স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে প্রতিটি ভৌগোলিক অবস্থান থেকেই, এমনকি প্রতিটি ভার্চ্যুয়াল ক্ষেত্রেই


‘সন্ত্রাসকে কোনভাবেই আর্থিক মদত নয়’ শীর্ষক তৃতীয় সম্মেলনের সমাপ্তি পর্বের ভাষণে বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী

সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা তথা কার্যকলাপে যে কোনো ধরনের আর্থিক মদতদানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্বের প্রতিটি দেশকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানালেন শ্রী অমিত শাহ

Posted On: 19 NOV 2022 5:16PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১৯ নভেম্বর, ২০২২

 

“গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু হল সন্ত্রাসবাদ। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং বিশ্ব শান্তির পক্ষেও তা ভীষণভাবে বিপজ্জনক। কোনো দেশ বা সংস্থার একার পক্ষে সাফল্যের সঙ্গে সন্ত্রাসের মোকাবিলা করা কখনই সম্ভব নয়। তাই, ক্রমশ জটিল হয়ে ওঠা সীমাহীন সন্ত্রাসের হুমকির মোকাবিলায় জোটবদ্ধ হতে হবে বিশ্বের সবক’টি দেশকেই।”

আজ নয়াদিল্লিতে ‘সন্ত্রাসকে কোনভাবেই আর্থিক মদত নয়’ বিষয়টির ওপর আয়োজিত তৃতীয় সম্মেলনের সমাপ্তি পর্বে তাঁর বক্তব্য উত্থাপনকালে এই মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, সন্ত্রাস আজ এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে তার কুফল আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রেই লক্ষ্য করতে পারছি। গত কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদ সহ অন্যান্য বহু চ্যালেঞ্জেরই সফল মোকাবিলা করেছে ভারত। সন্ত্রাসকে কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না – এ সম্পর্কিত ভারতের নীতি, সন্ত্রাস বিরোধী এক আইনি কাঠামো এবং সন্ত্রাস মোকাবিলার কাজে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থার ক্ষমতায়নের মধ্য দিয়ে ভারত দেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে অনেকটাই রাশ টানতে পেরেছে। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রেও ভারত পিছিয়ে নেই। দেশের অনুসন্ধান ও তদন্ত ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ করে তুলতে ফরেন্সিক বিজ্ঞানেরও যথেষ্ট উন্নতি ঘটানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর চিন্তাভাবনাকে অনুসরণ করে ভারতের প্রথম জাতীয় ফরেন্সিক বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সন্ত্রাস, মাদক পাচার এবং অর্থনৈতিক অপরাধের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার একটি জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক ডেটাবেস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাইবার অপরাধের মোকাবিলায় স্থাপিত হয়েছে ভারতীয় সাইবার ক্রাইম কো-অর্ডিনেশন সেন্টার। এইভাবে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্কল্পকে অনুসরণ করে সন্ত্রাস মোকাবিলা এবং সন্ত্রাসকে আর্থিক মদতদানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য ভারত এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।

শ্রী অমিত শাহ বলেন, সন্ত্রাসের যে কোনরকম বহিঃপ্রকাশের বিরুদ্ধে যদি আমরা ঠিকমতো লড়াই চালিয়ে যেতে না পারি তাহলে কোনদিনই ভয়মুক্ত এক সমাজ ও বিশ্ব আমরা গড়ে তুলতে পারব না। বিশ্বের সবক’টি দেশের নাগরিকরা তাঁদের সুরক্ষার দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বের হাতে। তাই আমাদের উচিৎ সেই দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করা। গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ সন্ত্রাসের মোকাবিলায় এক বিশেষ কাঠামো গড়ে তুলেছে। এই কাঠামোর আওতায় সন্ত্রাসকে সাফল্যের সঙ্গেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোধ করা সম্ভব হয়েছে। কয়েকটি দেশ যে সন্ত্রাসের আঁতুরঘর হয়ে উঠেছে, একথার উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন যে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাঠামো অনুসরণ করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।

শ্রী শাহ বলেন, আমাদের সঙ্কল্প হওয়া উচিৎ স্বচ্ছতার সঙ্গে সহযোগিতার প্রসার ঘটানো। সন্ত্রাস মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত দেশগুলির পরস্পরের মধ্যে গোপন বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে যাতে পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় থাকে, সে সম্পর্কেও সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। বিশ্বের প্রতিটি ভৌগোলিক অবস্থানে, এমনকি ভার্চ্যুয়াল ক্ষেত্রগুলিতেও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তথা সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আমাদের এই লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। এমন বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে যেখানে অন্য কোনো উদ্দেশ্যের অন্তরালে কয়েকটি সংগঠন সন্ত্রাস ও উগ্রপন্থাকে জাতীয় তথা আন্তর্জাতিক স্তরে মদত দিয়ে চলেছে। এই সংগঠনগুলিকে অনেক ক্ষেত্রেই সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপে আর্থিক মদতদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ধরনেরই একটি সংগঠনকে ভারত সরকার সাম্প্রতিককালে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করেছে। কারণ, ঐ সংগঠনটি দেশের যুবশক্তিকে সন্ত্রাসের পথে ঠেলে দিতে উদ্যত হয়েছিল। তাই, প্রতিটি দেশেরই উচিৎ এই ধরনের সংগঠনগুলিকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, কয়েকটি দেশ ও তাদের সরকার এবং তাদের কিছু কিছু সংস্থা সন্ত্রাসবাদকে একটি রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে মদত দিয়ে যাচ্ছে। তাই, ঐ দেশগুলি হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গরাজ্য। এই ধরনের দেশ ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে সর্বতোভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। ভৌগোলিক তথা রাজনৈতিক স্বার্থের ঊর্ধ্বে গিয়েই এই কাজে তাদের সামিল হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী।

শ্রী শাহ বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসবাদীদের বারংবার সাহায্য ও সমর্থন করে চলেছে। সন্ত্রাসবাদের আন্তর্জাতিক সীমানা বলে কিছু নেই। তাই, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সন্ত্রাস মোকাবিলায় পরস্পরের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ মৈত্রীভাবাপন্ন দেশগুলির। একইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসকে আর্থিক মদতদান – দুটিরই একটি সাধারণ সংজ্ঞা নির্ধারিত হওয়া উচিৎ কারণ, দেশের সাধারণ নাগরিকদের সুরক্ষার প্রশ্নটি এর সঙ্গে জড়িত। নাগরিকদের মানবাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই আমাদের এই কাজে সামিল হতে হবে এবং কোনো পরিস্থিতিতেই তা যেন একটি রাজনৈতিক বিষয় না হয়ে ওঠে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার স্পেস সম্পর্কে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। শুধু তাই নয়, সাধারণ মানুষের সংবেদনশীলতার বিষয়টিও তারা খুব ভালোভাবেই বোঝে এবং সেই কারণেই সাধারণ নিরীহ নাগরিকদের শোষণ করতে তারা সদা উদ্যত। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাইবার স্পেস যে একটি বড় ধরনের যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে, একথাও তাঁর বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন শ্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, অস্ত্র প্রযুক্তিতে নানা পরিবর্তন ঘটেছে। একুশ শতকের ড্রোন প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এখন সন্ত্রাসবাদীদের করায়ত্ত। মাদক সহ বিভিন্ন নেশাদ্রব্যের গোপন কারবার, ক্রিপ্টো কারেন্সির রমরমা, হাওয়ালার দৌরাত্ম্য – এই সমস্ত কিছুই সন্ত্রাসকে আর্থিক মদতদানের এক একটি ক্ষেত্র করে তুলেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাসকে কোনভাবেই আর্থিক মদত নয়’ শীর্ষক এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হল সন্ত্রাসকে আর্থিক মদতদানের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করা। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের এক সমীক্ষায় প্রকাশ যে বিশ্বের অপরাধমূলক কাজকর্মে ২-৪ ট্রিলিয়ন ডলার প্রতি বছর ব্যয় করা হয়। এই আর্থিক সহায়তার একটি বিশাল অংশ ব্যয় করা হয় সন্ত্রাসকে মদত দেওয়ার জন্য। তাই, সন্ত্রাস বিরোধী কর্মতৎপরতাকে দীর্ঘমেয়াদি একটি কৌশলের মধ্য দিয়ে পরিচালিত করতে হবে।

সন্ত্রাসবাদ তথা সন্ত্রাসকে মদতদানের বিরুদ্ধে ভারতের অঙ্গীকারবদ্ধতার কথা দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগ্য নেতৃত্বে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসকে যে কোনভাবে মদতদানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বিশ্বের সবক’টি দেশের সঙ্গে কাজ করে যেতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শ্রী অমিত শাহ বলেন, দু’দিনের এই সম্মেলনে সন্ত্রাসের কদর্য রূপের বিভিন্ন দিকগুলি সম্পর্কে যেমন আলোচনা করা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনই সন্ত্রাসকে আর্থিক মদতদানের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক প্রবণতাগুলি সম্পর্কে প্রতিনিধিরা তাঁদের বক্তব্য নিজের নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরেছেন। এই সমস্ত আলাপ-আলোচনাকে আগামী দিনগুলিতে এক কৌশলগত চিন্তাভাবনার রূপ দেওয়া প্রয়োজন।

সন্ত্রাস মোকাবিলা এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদতদানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয়কে চিহ্নিত করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এগুলির মধ্যে রয়েছে –

(১) আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত নেটওয়ার্কে আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে কোনো অর্থ যাতে অজ্ঞাত পরিচয় কোনো সংস্থা বা ব্যক্তির হাতে গিয়ে না পড়ে, সে সম্পর্কে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলা,

(২) অন্যান্য অপরাধমূলক কাজকর্ম থেকে অর্জিত বেআইনি অর্থ যাতে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার যুক্ত না হয়, সে সম্পর্কে সজাগ থাকা,

(৩) আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত নতুন নতুন প্রযুক্তি তথা ভার্চ্যুয়াল সম্পদ যথা – ক্রিপ্টো কারেন্সি, ওয়ালেট – এ সমস্ত কিছুর অর্থ যাতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে পাচার করা না যায় সে সম্পর্কে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণ করা,

(৪) সন্ত্রাসবাদীদের নেটওয়ার্কগুলি যাতে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে হাওয়ালা এবং অন্যান্য অবৈধ উপায়গুলি অবলম্বন না করতে পারে তা নিশ্চিত করা,

(৫) অ-লাভজনক সংস্থা ও এনপিও থেকে যাতে জঙ্গি মতাদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা না করা হয় তা নিশ্চিত করা,

এবং

(৬) সন্ত্রাস মোকাবিলার কাজে যুক্ত সবক’টি দেশেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অর্থ সংক্রান্ত গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসকে আর্থিক মদতদানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে একটি স্থায়ী সচিবালয় গঠন করা আশু প্রয়োজন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আর্থিক কর্মসূচি সম্পর্কিত টাস্ক ফোর্স অর্থাৎ, এফএটিএফ সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে যে সুপারিশগুলি করেছে তা শুধুমাত্র কাগজে নয়, বাস্তবে মেনে চলা প্রয়োজন। এই কারণে সন্ত্রাসকে মদতদান বন্ধ করার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তথা কর্মপ্রচেষ্টার পাঁচটি পৃথক পৃথক স্তম্ভ রয়েছে। এগুলি হল –

(১) সহযোগিতা, সমন্বয় এবং সঙ্ঘবদ্ধভাবে তদন্ত ও অনুসন্ধানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সুসংবদ্ধ নজরদারি কাঠামো গড়ে তোলা উচিৎ।

(২) সন্ত্রাসকে চিহ্নিত করা, লক্ষ্য করা এবং উৎখাত করার জন্য একটি কৌশলসূত্র মেনে চলতে হবে।

(৩) সন্ত্রাসকে আর্থিক মদতদানের বিরুদ্ধে আইনি কাঠামোগুলির মধ্যে সমন্বয়সাধনের পাশাপাশি সেগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা প্রয়োজন।

(৪) পরবর্তী প্রজন্মের উপযোগী প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে একটি বলিষ্ঠ কর্মপ্রচেষ্টা উদ্ভাবন করা এবং

(৫) অপহৃত সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য একটি শক্তিশালী আইনি তথা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসকে আর্থিক মদতদান বন্ধ করতে আমাদের উচিৎ সীমান্ত ভাবনার আরও ঊর্ধ্বে উঠে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা কারণ, সন্ত্রাস তথা সন্ত্রাসবাদকে আর্থিক মদতদানের ক্ষেত্রে সীমান্ত বা সীমানা বলে কিছু নেই, এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।

 

PG/SKD/DM/



(Release ID: 1877411) Visitor Counter : 2743