আদিবাসীবিষয়কমন্ত্রক

আগামী ১৫ নভেম্বর ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উদযাপনে নেতৃত্ব দেবেন রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু


দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে আদিবাসীদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত হবে নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি

Posted On: 12 NOV 2022 5:29PM by PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ১২ নভেম্বর, ২০২২

 

আগামী ১৫ নভেম্বর ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উদযাপনে নেতৃত্ব দেবেন রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু।

আজ নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা জানান যে ঐদিন ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার উলিহাতু গ্রামটি পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি। ঐ গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন ভগবান বিরসা মুন্ডা। সেখানে উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রপতি পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করবেন। 

খুন্তি থেকেই রাষ্ট্রপতি ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক এবং শক্তি মন্ত্রকের কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন। এছাড়াও, কয়েকটি একলব্য বিদ্যালয়ের সূচনাও করবেন তিনি। ট্রাইফেড এবং এনআরএলএম-এর স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মহিলা সদস্যদের কাছে ঐদিন বক্তব্যও রাখবেন রাষ্ট্রপতি।

শ্রী মুন্ডা বৈঠকে আরও জানান যে আগামী ১৫ নভেম্বর নয়াদিল্লির সংসদ ভবনে ভগবান বিরসা মুন্ডার মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি। অন্যান্য সাংসদরাও সেখানে উপস্থিত থাকবেন।

শ্রী অর্জুন মুন্ডা সাংবাদিকদের আরও জানান যে জাতীয় ও রাজ্য পর্যায়ে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে ১৫ নভেম্বর থেকে সপ্তাহব্যাপী বেশ কিছু কর্মসূচিরও আয়োজন করা হয়েছে। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং গুজরাট থেকে অরুণাচল প্রদেশ – দেশের প্রতিটি প্রান্তেই উদযাপিত হবে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’। 

কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী উল্লেখ করেন যে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে আদিবাসীদের অবদানের কথা স্মরণ করতে ১৫ নভেম্বর দিনটিকে ‘জনজাতীয় দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উদ্দেশে সম্মান জানাতে এবং আদিবাসী অঞ্চলগুলির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে ঐ দিনটি নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উদযাপনের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছে জীবনধারণের প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দিতে এবং তাঁদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ-সুবিধার প্রসারে এক বিশেষ সঙ্কল্প গ্রহণ করা হবে। স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিকালে অর্থাৎ, আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে এই সঙ্কল্পের বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এদিন শিক্ষা ও সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রক ও দপ্তরের পক্ষ থেকেও ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আয়োজিত হবে সেমিনার, ওয়েবিনার, আদিবাসী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অবদান ইত্যাদিকে ঘিরে নানা ধরনের আলোচনা ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি।

 

PG/SKD/DM/



(Release ID: 1875577) Visitor Counter : 155