কৃষিমন্ত্রক

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থার সুবিধা দরিদ্র মানুষদের কাছে পৌঁছাচ্ছে

Posted On: 22 DEC 2022 6:14PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ২২ ডিসেম্বর, ২০২২

কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন, এক দেশ এক রেশন কার্ড ব্যবস্থা দরিদ্র মানুষদের জীবনে স্বস্তি নিয়ে এসেছে। ২০১৯-এর আগস্ট মাসে চারটি রাজ্যে এই ব্যবস্থা চালু হয়, যার মূল উদ্দেশ্য জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় থাকা নাগরিকরা দেশের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চল থেকেই যাতে তাঁরা প্রাপ্য রেশন পান। ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ২৯ কোটি লেনদেন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে হয়েছে।

এ পর্যন্ত ৯৯.৫ শতাংশ রেশন কার্ডের আধার সংযুক্তিকরণ হয়েছে। ৯৯.৮ শতাংশ রেশন দোকানে বৈদ্যুতিন পয়েন্ট অফ সেল মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরফলে ওই সব রেশন দোকানে স্বচ্ছতার সঙ্গে সঠিক মাত্রায় খাদ্য সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে।

শ্রী তোমর জানান, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে দেশে দরিদ্র মানুষদের কাছে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা। কোভিড-১৯ মহামারীর ফলে উদ্ভুত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব যাতে দরিদ্র মানুষদের ওপর না পরে তা নিশ্চিত করতে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচির সূচনা করেন। এর আওতায় অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা এবং অগ্রাধিকারের তালিকায় বিবেচিত পরিবারগুলির সদস্যদের প্রতি মাসে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়। এ পর্যন্ত এই প্রকল্পে ১১১৮ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে। এরফলে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৩ লক্ষ ৯০ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার সপ্তম পর্ব চলছে।

৭৫-তম স্বাধীনতা দিবসে দিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিশেষ খাদ্যগুণে সমৃদ্ধ চাল, গম গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে আইসিডিএস এবং পিএম-পোষণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা এর সুফল পেতে শুরু করেছেন।

শ্রী তোমর আরও জানান, খরিফ মরশুমে ৩৩৯ লক্ষ ৮৮ হাজার মেট্রিক টন ধান ও গম সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে চালের পরিমাণ ২২৭ লক্ষ ৯২ হাজার কোটি টাকা, বাকিটা গম। তিনি বলেন, এ বছর শস্য সংগ্রহ করার জন্য এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা যার সুফল পেয়েছেন ৩০ লক্ষ কৃষক। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে খরিফ মরশুমে ধান ও গম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৪৭৫ লক্ষ মেট্রিক টন। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই পরিমাণ ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৫৯ লক্ষ মেট্রিক টন।

মন্ত্রী বলেন, কৃষি ভিত্তিক শিল্পের ক্ষেত্রে ভারতীয় চিনি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ৫ কোটি আখ চাষি এর সঙ্গে যুক্ত আছেন। ২০২০-২১ চিনি মরশুমে ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি রপ্তানী হয়েছিল যা পরবর্তী চিনি মরশুমে বৃদ্ধি পেয়ে ১১০ লক্ষ মেট্রিক টনে পৌঁছায়। ফলস্বরূপ ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদকারী রাষ্ট্র এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রপ্তানীকারক রাষ্ট্রের মর্যাদা পেয়েছে। আজ ভারতে ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকার চিনি শিল্পে নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। পেট্রলের সঙ্গে ১০ শতাংশ ইথানল মিশিয়ে তা জ্বালানী হিসেবে কাজ করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার সুফল আগামীদিনে চিনি শিল্পে পাওয়া যাবে। এই শিল্পে উৎপাদিত ইথানলের পরিমাণ ৯২৫ কোটি লিটারে পৌঁছেছে। শ্রী তোমর আরও জানান, বিশ্বব্যাঙ্কে সহজে ব্যবসা করার তালিকায় ভারত ৭১ ধাপ উঠে এসে ৬৩-তম স্থানে পৌঁছেছে। ২০১৩ সালে ওই তালিকায় ভারত ছিল ১৩৪-তম স্থানে।

PG/CB/NS



(Release ID: 1886099) Visitor Counter : 132