সারওরসায়নমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির কৃষকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ঘোষণা

Posted On: 28 JUN 2023 3:51PM by PIB Kolkata

 নয়াদিল্লি, ২৮ জুন, ২০২৩


 
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি আজ কৃষকদের জন্য কয়েকটি বিশেষ উদ্ভাবনী প্রকল্প চালুর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এর জন্য ব্যয় হবে ৩,৭০,১২৮ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। এই প্রকল্পগুলির মূল উদ্দেশ্য সুস্থায়ী কৃষিকাজে উৎসাহদান যার ফলে কৃষকদের আর্থিক লাভ বৃদ্ধি পাবে এবং একইসঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। 

কমিটি ইউরিয়া সারের ভর্তুকি প্রকল্প চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে ৪৫ কেজি ইউরিয়ার সর্বোচ্চ খুচরো মূল্য ২৪২ টাকা। নিমের আস্তরণের জন্য আলাদা অর্থ দিতে হয়। বিশ্বের বাজারে ইউরিয়ার মূল্য বৃদ্ধির ফলে ৪৫ কেজি ইউরিয়ার দাম ২,২০০ টাকা। তবে, সরকার ভর্তুকি দেওয়ায় কৃষকরা ২৪২ টাকায় এই সার পেয়ে থাকেন। এর জন্য ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত সময়কালে সরকার ৩,৬৮,৬৭৬ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ভর্তুকি বাবদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন এবং কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য সরকার সারের ওপর ভর্তুকি ক্রমশ বৃদ্ধি করছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে সারের জন্য ৭৩,০৬৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে যা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২,৫৪,৭৯৯ কোটি টাকা। 

ন্যানো ইউরিয়া

২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে দেশে আটটি ন্যানো ইউরিয়া কারখানা থেকে ৪৪ কোটি বোতল ইউরিয়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে যার মোট পরিমাণ ১৯৫ লক্ষ মেট্রিক টন। ন্যানো ইউরিয়ার পুষ্টিগুণ যথেষ্ট বেশি। কৃষকদের এই সার ব্যবহারের জন্য কম অর্থ ব্যয় করতে হয়। অন্যদিকে এই সার প্রয়োগে ফসলের উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়।

২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে ইউরিয়ায় আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার প্রয়াস

দেশজুড়ে ছ’টি ইউরিয়া উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজস্থানের কোটায় চম্বল ফার্টি লিমিটেড এবং পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়ের ম্যাটিক্স লিমিটেডকে পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে। তেলেঙ্গানার রামাগুন্ডাম, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর, ঝাড়খণ্ডের সিন্ধ্রি এবং বিহারের বারাউনিতেও সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবর্ষে ২২৫ লক্ষ মেট্রিক টন সার উৎপাদন হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৫০ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৪ লক্ষ মেট্রিক টন। এছাড়াও, ন্যানো ইউরিয়া প্ল্যান্টে উৎপাদন শুরু হলে ইউরিয়ার আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমবে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ইউরিয়ায় দেশ আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়।

পিএম প্রণাম-এর মাধ্যমে বসুন্ধরা মাতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ

আমাদের বসুন্ধরা মাতা মানবজাতিকে বিভিন্ন সময়ে প্রচুর সম্পদ দিয়েছে। এখন সময় এসেছে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের মধ্য দিয়ে মাটির স্বাস্থ্যরক্ষা করা। এর জন্য রাসায়নিক সারের যথাযথ ব্যবহার, জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ বৃদ্ধি, ন্যানো ফার্টিলাইজারের মতো নতুন নতুন উদ্ভাবন এবং জৈব সারের ব্যবহার করা হবে। পিএম প্রোগ্রাম ফর রেস্টোরেশন, অ্যাওয়্যারনেস জেনারেশন নারিশমেন্ট অ্যান্ড অ্যামেলিওরেশন অফ মাদার আর্থ বা প্রণাম প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে বিকল্প সারের ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হবে। এর ফলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমবে।

আজ যেসব প্যাকেজগুলি অনুমোদন করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে গোবর্ধন প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি এর জন্য ১,৪৫১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে। বিভিন্ন ধরনের জৈব সার উৎপাদনের পর সেগুলি বাজারজাত করার জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জৈব গ্যাসের প্ল্যান্ট এবং কম্প্রেসড বায়ো-গ্যাস প্ল্যান্ট থেকে যে সার পাওয়া যায় সেগুলিকে গোবর্ধন প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের জন্য মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের ৪২৫টি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ৬ লক্ষ ৮০ হাজার কৃষককে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে ৬,৭৭৭টি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। 

মাটিতে সালফারের ঘাটতি মেটাতে সালফার আস্তরণযুক্ত ইউরিয়া খুব শীঘ্রই বাজারে আসতে চাইছে। ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ১ লক্ষ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। কৃষকদের এখান থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়।

CG/CB/DM/



(Release ID: 1936019) Visitor Counter : 117