প্রতিরক্ষামন্ত্রক
প্রচ্ছন্ন অবস্থায় থেকে সুনিয়ন্ত্রিত পন্থায় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম রণতরী নির্মাণ প্রকল্প ১৫ বি-র আওতায় তৈরি ইয়ার্ড ১২৭০৬(ইম্ফল)-এর শিখরচিহ্ন প্রকাশ করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং
Posted On:
28 NOV 2023 2:06PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ২৮ নভেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছন্ন অবস্থায় থেকে সুনিয়ন্ত্রিত পন্থায় ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম রণতরী নির্মাণ প্রকল্প ১৫ বি-র আওতায় তৈরি চতুর্থ সমরতরণী ইয়ার্ড ১২৭০৬(ইম্ফল)-এর শিখরচিহ্ন প্রকাশ করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২৮ শে নভেম্বর ২০২৩ নতুন দিল্লিতে এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। ইম্ফলের শিখরচিহ্নে রয়েছে কাংলা প্রাসাদ এবং ‘কাংলা-সা’-র প্রতিচ্ছবি- যা ভারতের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় মণিপুরের মানুষের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ।
শিখরচিহ্নের বাঁদিকে রয়েছে কাংলা প্রাসাদ এবং ডানদিকে ‘কাংলা-সা’। কাংলা প্রাসাদ মণিপুরের এক অনন্য ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনস্থল। এই প্রাসাদ অতীত দিনের রাজাদের রাজধানী। ‘কাংলা-সা’ হল মণিপুরের অতীত দিনের বিভিন্ন গাথায় বর্ণিত একটি কল্পিত প্রাণী- যার মাথা ড্রাগনের, শরীরের বাকি অংশ সিংহের মত। ওই অঞ্চলে প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী এই কল্পিত সত্ত্বা মানুষের অভিভাবক ও রক্ষক।
ভারতীয় নৌবাহিনীর ওয়ারশিপ ডিজাইন ব্যুরো-র নকশায় এই জাহাজটি তৈরি হয়েছে, মুম্বইয়ের মাজাগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে। দেশীয় পদ্ধতিতে নির্মিত এই যুদ্ধজাহাজব বিশ্বের সর্বাধুনিক রণতরীগুলির সঙ্গে তুলনীয়। ২০২৩ এর ২০ শে অক্টোবর মাজাগাঁও ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড জাহাজটি তুলে দেয় ভারতীয় নৌসেনার হাতে।
৭,৪০০ টন ওজনের ইম্ফল ১৬৪ মিটার দীর্ঘ। জাহাজটিতে রয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রাদি এবং সংবেদী যন্ত্র ; ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ যোগ্য ক্ষেপণাস্ত, জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, টরপেডো ইত্যাদি। গ্যাস চালিত এই জাহাজের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫৬ কিলোমিটার।
জাহাজের খোল তৈরি হয় ২০১৭-র ১৯ শে মে। ২০১৯-এর ২০ শে এপ্রিল তাকে জলে ভাসানো হয়। পরীক্ষমূলক ভিত্তিতে তার প্রথম সমুদ্র যাত্রা ২০২৩-এর ২৮ শে এপ্রিল। এর ৬ মাসের মধ্যে তাকে তুলে দেওয়া হয় নৌবাহিনীর হাতে। ‘আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচি’র ক্ষেত্রে এ এক বড় মাইল ফলক। সামুদ্র রীতি অনুযায়ী ভারতের বহু রণতরী নানান শহর, পর্বতমালা, নদী ও দ্বীপের নামাঙ্কিত। তবে, ইম্ফল-ই হল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কোনো শহরের নামাঙ্কিত বড় কোনো যুদ্ধ জাহাজ। ২০১৯-এর ১৬ ই এপ্রিল এবিষয়ে অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি।
নতুন দিল্লির আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর সম্মিলিত প্রধান জেনারেল অনিল চৌহান, নৌ-সেনাধ্যক্ষ এডমিরাল আর হরিকুমার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রক ও মণিপুর সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা।
PG/AC /SG
(Release ID: 1980432)
Visitor Counter : 132