বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক
বৈদ্যুতিন পণ্যের রপ্তানি
Posted On:
06 APR 2022 1:40PM by PIB Kolkata
নতুন দিল্লি, ০৬ এপ্রিল, ২০২২
ভারত সরকারের লক্ষ্য হলো আত্মনির্ভর ভারত অর্থনৈতিক নীতির অঙ্গ হিসেবে ভারতকে বিশ্বের এক উল্লেখযোগ্য ইলেট্রনিক্স ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করা। সেই লক্ষ্যে আমরা আমাদের বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদন ব্যবস্থাকে আরও প্রসারিত ও গভীরতর করছি। গত ৫ বছরে বৈদ্যুতিন পণ্যের উৎপাদন ও রপ্তানির পরিসংখ্যান নীচে দেওয়া হলো –
কোটি টাকায়
|
বৈদ্যুতিক পণ্য
|
২০১৬-১৭
|
২০১৭-১৮
|
২০১৮-১৯
|
২০২৯-২০
|
২০২০-২১
|
**উৎপাদন
|
৩,১৭,৩৩১
|
৩,৮৮,৩০৬
|
৪,৫৮,০০৬
|
৫,৩৩,৫৫০
|
৫,৫৪,৪৬১
|
*রপ্তানি
|
৩৯,৯৮০
|
৪১,২২০
|
৬১,৯০৮
|
৮২,৯৩৬
|
৮১,৯৪৮
|
**সূত্র : বৈদ্যুতিন এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের বার্ষিক প্রতিবেদন
*সূত্র : ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ কমার্শিয়াল ইন্টেলিজেন্ট অ্যান্ড স্ট্যাটিসস্টিক্স
দেশে বৈদ্যুতিন পণ্যের উৎপাদন এবং বৈদ্যুতিন মূল্যশৃঙ্খলে বৃহৎ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে সরকার বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এগুলির বিশদ বিবরণ নীচে দেওয়া হলো –
১) বৃহৎ মাত্রায় বৈদ্যুতিন পণ্যের উৎপাদনের ক্ষেত্রে উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহদান প্রকল্প – এই প্রকল্পটি ২০২০ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে চালু হয়েছে। এর আওতায় ভিত্তি বছরের সাপেক্ষে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে (মোবাইল ফোন ও অন্যান্য বৈদ্যুতিন সামগ্রী) বিক্রয় বাড়ার উপর ৬ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ উৎসাহ ভাতা দেওয়া হয়। ভিত্তি বছর থেকে ৫ বছর পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এজন্য পণ্যগুলিকে ভারতেই তৈরি হতে হবে। এখনও পর্যন্ত ৩২টি কোম্পানী এই সুবিধা পেয়েছে।
২) তথ্য প্রযুক্তি হার্ডওয়্যারের জন্য উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহদান প্রকল্প – এই প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ৩রা মার্চ, ২০২১ তারিখে। এতে বর্ধিত বিক্রয়ের অঙ্কের উপর ৪ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ/ ১ শতাংশ উৎসাহ ভাতা দেওয়া হয়, চার বছরের জন্য পাওয়া য়ায় (২০২১-২২ থেকে ২০২৪-২৫)। তবে এক্ষেত্রে পণ্যগুলি ভারতেই তৈরি হতে হবে। যেসব হার্ডওয়্যার এই প্রকল্পের আওতায় আসে সেগুলির মধ্যে রয়েছে ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, পার্সোনাল কম্পিউটার, সার্ভার প্রভৃতি। এপর্যন্ত ১৪টি কোম্পানী এর সুবিধা পেয়েছে।
৩) বৈদ্যুতিন সামগ্রী ও সেমিকনডাকটর উৎপাদনে উৎসাহদান প্রকল্প – এর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ২০২০ সালের পয়লা এপ্রিল। এতে যেসব বৈদ্যুতিন সামগ্রী, সেমিকনডাকটর/ ডিসপ্লে ভ্যাব্রিকেশন ইউনিট, এপিএমপি ইউনিট প্রভৃতি অনুসারী মূল্যশৃঙ্খল তৈরি করে তাদের ক্ষেত্রে মূলধনী খরচের ২৫ শতাংশ অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত কার্যনির্বাহী কমিটি এই প্রকল্পের আওতায় ২৩টি আবেদন অনুমোদন করেছে।
৪) সংশোধিত বিশেষ উৎসাহদান প্রকল্প – ২০১২ সালের জুলাই মাসে এই প্রকল্পটি চালু হয়। পরবর্তীকালে ২০১৫ সালের আগস্টে এবং ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে এর সংশোধন করা হয়। এর আওতায় মূলধনী ব্যয়ের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হতো। ২০১৮ সালের ৩১শে ডিসেম্বর থেকে এই প্রকল্পে নতুন আবেদন নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৩১৩টি সংস্থা এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করে।
লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী শ্রী রাজীব চন্দ্রশেখর এই তথ্য জানিয়েছেন।
CG/SD/AS/
(Release ID: 1814317)
Visitor Counter : 240