শিল্পওবাণিজ্যমন্ত্রক
‘ভারত মণ্ডপম’ এবং ‘যশোভূমি’র নির্মাণ প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর ধারণা ও দৃষ্টিভঙ্গী আজ বাস্তবায়িত হয়েছে
ভারতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রদর্শনী কেন্দ্র ‘যশোভূমি’র প্রথম পর্যায় প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশে উৎসর্গকালে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল
Posted On:
17 SEP 2023 3:51PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
‘বিকশিত ভারত’ দেশের কর্মপ্রচেষ্টার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের এক নতুন পরিচিতি এনে দিয়েছে।
আজ রাজধানীতে ভারতের আন্তর্জাতিক সম্মেলন তথা প্রদর্শনী কেন্দ্র ‘যশোভূমি’র প্রথম পর্যায়টি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গকালে এই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, ‘ভারত মণ্ডপম’-এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে আমাদের এই অভিনব নির্মাণ প্রচেষ্টার সাফল্য বিশ্ববাসীর একটি আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘যশোভূমি’র ধারণা ও বাস্তবায়ন ভারতীয় ঐতিহ্যের বহমান ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এখানে যে ধরনের অনুষ্ঠানই আয়োজিত হোক না কেন, তা খ্যাতি ও সাফল্যকে নিশ্চিতভাবেই তুলে ধরবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষমতা তথা বাণিজ্যিক প্রচেষ্টাকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবে ভারতের ‘যশোভূমি’ ও ‘ভারত মণ্ডপম’ – এই দুটি অনুপম স্থাপত্যশিল্প। অন্যদিকে, ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি কর্মসূচি’র আওতায় ভারতের সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যেভাবে সম্প্রসারিত হয়েছে তার কথাও উল্লেখ করেন শ্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ তিনি দ্বারকা-২১ থেকে দ্বারকা-২৫ সেক্টর পর্যন্ত সম্প্রসারিত মেট্রো কর্মসূচির টার্মিনাল ভবনটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনও করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে কনফারেন্স ট্যুরিজম-এর ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে বলেন যে ‘ভারত মণ্ডপম’ এবং ‘যশোভূমি’ কেন্দ্র দুটি ভারতে কনফারেন্স ট্যুরিজম-এর দুটি বৃহত্তম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। আমাদের এই কর্মপ্রচেষ্টার সুবাদে কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটতে চলেছে লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীর।
‘যশোভূমি’তে উপস্থিত থেকে উৎসব, সম্মেলন ও প্রদর্শনীর উদ্যোগ-আয়োজন করার জন্য দেশের প্রতিটি প্রান্তের বড় বড় সংস্থাগুলিকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি আমন্ত্রণ জানান দেশের সংশ্লিষ্ট শিল্প সংস্থাগুলিকেও। শ্রী মোদী বলেন যে চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠানের মতো বড় ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে ‘যশোভূমি’তে। এর আগে অনুষ্ঠানে প্রদত্ত স্বাগত ভাষণে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল বলেন যে প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্বের এক কঠিন সময়কালে সাফল্যের সঙ্গেই আয়োজিত হয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি যেভাবে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে আয়োজন করা হয়েছিল তাতে ভারতের জি-২০ সভাপতিত্বকাল প্রকৃত অর্থেই ‘ভারতবাসীর জি-২০’তে রূপান্তরিত হয়েছে। সম্মেলনে গৃহীত বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ঘোষণাপত্রটি উন্নয়ন ও গতিশীলতার এক নতুন দিশা নির্দেশ করবে বলে মন্তব্য করেন শ্রী গোয়েল।
‘যশোভূমি’কে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা, গতি ও মাত্রা তথা আয়তন সম্পর্কে বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গীর পরিচায়ক বলে বর্ণনা করেন শ্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন যে এর নির্মাণ কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বকে অনুসরণ করে। এর দ্বিতীয় পর্যায়টি আকারে আয়তনে আরও বৃহদায়তনের হতে চলেছে বলে জানান তিনি।
শ্রী গোয়েল বলেন, এই সম্মেলন কেন্দ্রটি ‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি কর্মসূচি’র একটি বিশেষ দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে কারণ, এখান থেকে দিল্লির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক্সপ্রেসওয়ে ধরে পৌঁছতে সময় লাগবে পাঁচ মিনিট মাত্র। এছাড়াও, এই কেন্দ্রটি মেট্রো প্রকল্পের সম্প্রসারিত কর্মসূচির মাধ্যমেও রাজধানীর কনট প্লেসের সঙ্গে ২০ মিনিটের যাত্রাপথে যুক্ত হবে।
আজ বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত শিল্পী ও কারিগরদের সম্মানিত করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮ জন শিল্পীর হাতে তিনি শংসাপত্রও তুলে দেন। দেশের ঐতিহ্য ও আদর্শকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে ভারতের শিল্পী ও কারিগরদের অবদানকে সরকার নানাভাবে স্বীকৃতি দিতে চলেছে বলে আজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
AC/SKD/DM/
(Release ID: 1958358)