স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
azadi ka amrit mahotsav

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফরের প্রথম দিন


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ তাঁর দুদিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে আজ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সুন্দরবনের দুর্গম এলাকার নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নির্মিত নর্মদা, সতলুজ এবং কাবেরী ফ্লোটিং বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট বা সীমান্ত চৌকির উদ্বোধন করেছেন

শ্রী অমিত শাহ একটি ফ্লোটিং বোট অ্যাম্বুলেন্সকে ফ্ল্যাগ-অফ করেছেন, মৈত্রী সংগ্রহালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন আর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বর্ডার অবজারভেশন পোস্টে ‘সীমা প্রহরী সম্মেলন’-এ বক্তব্য রেখেছেন

“আমি যখনই কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে আসি তখন সব সময়ই একটি নতুন প্রাণশক্তি এবং চেতনা নিয়ে ফিরে যাই”

“প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে আজ গোটা দেশ প্রত্যেক ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে, আর এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল যে আমাদের দেশের সীমান্তগুলি অত্যন্ত সুরক্ষিত রয়েছে”

“মোদীজির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের মূল লক্ষ্য হল দেশের অভ্যন্তরীন এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সুরক্ষাকে অভেদ্য করে তোলা”

“রাজস্থানের মরুভূমি হোক কিংবা কচ্ছ-এর ক্রিক অথবা পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে কুমিরের ঝাঁকের সঙ্গে লড়াই করে অনুপ্রবেশ রোধ করা, আপনাদের এই উৎসাহ ও উদ্দীপনা, এই বীরত্ব গোটা দেশকে সুরক্ষিত রাখে”

“আমরা সবাই এজন্যই শান্তিতে ঘুমোতে পারি কারণ সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের জওয়ানরা ২৪ ঘন্টা দেশের সেবা করছেন, গোটা দেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমি সমস্ত জওয়ানদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই”

“বিএসএফ-এর জওয়ানদের পরিশ্রম, ত্যাগ, আত্মবলিদান এবং শৌর্যের পাশাপাশি তাঁদের আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা আমাদের উদ্দেশ্য”

Posted On: 05 MAY 2022 5:13PM by PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ৫ মে, ২০২২
 
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ তাঁর দু’দিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরের প্রথম দিনে আজ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সুন্দরবনের দুর্গম এলাকার নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা নর্মদা, সতলুজ এবং কাবেরী ফ্লোটিং বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট বা সীমান্ত চৌকিগুলির উদ্বোধন করেছেন। শ্রী অমিত শাহ একটি ফ্লোটিং বোট অ্যাম্বুলেন্সকে ফ্ল্যাগ-অফ করেছেন এবং মৈত্রী সংগ্রহালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হরিদাসপুর বর্ডার অবজারভেশন পোস্টে তথাকথিত ‘সীমা প্রহরী সম্মেলনেও ভাষণ দিয়েছেন। এই উপলক্ষে দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী নিশিথ প্রামাণিক ও শ্রী শান্তনু ঠাকুর এবং বিএসএফ বা সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহানির্দেশক সহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
 
লিঙ্ক – https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/image/image001N244.jpg
 
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন যে “আমি যখনই কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর জওয়ানদের মধ্যে আসি, তখন সব সময়ই একটি নতুন প্রাণশক্তি এবং চেতনা নিয়ে ফিরে যাই। রাজস্থানের মরুভূমি হোক কিংবা কচ্ছ-এর খাঁড়ি অথবা পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে কুমিরের ঝাঁকের সঙ্গে লড়াই করে অনুপ্রবেশ রোধ করা, আপনাদের এই উৎসাহ ও উদ্দীপনা, এই বীরত্ব গোটা দেশকে সুরক্ষিত রাখে।” তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে আজ গোটা দেশ প্রত্যেক ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছে আর এর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল যে আমাদের দেশের সীমান্তগুলি আজ অত্যন্ত সুরক্ষিত রয়েছে।” শ্রী অমিত শাহ বলেন যে “আমি সারা দেশে যেখানেই যাই সেখানেই গর্বের সঙ্গে বলি যে, আমরা সবাই এজন্যই শান্তিতে ঘুমোতে পারি কারণ সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের জওয়ানরা ২৪ ঘন্টা দেশের সেবা করছেন, গোটা দেশের জনগণের পক্ষ থেকে আমি সমস্ত জওয়ানদের কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।” ভারতের সীমান্তে আক্রমণ করার স্পর্ধা যারাই দেখিয়েছে, তাদের কঠোর মোকাবিলা করে আমাদের অনেক বীর সেনা জওয়ান তাঁদের আত্মবলিদান দিয়েছেন। এই বীরত্ব এবং সমর্পণের কারণেই সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে এখন পর্যন্ত একটি মহাবীর চক্র, চারটি কীর্তি চক্র, ১৩টি বীর চক্র এবং ১৩টি শৌর্য চক্র প্রদান করা হয়েছে।
 
লিঙ্ক – https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/image/image002V00Y.jpg
 
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, “মোদীজির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের মূল লক্ষ্য হল অভ্যন্তরীন এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে দেশের সুরক্ষাকে অভেদ্য করে তোলা।” তিনি আরও বলেন, “বিএসএফ-এর জওয়ানদের পরিশ্রম, ত্যাগ, আত্মবলিদান এবং শৌর্যের পাশাপাশি তাঁদের আধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ কররে বলীয়ান করা আমাদের উদ্দেশ্য। সেজন্যই আজ সতলুজ, কাবেরী এবং নর্মদা নামক তিনটি ফ্লোটিং বিওপি বা বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট রাষ্ট্রকে সমর্পণ করা হয়েছে। মোদীজির আত্মনির্ভর ভারতের কল্পনা অনুসারে আমাদের দেশেরই কোচ্চি শিপইয়ার্ড এগুলি নির্মাণ করেছে। এক একটি বিওপি নির্মাণ করতে লেগেছে ৩৮ কোটি টাকা আর এগুলির প্রত্যেকটির ওজন প্রায় ৫৩ হাজার মেট্রিক টন। এই ফ্লোটিং বিওপি সমস্ত আধুনিক পরিষেবা এবং নিরাপত্তা উপকরণে সমৃদ্ধ। এর সামনের অংশটিকে বুলেট প্রুফও করা হয়েছে, যাতে সামনের দিক থেকে যদি গোলাগুলি হয়, তাহলে ভেতরে বসে থাকা জওয়ানরা নিরাপদে থাকতে পারবেন। পাশাপাশি, তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই বিওপি এক মাস ধরে পেট্রোল এবং ডিজেল ছাড়াই, কোনরকম ডিজিসেট ছাড়াই জলে ভেসে থাকতে পারে”। তিনি আরও বলেন যে, “ সুন্দরবন অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা। প্রত্যেক বিওপি-র সঙ্গে ছয়টি করে ছোট বোটও রয়েছে আর সেগুলির মাধ্যমে অনুপ্রবেশকারী এবং জলদস্যুদের আটকানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে”।
 
লিঙ্ক – https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/image/image003IFBY.jpg
 
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী শ্রী অমিত শাহ বলেন যে “আজ এখানে একটি মৈত্রী সংগ্রহালয়েরও শিলান্যাস হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ভারত সর্বদাই গোটা বিশ্বে মানবাধিকারের নিরাপত্তার ওপর জোর দিয়েছে। ১৯৭০-এর দশকে যখন আমাদের প্রতিবেশী দেশে মানবাধিকার হনন হয়েছিল আর ঘোর অত্যাচার সংগঠিত হয়েছিল, সেই সময় আমাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং সেনাবাহিনী মিলেমিশে ওই এলাকায় অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে মানবাধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করে। আজ সেই ঘটনার ৫০ বছর হয়ে গেছে আর এই সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে ওই ঘটনাকে একটি চিরকালীন স্মারকে পরিণত করার জন্য এখানে একটি মৈত্রী সংগ্রহালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
 
লিঙ্ক – https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/image/image0042Z7Y.jpg 
 
শ্রী অমিত শাহ বলেন যে “বিএসএফ-এর পোস্টিং খুব কঠিন। সীমান্ত এলাকায় কাজ করা সহজ কাজ নয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি সব সময়ে এই চেষ্টা করে গেছেন যাতে সীমান্ত এলাকায় কর্মরত আমাদের জওয়ানদের ন্যূনতম সমস্যা হয়। সেজন্য আপনাদের সুস্থতা, আপনাদের আরোগ্য, হাউজিং স্যাটিসফ্যাকশন রেশিও এবং আপনারা যাতে নিজেদের পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারেন, সেরকম কর্মপদ্ধতি রচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা আপনাদের পোস্টিং-এর জায়গাগুলিতে বিভিন্ন পরিষেবা বাড়িয়ে আপনাদের সমস্যা কম করার লক্ষ্য নিয়েও এগিয়ে চলেছি।”
 
লিঙ্ক – https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/image/image005SPPD.jpg
 
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও সমবায় মন্ত্রী বলেছেন, “এটা অত্যন্ত আনন্দের কথা যে বিএসএফ-এ এখন মহিলাদেরও নিয়োগ করা হচ্ছে আর তাঁরা গর্বের সঙ্গে পুরুষদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতমাতার সুরক্ষার কাজ করছেন। মহিলাদের জন্য স্বতন্ত্র ব্যারাক তৈরি করা এবং তাঁদের সকল পরিষেবার খেয়াল রাখার জন্য ভারত সরকার একটি পঞ্চবার্ষিকী কর্মসূচি রচনা করেছে।” শ্রী অমিত শাহ বলেন যে “আপনারা নিজেদের জীবনের যে সোনালী বছরগুলি ভারতমাতার সেবার জন্য উৎসর্গ করছেন, তার কোনও মূল্য তো হতেই পারে না! কিন্তু আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারের সকল সমস্যা দূর করার জন্য কোনও চেষ্টার ত্রুটি রাখবে না।”
 
লিঙ্ক – https://static.pib.gov.in/WriteReadData/userfiles/image/image006TT8H.jpg
 
CG/SB/DM/

(Release ID: 1823014) Visitor Counter : 321


Read this release in: English , Urdu , Gujarati , Tamil