ছে, তাদের সাফল্যের ভিত্তিতে অনুদান অব্যাহত রাখা হয়। এই অনুদানের একটি প্রাথমিক শর্ত হ’ল – এইসব নির্দিষ্ট তপশিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীরা ছাড়া অন্য ছাত্রছাত্রী এইসব বিদ্যালয়ে ভর্তি হলে, তাদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হবে। তপশিলি জাতিভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রাথমিক আবাসিক বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রী প্রতি অনুদান ৪৪ হাজার টাকা এবং যেসব বিদ্যালয়গুলি আবাসিক নয়, সেক্ষেত্রে ২৭ হাজার টাকা, প্রাইমারী হস্টেলের জন্য ছাত্রছাত্রী পিছু অনুদান ৩০ হাজার টাকা এবং সেকেন্ডারি বিদ্যালয়গুলির জন্য ৫৫ হাজার টাকা। সেকেন্ডারি অনাবাসিক বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রছাত্রী প্রতি খরচ ৩৫ হাজার টাকা এবং সেকেন্ডারি হস্টেলের জন্য ছাত্রছাত্রী প্রতি খরচ ৩০ হাজার টাকা।
ছাত্রছাত্রীদের যোগ্যতা এবং বিদ্যালয়গুলির সাফল্যের দিকগুলিতে তাদের ওয়েবসাইট মারফৎ এবং ই-অনুদান/অনলাইন পোর্টালে তুলে ধরতে হবে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি রাখতে হবে, যেখান থেকে সরাসরি গতিপ্রকৃতি জানতে পারা যায়। সময় ধরে ডেটা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) মারফৎ এই প্রকল্পের সাফল্যের দিকগুলি তুলে ধরা হবে। এজন্য গঠিত পরিদর্শক দল নিয়মমাফিক বিদ্যালয়গুলি পরিদর্শন করবেন।
২০২০-২১ এবং ২০২৩-২৪ এ এই শ্রেষ্ঠ প্রকল্পে খরচ হয়েছে যথাক্রমে ২০২০-২১ এ অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা। খরচ হয়েছে ৫৬ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ২৫০। ২০২১-২২ এ আর্থিক বরাদ্দ ছিল ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে ৩৮ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। সুবিধাভোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ৪৩৫। ২০২২-২৩ এ আর্থিক বরাদ্দ ৮৯ কোটি টাকা। খরচ হয়েছে ৫১ কোটি ১২ লক্ষ টাকা। সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৭৯। ২০২৩- ২৪ এ আর্থিক বরাদ্দ ১০৪ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। খরচ হয়েছে ৫১ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা। সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৫৪৩ (এই হিসেব ১০.১২.২০২৩ পর্যন্ত)।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সিবিএসি/রাজ্য পর্ষদ অনুমোদিত ১৪২টি বেসরকারি আবাসিক বিদ্যালয়ে এই প্রকল্পে ২ হাজার ৫৬৪ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। দপ্তর স্কুল-ফি বাবদ ৩০ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছে।
PG/AB/SB
(Release ID: 1991520)
Visitor Counter : 113