কৃষিমন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা বাধ্যতামূলক নয়

Posted On: 05 DEC 2023 5:59PM by PIB Kolkata

নতুন দিল্লি, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

 

প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা (পিএমএফবিওয়াই) রাজ্যের পাশাপাশি কৃষকদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি তাদের ঝুঁকি বুঝে এবং আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে স্বেচ্ছায় এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। এমনকি সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে কৃষকরা ঝুঁকি বিবেচনা করে স্বেচ্ছায় তাদের ফসলের বীমা করাতে পারেন। ২০১৬-১৭ সালে এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে ২৭টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এক বা একাধিক মরশুমে এই প্রকল্প লাগু করেছে। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশ, আসাম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, ছত্তিশগড়, গোয়া, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, ওড়িশা, পুদুচেরি, রাজস্থান, সিকিম, ত্রিপুরা, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে এই প্রকল্প চালু রয়েছে। 

সরকার সুবিধাভোগীদের মধ্যে এই প্রকল্পের বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনতা তৈরিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে তাঁরা স্বেচ্ছায় এই প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। এমনকি পিএমএফবিওয়াই-এর বিষয়ে সচেতনতার প্রসারে পর্যাপ্ত তহবিলের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর থেকে পিএমএফবিওয়াই-এর জন্য সংশোধিত নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সচেতনতামূলক কাজ পরিচালনায় সাহায্য করেছে। ২০২১ সালের খরিফ মরশুম থেকে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানের অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক ‘ফসল বীমা সপ্তাহ’ শুরু করেছে। এর মূল লক্ষ্যই হল এই প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, যাতে আরও বেশি সংখ্যক কৃষক এই প্রকল্পে ফসল বীমার সুবিধার জন্য নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। এর পাশাপাশি কৃষকদের এই প্রকল্পের বিষয়ে অবহিত করতে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ‘ফসল বীমা পাঠশালা’-র আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমসারির জাতীয় এবং স্থানীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই প্রকল্পের সুবিধা এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে প্রচারও করা হয়েছে। সরকার কৃষকদের শস্য বীমার নথি দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দেশব্যাপী ‘মেরি পলিসি মেরে হাত’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের আয়োজন করেছে। 

এই প্রচারাভিযানের ফলস্বরূপ ২০২২-এর খরিফ মরশুমের তুলনায় ২০২৩-এর নভেম্বর পর্যন্ত খরিফ মরশুমে এই প্রকল্পে কৃষকদের আবেদনের সংখ্যা ২৮.৯ শতাংশ এবং বীমার আওতাভুক্ত এলাকা ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। 

লোকসভায় আজ লিখিত উত্তরে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।

PG/SS/SKD


(Release ID: 1983132) Visitor Counter : 137
Read this release in: English , Urdu , Telugu