প্রধানমন্ত্রীরঅর্থনৈতিকবিষয়সম্পর্কিতউপদেষ্টাপরিষদ
azadi ka amrit mahotsav

ইন্ডিয়া ডায়ালগ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদে আইএফসি দ্বারা পেশ হওয়া মৌলিক সাক্ষরতা এবং সংখ্যা পরিচিতি রিপোর্ট প্রকাশ করেন ডঃ বিবেক দেবরয়

Posted On: 24 FEB 2023 8:48AM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩


প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ডঃ বিবেক দেবরয় মৌলিক সাক্ষরতা এবং সংখ্যা পরিচিতি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইউএস-ইন্ডিয়া টেকনলজি ম্যানেজমেন্ট সেন্টার আয়োজিত দ্য ইন্ডিয়া ডায়ালগ-এ ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি রিপোর্টটি প্রকাশ করা হবে। মৌলিক সাক্ষরতা এবং সংখ্যা পরিচিতি রিপোর্টের দ্বিতীয় সংস্করণে আলোকপাত করা হয়েছে যে প্রাথমিক সাক্ষরতা অর্জনের ক্ষেত্রে ভাষা হল একটি মূল প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা ও গুরুত্বের দিক। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে শিশু-শিক্ষার সুযোগ এবং তার ফলাফল নিয়ে জাতীয় সাফল্য সমীক্ষা (এনএএস) এবং ভিত্তিগত শিক্ষণ সমীক্ষা (এফএলএস), ২০২২ নিয়ে একটি বিশেষ অধ্যায় এই রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। রাজ্য পরিচিতি এবং সীমান্ত থেকে তাদের দূরত্বের নিরিখে যোগ্যতা নির্ণয় ও মৌলিক শিক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির অগ্রগতির নিরিখ এতে জায়গা পেয়েছে।


মৌলিক সাক্ষরতা এবং সংখ্যা পরিচিতি রিপোর্টের দ্বিতীয় সংস্করণে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। যথাযথ মূল্যায়ন এবং নির্দেশনামার মাধ্যমে শিক্ষার অগ্রগতি ও তার সাফল্যের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। শিশুদের দক্ষ পাঠক হয়ে উঠতে মৌলিক ধারণার দিকগুলি এতে প্রস্ফুটিত হয়েছে এবং বহু ভাষার পরিবেশের মধ্যে যে দূরবর্তী চ্যালেঞ্জের তারা সম্মুখীন হয়, তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। মূলগতভাবে দেখানো হয়েছে যে শিশুদের পরিচিত ভাষায় শিক্ষাদান অনেক কার্যকরী এবং সফল উপায় হয়ে উঠতে পারে। সংখ্যাগত পরিচিতির ক্ষেত্রেও এনআইপিইউএন-এর উল্লেখিত পথে মৌলিক শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে রাজ্যস্তরে এবং জাতীয় স্তরে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রয়াস রূপায়ণের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলপ্রসূ দিক এই রিপোর্টের একটি পরিচ্ছদে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।


২০২৬-২৭-এর মধ্যে সার্বিক মৌলিক শিক্ষা অর্জনের সাফল্যের ক্ষেত্রে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির কাছে এই রিপোর্ট একটি মাপকাঠি হতে পারে। পুষ্টির ভূমিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ এবং ভাষা-কেন্দ্রিক শিক্ষাদান পদ্ধতির বিভিন্ন দিক এই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।


এই রিপোর্টটি তৈরি করেছেন ইনস্টিটিউট অফ কম্পিটিটিভনেস-এর কর্ণধার ডঃ অমিত কাপুর, গবেষক শ্রীমতী নাতালিয়া চাকমা এবং ঐ প্রতিষ্ঠানের রিসার্চ ম্যানেজার শিন যুৎসি।


রুম টু রিড-এর সিইও শ্রীমতী গীতা মুরলী তাঁর মূল ভাষণে বলেন, মৌলিক সাক্ষরতা এবং সংখ্যা পরিচিতি দেশের স্বাস্থ্য ও আর্থিক সমৃদ্ধির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।


ইউএসএআইডি-র ডেপুটি ইন্ডিয়া মিশন অধিকর্তা শ্রী কারেন কিমোস্কি বলেন যে এই কর্মসূচিকে অর্থপূর্ণ করে তোলার ক্ষেত্রে সমাজে দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে তা কতখানি সুস্থায়ী প্রভাব বিস্তার করছে তার ওপর আলোকপাত করা দরকার।


স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার, ইনস্টিটিউট অফ কম্পিটিটিভনেস-এর চেয়ারম্যান ডঃ অমিত কাপুর বলেন, প্রত্যেক শিশুর ক্ষেত্রে সাক্ষরতা এবং সংখ্যা পরিচিতি প্রাথমিক শিক্ষার মূল ভিত্তি। তার কারণ, এগুলিই তাকে ভবিষ্যতের নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।


প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ডঃ বিবেক দেবরয় সমাপ্তি ভাষণে বলেন যে শিক্ষার চক্রবৎ ক্ষেত্রে মৌলিক শিক্ষা একটি অঙ্গস্বরূপ। এই সমীক্ষার জন্য তিনি ইনস্টিটিউট অফ কম্পিটিটিভনেসকে সাধুবাদ জানান।


প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের যুগ্ম সচিব পবন সাঁই, মেন্টর টুগেদার-এর সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা অরুন্ধুতি গুপ্তা এবং মোতওয়ানি জাদেজা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আশা জাদেজা অন্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

PG/AB/DM


(Release ID: 1902011) Visitor Counter : 158